সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ চায় জনতার দল
সশস্ত্র বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার করলে ১৫ দিনের মধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন জনতার দলের আহ্বায়ক শামীম কামাল। তিনি বলেন, কোনো এক অজ্ঞাত কারণে এটাকে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন শামীম কামাল।
জনতার দলের আহ্বায়ক বলেন, অনেক নিরীহ মানুষ রাষ্ট্রের কাছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাচ্ছে না। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর ছাত্র–জনতাকে হত্যার যে মামলাগুলো হয়েছে, সেখানে অনেক নিরপরাধ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার তালিকা ধরে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চাঁদাবাজি করছে।
এ বিষয়ে শামীম কামাল বলেন, নিরপরাধ মানুষকে ধরে এনে আদালতে তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এসব নিরপরাধ মানুষ কোথায় যাবে? সশস্ত্র বাহিনীকে যেহেতু ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার (বিচারিক ক্ষমতা) দিয়ে মাঠে নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের যথাযথভাবে ব্যবহার করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিবর্তন আনা সম্ভব।
জনতার দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখতে পাচ্ছি, সশস্ত্র বাহিনীকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে রাখা হচ্ছে, তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমাদের দাবি, সশস্ত্র বাহিনীকে যথাযথ ব্যবহার করা হোক, না হয় তাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে আনা হোক।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বাতিলের বিষয়ে নতুন এ রাজনৈতিক দলটির শীর্ষ নেতা বলেন, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের চাকরি শেষ হওয়ার তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা শুধু সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এমন নিয়ম পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে নেই।
শামীম কামাল আরও বলেন, ‘এই আইন (আরপিও) বাতিল চেয়ে আমরা হাইকোর্টে রিট করেছিলাম, বিগত স্বৈরাচারী সরকার এটিকে খারিজ করে দিয়েছে। ৫ আগস্টের পর নির্বাচন সংস্কার কমিশনে আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছি আমরা। তারাও আইনটি বাতিলের সুপারিশ করেনি।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জনতার দলের সদস্যসচিব আযম খান, মুখপাত্র ও মুখ্য সমন্বয়ক ডেল এইচ খান, নারী সদস্য নাজনীন খান প্রমুখ।