শাপলা চত্বরে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের কর্মসূচি জামায়াতের
বিএনপির পর জামায়াতে ইসলামীও ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল রোববার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে জামায়াত। রাজধানীর শাপলা চত্বরে বেলা দুইটায় মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে চিঠিও দিয়েছে দলটি।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান আজ সোমবার মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিবৃতি দিয়েছেন। এর আগে ১৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৮ অক্টোবর ঢাকায় দলটির মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেছেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ মনে করে, রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ ও মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করা। মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। তাতে বাধা দেওয়া পুলিশের দায়িত্ব হতে পারে না।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, বিগত সময়ে ৫০ থেকে ৬০ বারের বেশি বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করার সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। এটি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে নির্বাহী পরিষদের সভা হয়। সভা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক’ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে বলে দাবি করেন ভারপ্রাপ্ত আমির। ক্ষমতায় আসার পর জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে সাজানো মামলায় নেতাদের ফাঁসি দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
বিবৃতিতে মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের কোনো নেতা যেন কথা বলতে না পারেন, সে জন্য নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে জন্য গভীর রাত পর্যন্ত সাক্ষ্য নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এদিকে শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে জামায়াত। চিঠিতে দলটি উল্লেখ করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।