মনোনয়ন
আওয়ামী লীগের আলোচিতদের অনেকে বাদ পড়ছেন
আ.লীগের মনোনয়নে পরিবর্তন বেশি হতে পারে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে।
বরিশালে বাদ পড়ছেন পঙ্কজ নাথ, পাচ্ছেন শাম্মী আহমেদ।
মনোনয়নের আলোচনায় আইজিপির ভাই, সাবেক মুখ্য সচিব।
আজ সকাল ১০টায় গণভবনে মনোনয়ন–প্রত্যাশীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সারা দেশে ৩০০ আসনেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আজ রোববার বিকেলে তালিকা প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দলটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বাদ পড়তে পারেন। বাদ দেওয়া হতে পারে পঙ্কজ নাথকে। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে দলের ভেতরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত এবার মনোনয়ন না–ও পেতে পারেন।
আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, আলোচিত অনেকে বাদ পড়তে পারেন। বাদ পড়া সদস্যের সংখ্যা অর্ধশত হতে পারে। এমন অনেকেই মনোনয়ন পেতে পারেন, যাঁরা এই প্রথম দলের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম মাহমুদ, আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। অনেক নতুন মুখ আসতে পারে।
তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের কেউ বাদ পড়ছেন না বলেও দলটির সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে টানা বৈঠক করছে। গতকাল শনিবার রাতে দেশের আট বিভাগের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। তবে এবার বোর্ডের বৈঠকের স্থান এবং কারা বাদ পড়ছেন, এই বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়।
আজ সকাল ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সব মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁদের দিকনির্দেশনা দেবেন। বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
১৮ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে দলীয় ফরম বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলালসহ কমপক্ষে ছয়জন নেতার আসনে বাড়তি কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। বাকি আসনের জন্য ৩ হাজার ৩৫৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটি।
নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। যেখানে পুরোনোরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন, সেখানে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।ওবায়দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৮ জন মন্ত্রী-সংসদ সদস্য বাদ পড়েছিলেন। ২০১৪ সালের ভোটে বাদ পড়েছিলেন ৬৩ জন মন্ত্রী-সংসদ সদস্য।
ঢাকায় পরিবর্তন অনেক
রাজধানী ঢাকাতেই বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থিতায় পরিবর্তন আনা হতে পারে। দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খানের পরিবর্তে এবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি ২০০৮ সালে এই আসন থেকে জয়ী হয়ে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।
ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বাদ পড়তে পারেন বলে জানা গেছে। তাঁর জায়গায় চিত্রনায়ক ফেরদৌস মনোনয়ন পেতে পারেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকা-৮ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে দলটির সূত্র জানায়। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ১৪ দলের শরিক ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বাহাউদ্দিন নাছিম ২০১৪ সালে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি কোথাও সুযোগ পাননি।
ঢাকা–৪ আসনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম মনোনয়ন পাচ্ছেন। এখানে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। ঢাকা-১১ আসনে রহমতুল্লাহর পরিবর্তে ওয়াকিল উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
ঢাকা-৫ আসনে কাজী মনিরুল ইসলামকে বাদ দেওয়ার আলোচনা আছে। এই আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন মশিউর রহমান মোল্লা। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে এবার ঢাকা-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ।
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তবে এবার তিনি এবং তাঁর দুই ছেলে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর বড় ছেলে সোলায়মান সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন যুবলীগের নেতা মাইনুল হাসান খান। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আগা খান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলালসহ কমপক্ষে ছয়জন নেতার আসনে বাড়তি কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। বাকি আসনের জন্য ৩ হাজার ৩৫৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটি।
টাঙ্গাইলের দুটি আসনে পরিবর্তনের কথা শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সদর আসন টাঙ্গাইল-৫–এ যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদের মনোনয়ন পাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সানোয়ার হোসেন। টাঙ্গাইল-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান। তিনি হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের বাবা। এবার এই আসনে পরিবর্তনের কথা এসেছে। নতুন মুখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান খান সেখানে মনোনয়ন পেতে পারেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ এবার ফরিদপুর-৪ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। সেখানে মুজিবুর রহমান চৌধুরী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। ফরিদপুর-১ আসনে মঞ্জুর হোসেনের বদলে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান মনোনয়ন পাচ্ছেন। ফরিদপুর-৩ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পরিবর্তে জেলা সভাপতি শামীম হক মনোনয়ন পেতে পারেন।
বাদ পড়তে পারেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর
চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বাদ পড়তে পারেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। চাঁদপুর–২ আসনে এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া)। এই আসনে বর্তমানে সংসদ সদস্য রয়েছেন নুরুল আমীন।
চট্টগ্রাম–১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন মাহাবুবুর রহমান। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা মোশাররফ হোসেনের ছেলে। মোশাররফ হোসেন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না। চট্টগ্রাম–৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম বাদ পড়ছেন। এই আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন এস এম আল মামুন। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কাসেমের ছেলে। চট্টগ্রাম–৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে এম এ সালামকে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
মনোনয়ন পাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ও তাঁর সহধর্মিণী
রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর বাদ পড়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তাঁর জায়গায় মনোনয়ন পাচ্ছেন দলের কেন্দ্রের একটি উপকমিটির সদস্য আয়েশা আকতার জাহান। তিনি রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী।
মাগুরায় সাকিব, যশোরেও নতুন মুখ
মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে রাজনীতিতে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করতে যাচ্ছেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন। তাঁর বাবা মাগুরা-২ আসন থেকে চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সাকিব আল হাসান মাগুরা-১, মাগুরা-২ ও ঢাকা-১০ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।
যশোর-২ আসনে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পাচ্ছেন তৌহিদুজ্জামান। তিনি একজন চিকিৎসক এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদের জামাতা। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন।
দেশের উত্তরে কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন পাওয়ার কথা জানা গেছে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগর।
বাদ পড়ছেন পঙ্কজ, পাচ্ছেন শাম্মী
বরিশাল-৪ আসনে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথের জায়গায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। বরিশাল-২ আসনেও পরিবর্তন আসছে। ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ ই আলম বরিশাল-২ আসন পাচ্ছেন না। এই আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সংসদ সদস্য তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুসকে বাছাই করা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমুর বোন সুলতানা নাদিরা এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি বরগুনা-২ (বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সবুরের সহধর্মিণী। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান।
মনোনয়নের আলোচনায় আইজিপির ভাই
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেনকে বাদ দেওয়ার আলোচনা চলছে। এই আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রঞ্জিত সরকার। সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন শফিকুর রহমান। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের মোকাব্বির খান। সিলেট-৫ আসনে হাফিজ আহম্মেদ মজুমদার বাদ পড়তে পারেন। এই আসনে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন সিলেট মহানগর সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে দুবারের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তকে পরিবর্তনের আলোচনা আছে। এই আসনটিতে সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন জয়া সেনের স্বামী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এবার এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি সংসদ সদস্য হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন। তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই।
মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। গত নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে এই আসনে সংসদ সদস্য হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।
নতুন মুখ সাবেক মুখ্য সচিব
জামালপুর-৫ আসনে নতুন মুখ আসছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। তিনি দলের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে যে একটি কমিটি কাজ করছে, এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন। জামালপুর-৪ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বাদ পড়ছেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি সেখানে মনোনয়ন পেতে পারেন।
নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য মানু মজুমদার বাদ পড়তে পারেন বলে আলোচনা আছে। তাঁর জায়গায় মোশতাক আহমেদ রুহীর প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে। এই আসনে তিনি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বাদ পড়তে পারেন। এখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানা গেছে।
দলের মনোনয়ন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। যেখানে পুরোনোরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন, সেখানে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়ে তাঁরা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।