২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

২৮ অক্টোবর কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে গেছি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দাবি, ‘গত ২৮ অক্টোবর কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। সেই খেলায় আমরা (আওয়ামী লীগ) জিতে গেছি।’ ভবিষ্যতে সেমিফাইনাল আর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফাইনাল খেলা হবে বলেও জানান তিনি।

আজ শনিবার রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এমন দাবি করেন। মেট্রোরেল-৬–এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের এ সময় বলেন, ২৮ তারিখের পর নাকি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন না। কিন্তু তিনি তো এখানে বসে আছেন। নির্ধারিত সময়ে এমআরটি-৬ আগারগাঁও-মতিঝিল লাইনের উদ্বোধনও করেছেন।

বিএনপির বাড়াবাড়ি ও লাফালাফি কোথায় প্রশ্ন করে তিনি আরও বলেন, ‘হায় রে মির্জা ফখরুল (বিএনপির মহাসচিব), এখন টেলিভিশনও দেখবেন না। খালি দৌড়াচ্ছে। তাঁকে ওই দিন কেউ কেউ হরতাল ঘোষণার জন্য টেনে ধরেছিল। মাইকে প্রথমে অর্ধদিবস হরতালের ঘোষণা দিল। পরে আবার হাতমাইকে সারা দিন হরতাল বলে ঘোষণা দিল। এরপরেই দৌড়। পালাবার পথ নাকি আমরা (আওয়ামী লীগ) পাব না। এখন তাঁদের পালাবার পথ কোথায়?’

বিএনপি নেতা আমীর খসরু, গয়েশ্বর রায়সহ অন্যরা কোথায় প্রশ্ন করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, এত সাহস, এত বীর পুরুষ। তাঁরা এখন কোথায়? শেখ হাসিনা তো আছেন। কিন্তু বিএনপির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কিছু না পেয়ে তারা এখন গুহার মধ্যে ঢুকেছে। গুহা থেকে প্রেস কনফারেন্স করে। কোথাকার এক পাগলকে বাইডেনের উপদেষ্টা বানিয়ে কথা বলায়। বিএনপির সবকিছু ভুয়া।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িক দল, সন্ত্রাসী দল। সারা বিশ্ব যেখানে শেখ হাসিনাকে সম্মান করে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায়, সেখানে বিএনপি শেখ হাসিনাকে সম্মান করতেও জানে না। একটা ধন্যবাদও দিতে জানে না। তাদের এই মানসিকতা ছোট মনের।

জনসাধারণের মধ্যে শেখ হাসিনা ব্যাপক জনপ্রিয় দাবি করে তিনি বলেন, তিনি যদি একাও নির্বাচন করেন, তাহলেও ৭০-৭৫ ভাগ ভোট তিনিই পাবেন। এর জন্যই বিএনপির এত হিংসা, এত জ্বালা। এই বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ধ্বংস করবে। রক্তের বন্যা, লাশের পাহাড় বানিয়ে ফেলবে। তাদের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়া যাবে না। সতর্ক পাহারায় ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতির স্বার্থে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার বিজয়ী করতে হবে।

আওয়ামী লীগের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৮ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির মতো একটি সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ দল কখনো বিজয়ী হতে পারবে না। নৌকাকে বিজয়ী করতে তাদের সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বাহাউদ্দীন নাছিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুয়ায়ুন কবির প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।