গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যায় সিপিবির ক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ
যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আজ শুক্রবার রাজধানীতে এ প্রতিবাদ মিছিল হয়। মিছিলটি সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে রাজধানীর মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে মিছিলপূর্ব প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর এই গণহত্যা সাম্রাজ্যবাদের নগ্ন চেহারাকে আবারও উন্মোচিত করেছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সরাসরি মদদে এবং তাদের মধ্যপ্রাচ্যের সেবাদাসদের যোগসাজশে শতাব্দীর এই নৃশংসতম হামলা সংঘটিত হয়েছে। এর জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার আরব সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ চিরকালই ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
সিপিবির সাধারণ সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে এ হামলার মধ্যে ইসরাইলি বাহিনী আবারও বিশ্ব জনমতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করল। মানবতার বিরুদ্ধে এত বড় অপরাধ দুনিয়ার কোনো বিবেকবান মানুষই বরদাশত করতে পারে না। কিন্তু জাতিসংঘ অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এ বিষয়ে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করছেন না।
রুহিন হোসেন বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অত্যন্ত কড়া ভাষায় এ হামলার প্রতিবাদ করা। কিন্তু কার্যত সেটি হয়েছে অত্যন্ত দায়সারা প্রকৃতির।
সিপিবির সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক আদালত ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর পরিচালিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে রায় দিয়েছে। ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার এখন বিশ্বজনতার দাবি। সে দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা।