ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশে গণ অধিকারের পদযাত্রা, ৬ দফা দাবি হস্তান্তর
পদযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাওয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। হাইকমিশনের পৌঁছার আগেই সেই পদযাত্রা (মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন) থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ওই কর্মসূচি থেকে একটি প্রতিনিধিদল হাইকমিশনে গিয়ে তাদের ছয় দফা দাবি হস্তান্তর করে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণ অধিকার পরিষদ (মশিউজ্জামান-ফারুক) ও ছাত্র-জনতা পদযাত্রা করে বাড্ডা এলাকা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে নতুনবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যায়। এতে নেতৃত্ব দেন গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান ও সদস্যসচিব ফারুক হাসান।
কর্মসূচির বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ভারত সীমান্তবর্তী বাঁধগুলো খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১০টি জেলায় ২ কোটির বেশি মানুষ পানিবন্দী। হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া এ বন্যায় ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের কাছে এর জবাব চাইতেই এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
তবে গণ অধিকার পরিষদ ও ছাত্র-জনতাকে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। নতুনবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেই কর্মসূচিতে যাওয়া লোকজনকে থামিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল হাইকমিশনে গিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তা দেবব্রত চক্রবর্তীর হাতে ছয় দফা দাবি হস্তান্তর করে।
দফা গুলোতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ অভিমুখে খুলে দেওয়া সব বাঁধ বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী ন্যায্যতার ভিত্তিতে দুই দেশের পানির বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত ৫৪টি নদীতে কোন ক্ষমতাবলে ভারত বাঁধ দিয়েছে, এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। সীমান্তে হত্যা বিষয়ে সতর্ক করা এবং ভবিষ্যতে হত্যাকাণ্ডে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায় ভারতকে নিতে হবে। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে দ্রুত সময়ে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রহমান, শেখ খায়রুল কবির, সাকিব হোসাইন, শফিকুল ইসলাম রতনসহ অনেক নেতা-কর্মী ও ছাত্র-জনতা অংশ নেন।