২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

প্রতিমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে আলোচনা হবে ইসি সভায়

নির্বাচন কমিশন ভবন
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগে বিএনপির ব্যয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও (ইসি) আলোচনা করা হবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দেওয়া এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি আগামী বৃহস্পতিবার কমিশনের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় নির্বাচন কমিশনের সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভার চারটি নির্ধারিত আলোচ্যসূচির একটি বিএনপির লবিস্ট নিয়োগসংক্রান্ত। ইসি সচিবালয় বৈঠক নিয়ে অভ্যন্তরীণ যে নোটিশ দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কর্তৃক বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসংক্রান্ত ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করে থাকলে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়াসংক্রান্ত পত্রের বিষয় কমিশনে উপস্থাপন।’

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তদবিরকারী বা লবিস্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য বিএনপি সাড়ে ৩৭ লাখ ডলার খরচ করেছে, যা বর্তমান মূল্যে ৩২ কোটি টাকার মতো। পরদিন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য বিএনপি কীভাবে আর্থিক লেনদেন করেছে, তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ওই লেনদেনের বিষয়টি বিএনপি আয়-ব্যয়ের হিসাবে উল্লেখ করেছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসিকে চিঠি পাঠিয়েছে।

১৯ জানুয়ারি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিবছরের জুলাইয়ে হিসাব জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে তা পিছিয়ে যায়। সেখানে এ (যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের লেনদেন) আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে কি না, সেটি জানতে চেয়েছি। কারণ, চুক্তিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তরের ঠিকানা দেওয়ায় কোনো তহবিল থেকে ওই অর্থ গেছে এবং তা আয়-ব্যয়ের হিসাবে লিপিবদ্ধ আছে কি না, নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানিয়েছি। এর ব্যত্যয় পেলে নির্বাচন কমিশন তাদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী, ইসিতে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে প্রতিবছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। কোনো দল পরপর তিন বছর এই হিসাব জমা না দিলে কমিশন সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।