গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর মতবিনিময়
গণমাধ্যমকর্মী আইন (চাকরির শর্তাবলি) ২০২২–এর খসড়া নিয়ে গণমাধ্যম নেতাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় আইনের খসড়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা শেষে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে খসড়াটি পরিমার্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারসচিব মো. মকবুল হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ মার্চ ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলটি ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে গণমাধ্যমকর্মী ও মালিকপক্ষের মধ্যে বিরোধ নিরসনে গণমাধ্যম আদালত স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এতে আদালত স্থাপনের পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধানও রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত এই আইনে মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন পরিশোধ করা, গণমাধ্যমকর্মীর সংজ্ঞা, সর্বোচ্চ কর্মঘণ্টা, মজুরি বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত করার বিধান, চাকরির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ইত্যাদি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতি পাঁচ বছর পরপর গণমাধ্যমকর্মীদের ন্যূনতম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হবে। মালিকপক্ষ ন্যূনতম বেতন হারের কম বেতন দিলে এক বছরের জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
বিলে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মীরা সপ্তাহে অন্যূন ৪৮ ঘণ্টা কাজ করবেন। এর বেশি কাজ করাতে চাইলে ওভারটাইম ভাতা দিতে হবে। কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত কর্মী ছাঁটাই করতে চাইলে মালিকপক্ষ তা করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সরকারকে দ্রুত লিখিতভাবে জানাতে হবে। ছাঁটাই করতে হলে কর্মীকে এক মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হবে অথবা এক মাসের মূল বেতন দিতে হবে। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিবছর চাকরির জন্য ৩০ দিনের মূল বেতন দিতে হবে।