খালেদা জিয়া ‘অত্যন্ত অসুস্থ’: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনা–পরবর্তী নানা জটিলতা ও পুরোনো রোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘অত্যন্ত অসুস্থ’। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে আজ দুপুরে দলীয় এক কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা জানান। এর আগে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বেরাইদ এলাকায় গাছের চারা রোপণ করে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা জানেন, করোনা হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে কোভিডের যে আক্রমণ, সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর তাঁর চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে তাঁর হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, কিডনিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাঁর লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁর পুরোনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। এসব কটি মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন।’
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন, ওনার পরিবার আবেদন করেছেন সরকারের কাছে যে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক। এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে সেই সুযোগ দেয়নি।’
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তাঁর বহু অবদান রয়েছে, সেই নেত্রীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাঁকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।’
করোনা–পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে ৩ মে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এক মাস পর অবস্থার উন্নতি হলে ৩ জুন খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।