আইন-আদালত থাকতে গণকমিশন গঠন দেশের সংবিধানবিরোধী। দেশের ওলামায়ে কেরামের তালিকা করে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেওয়ার এখতিয়ার এই কমিশনের নেই। যাঁরা তালিকা তৈরি করেছেন, তাঁরা নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও তিরস্কৃত।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
জঙ্গি অর্থায়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগ এনে ১১৬ জন আলেম ও এক হাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে দুদকে জমা দেওয়া গণকমিশনের শ্বেতপত্রের তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়, দেশবিরোধী একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে তথাকথিত গণকমিশনের নামে নতুন চক্রান্তে মেতেছে।
বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, ওয়াজ মাহফিল দেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি। ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি, আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজসংস্কারের অন্যতম মাধ্যম। সমাজের সব অনাচার, অন্যায় ও ভুল থেকে ফিরিয়ে মানুষকে সৎ পথে ও কল্যাণের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে ওয়াজ মাহফিল। এ সংস্কৃতি ধ্বংস করতে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা আর যাই হোক দেশপ্রেমিক হতে পারেন না।
দুর্নীতিবাজ ও দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারীদের বিষয়ে গণকমিশনের নীরবতা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে বলে ইসলামী আন্দোলনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে সাম্প্রদায়িক হামলা ও ধর্মীয় উন্মাদনার তদন্তে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ গঠিত হয়। সম্প্রতি তারা ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে।
গণকমিশনের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল বুধবার ওই শ্বেতপত্র এবং ১০০ সন্দেহভাজন ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ ব্যক্তির তালিকা দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর হাতে তুলে দিয়েছেন। এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়েছে তারা।