আর কথা নয়, এখন থেকে অ্যাকশন: গয়েশ্বর রায়
নেতা-কর্মীদের প্রতি এখন থেকে সরকারবিরোধী ‘অ্যাকশনে’ যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘আর কথা নয়, এখন থেকে অ্যাকশন। অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট দ্য মিডনাইট গভর্নমেন্ট। সারা দেশের গ্রামগঞ্জে, শহর-বন্দরে একটি সুর, শেখ হাসিনার সরকার ভোটচোর। এই ভোটচোরের বিরুদ্ধে জনগণের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের এক সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।
সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা থাকলেও, বৃষ্টির জন্য দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এ সমাবেশ হয়।
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘এই সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জনবিচ্ছিন্ন এ সরকার যদি আমাদের কণ্ঠ রোধ করে, আমাদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করে, তাহলে আমাদের জন্মই বৃথা। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হতে পারি না। কারণ, আমরা যে দল করি, তার নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। আমরা আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার অনুসারী।’
খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন দাবি করে গয়েশ্বর রায় বলেন, চিকিৎসকদের কথা সরকার কানে নেয় না, তারা আইনের সবক দেয়। আবার বলে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এ সময়ে কোন লোকটা নিষ্পাপ আছে, যার কাছে খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবেন? খালেদা জিয়া এমন কী অন্যায় করেছেন, যার জন্য ক্ষমা চাইবেন? কোনো টাকা তছরুপ হয়নি, বরং বেড়ে কয়েক গুণ হয়েছে। তারপরও তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অথচ হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়, এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘উপমহাদেশের মধ্যে “সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা” খালেদা জিয়া। মুসলিম বিশ্বের প্রথম নির্বাচিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী, একবার নয় “তিনবার”। তিনি আলাদা আলাদাভাবে ২৩টি আসনে নির্বাচন করে প্রতিটি আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। সেই নেত্রী সম্পর্কে যে ধরনের ঠাট্টা-মশকরা করা হয়, এটা শিষ্টাচারের সঙ্গে যায় না, এরা বেয়াদব।’
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের প্রথিতযশা চিকিৎসকেরা বলছেন, খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছে, এ দেশে তাঁর আর কোনো চিকিৎসা নেই। তাঁকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হবে। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন। তিনি তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অশালীন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে জাকির হোসেন, শাহে আলম, আবু সাইদ চান, দেওয়ান শফিকুজ্জামান, তমিজ উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, দিলদার হোসেন, জাফর ইকবাল, আমিনুল ইসলাম, সরকার বাদল, নবী নেওয়াজ খান প্রমুখ।