অগ্নিনিরাপত্তা
কারখানায় আগুন, কাঠামোগত হত্যার দায় কার
শিল্প কি শুধু ‘উৎপাদন’? শিল্প কি শুধু মেশিন? শিল্প কি শ্রমিক নয়? শ্রমিক মারার সব ধরনের বন্দোবস্তের ওপর দাঁড়িয়ে এ কেমন শিল্পায়ন?
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের ছয়তলা কারখানায় আগুন লেগেছিল দুই মাস আগে। অর্ধশতাধিক মানুষ পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। নাগরিকদের পক্ষে থেকেও ১৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে (নাগরিক কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গত ৩১ আগস্ট)। নাগরিক তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে কারখানা পরিদর্শন করতে গিয়ে ভয়ংকর সব তথ্য আমাদের সামনে উঠে আসে। যেমন রূপগঞ্জের এই কারখানার বড় অংশজুড়েই রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের স্তূপ ছিল। ভবনের কোথাও কোনো ফায়ার অ্যালার্ম ছিল না! কোথাও কোনো স্মোক ডিটেক্টর (ধোঁয়া শনাক্তকরণ যন্ত্র) ছিল না! কোথাও কোনো ফায়ার এক্সিট (অগ্নিকাণ্ডের সময় নিরাপদে বের হওয়ার বিকল্প পথ) ছিল না! অবিশ্বাস্য!
একটা দাহ্য পদার্থের গুদাম, রাসায়নিক মালামালে ভরা ছয়তলা কারখানায় ফায়ার অ্যালার্ম থাকবে না কেন? ফায়ার এক্সিট থাকবে না কেন? এগুলো তো ভবন নির্মাণের ন্যূনতম শর্ত। এগুলো ছাড়া এই ভবনের নকশা অনুমোদন পেল কেমন করে? জানা গেল শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য নকশার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আরও জানা গেল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মোট চারবার তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা পরোয়া করেনি! শ্রমিকের জীবনের মূল্য কত তুচ্ছ হলে ন্যূনতম অগ্নিনিরাপত্তা ছাড়াই এত বড় একটা শিল্পকারখানা মাসের পর মাস চলতে পারে? তা–ও আবার এমন একটি কারখানা, যার ছয়তলায় ৬০ ড্রাম তেলের মজুত পাওয়া যায়! যেখানে পেট্রোকেমিক্যাল, রেজিন, ফয়েল, ঘি, বাটার, প্লাস্টিকসহ হেন কোনো দাহ্য পদার্থ নেই, যার মজুত ছিল না! এটা কি কারখানা ছিল, নাকি ছিল জ্বলন্ত মৃত্যুকূপ? এই মৃত্যুকূপ কলকারখানা পরিদর্শকদের নাকের ডগার ওপর দিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছিল? মাসের পর মাস বহাল তবিয়তে কীভাবে ‘প্রোডাকশন’ চলেছে? জনগণের করের টাকায় চলা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ কী তাহলে?
অঙ্গীকারনামা দিয়ে চলে কারখানা
নাগরিক কমিটির তদন্তে জানা গেল আরও এক অদ্ভুত ঘটনা। গত ২১ জুন আগুন লেগেছিল এই একই কারখানার চারতলায়। পরে জুলাই মাসের ৪ তারিখে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষকে চতুর্থবারের মতো নোটিশ পাঠানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে হাসেম ফুডস যে শিল্প গ্রুপের অধীনে পরিচালিত, সেই সজীব গ্রুপের পরিচালক তারেক ইব্রাহিম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালককে একটি অঙ্গীকারনামায় সই করে দেন। তাতে লেখা আছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ ৯০ দিনের মধ্যে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে, অন্যথা অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো ‘দুর্ঘটনা’ ঘটলে বা জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় সম্পূর্ণভাবে কারখানা কর্তৃপক্ষ নেবে। অর্থাৎ মানেটা দাঁড়াল এ রকম, ‘ভাই, এই যে দেখেন লিখে দিচ্ছি, আমার ফায়ার এক্সিট নাই, রাসায়নিক মালামাল রাখার লাইসেন্স নাই, কিন্তু আল্লাহ না করুক কিছু একটা হয়ে গেলে দায়দায়িত্ব সব আমাদের। আপনাদের কোনো দোষ নাই। আপনারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমান।’ ভাবা যায়! একটা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পের হলফনামায় সই করে দিয়ে পার পেয়ে গেল কারখানা কর্তৃপক্ষ? আর এই হলফনামা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মতো একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানও চুপ মেরে গেল (পেছনে কোনো আর্থিক লেনদেন আছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষ।) আর তার ঠিক চার দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো আগুন লেগে এতগুলো মানুষ মরে গেল? অথচ প্রথমবার আগুন লাগার পর ঠিক সময়মতো কারখানা সিলগালা করতে পারলে বেঁচে যেত এতগুলো তাজা প্রাণ।
হলফনামা দিয়েই যদি কলকারখানা চলবে, তাহলে শ্রম আইন, শ্রম আদালত, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, অগ্নিনির্বাপণ বিধিমালা হেনতেন এসব সুন্দর সুন্দর আইনকানুন ফ্রেমে বাঁধিয়ে রেখে লাভ কী? ভাবলেই গা শিউরে ওঠে যে এ রকম মৃত্যুকূপ আর কত আছে রূপগঞ্জে, টঙ্গীতে, গাজীপুরে! আগুন লেগে পুড়ে কয়লা হয়ে গেলেই আমরা শুধু জানতে পারব তাঁদের নামধাম–পরিচয়? জানতে পারব সরকারি সংস্থাগুলো তাদের কাজটা ঠিকমতো না করে আইনবহির্ভূত হলফনামা নিয়ে দায় সেরেছিল?
তদারকি সংস্থায় লোকবলসংকট
সরকারি তদারকি সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা অবশ্য বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে চাইলেও তাঁরা অনেক কিছুই করতে পারেন না। নারায়ণগঞ্জে নিবন্ধিত কারখানার সংখ্যা চার হাজারের ওপরে, অথচ পরিদর্শনের জন্য পরিদর্শক মাত্র ২০ জন! এত অল্পসংখ্যক মানুষের পক্ষে সব কারখানা পরিদর্শন করা দুরূহ কাজ। কিন্তু সরকারি পরিদর্শকের সংখ্যা এত কম কেন? যে দেশে হাজারো বিল্ডিং উঠে গেছে বিল্ডিং কোড না মেনে, যে দেশে শত শত কারখানায় কোনো ফায়ার এক্সিট নেই, ফায়ার অ্যালার্ম নেই, অগ্নিমহড়ার ন্যূনতম প্রশিক্ষণ নেই, যন্ত্রের মতো মানুষ উৎপাদনের কাজ করে, মালিক টাকা বানায়, আর আগুন লাগলে চার পাঁচতলা থেকে টপ টপ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে শ্রমিককে মরতে হয়, সেই দেশের শত শত কারখানার অগ্নিনিরাপত্তা দেখার জন্য সরকারের নিয়োগ হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন পরিদর্শক? নিয়ম হলো কলকারখানার সংখ্যা যত বাড়বে, তার সঙ্গে সমানুপাতিক হারে পরিদর্শকের সংখ্যাও বাড়বে। না হলে কিসের উন্নয়ন? কিসের ছয় লাখ কোটি টাকার বাজেট? উন্নয়ন কি শুধু কংক্রিটের দালান? মেট্রোরেলের পিলার? পদ্মা সেতুর স্প্যান? উন্নয়নের সংজ্ঞায় শ্রমিক কই? শ্রমিকের নিরাপত্তা কই?
যাঁরা শ্রম দেন, যাঁরা ‘উৎপাদন লাইন’ সচল রাখেন, যাঁরা মালামাল বাঁধেন, এমন হাজার শ্রমিকের জন্য সামান্য একটা অগ্নিনিরোধক দরজা, সামান্য একটা দড়ির জাল, সামান্য একটা নিরাপদ নকশা, সামান্য একজন পরিদর্শক নিশ্চিত করতে না পারা একটা রাষ্ট্র নিজেই নিজেকে উন্নয়নের রোল মডেল ঘোষণা দিয়ে নিজেই নিজেদের পিঠ চাপড়ে যাচ্ছে!
সাকিনা এবং সামিয়া নামের দুজন ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল রূপগঞ্জে, ওরা তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে জীবন বাঁচিয়েছিল। এলাকাবাসী তাদের নিচ থেকে আগলে নিয়েছিলেন বলে তারা হাত-পা ভাঙা থেকে বেঁচে গিয়েছিল। যদিও লাফিয়ে পড়া সবাই বাঁচতে পারেননি। থেঁতলে গিয়ে মরে গেছেন তিনজন। ভাবুন তো, মধ্য আয়ের দেশের ফায়ার সার্ভিস আর কলকারখানা পরিদর্শক মিলে এক বছরে একটা সামান্য দড়ির মই কিনতে বাধ্য করতে পারেননি কারখানা কর্তৃপক্ষকে। তার ওপর এমন একটি কারখানা, যেখানে শিশু-কিশোর শ্রমিকেরা আছেন।
শিল্প মানে শুধুই উৎপাদন, শ্রমিক বিবেচ্য নয়?
কারখানার তিনতলার ওই খোলা জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকালে পিলে চমকে ওঠে। কেমন লেগেছিল বাচ্চা মেয়েগুলোর? পেছনে ফুঁসে ওঠা আগুন আর সামনে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু! কেমন ছিল সাকিনা ও সামিয়ার লাফ দিয়ে পড়ার ওই মুহূর্ত? ঠিক কেমন লাগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা কারখানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনদের? তাঁরা কি বোঝেন, কত সহজে এবং কত কম খরচে বাঁচানো যেত এসব মানুষকে? তাঁরা কি বোঝেন এগুলো পোড়া কপাল নয়, বরং কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড? এর দায় যেমন মালিকের, তেমনি রাষ্ট্রের প্রতিটি তদারকি প্রতিষ্ঠানের।
এই দেশের শিল্প খাতের বিকাশ কি তাহলে এভাবেই হবে? মালিক রপ্তানি করবে, অঢেল টাকা কামাবে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়বে, আর শ্রমিক জান বাজি রেখে ছয়তলায় তেল ভাজবে? শিল্প কি শুধু ‘উৎপাদন’? শিল্প কি শুধু মেশিন? শিল্প কি শ্রমিক নয়? শ্রমিক মারার সব ধরনের বন্দোবস্তের ওপর দাঁড়িয়ে এ কেমন শিল্পায়ন?
গত বছর সরকারের তরফে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। শর্ত ছিল শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে। অথচ গোটা বছর ধরে বিধিনিষেধে আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুরের বহু শ্রমিক নিদারুণ অর্থকষ্টে ছিলেন, প্রায় না খেয়ে ছিলেন। আর বিদেশি ক্রেতা, সরকার, ও দাতাগোষ্ঠী মিলে ৬২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছিল পোশাক খাতের মালিকদের। টিআইবি হিসাব করে দেখিয়েছে, এর মধ্যে ৮৩ শতাংশই খরচ হয়ে গেছে কারখানা মালিকদের ব্যবসা গোছাতে। শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ১৬ শতাংশ!
এ বছর তৈরি পোশাকশিল্প তুমুল গতিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকার অর্ডার এসেছে (১০ বিলিয়ন ডলার)। চলতি অর্থবছরে পোশাক খাতের রপ্তানি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। অথচ গত এক বছরে প্রায় তিন লাখ পোশাকশ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। বন্ধ বা লে-অফ ঘোষণা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০০ কারখানা। এখনো সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ আর টঙ্গী বিসিকের হাজারো শ্রমিক কর্মহীন। বহু ছাঁটাই হওয়া শ্রমিক তাঁদের পুরো পাওনা টাকা বুঝে পাননি। তাঁদের জন্য কোথাও কোনো বরাদ্দ চোখে পড়ে?
শ্রমিক মরছে, জিডিপি বাড়ছে
একদিকে হাজার কোটি টাকার নির্মাণশিল্পের বিকাশ হয়েছে, উঁচু উঁচু ইমারতের সংখ্যা বেড়েছে, আবার ওই সব দালান থেকে পড়ে গিয়ে হাড়ভাঙা শ্রমিকের সংখ্যাও বেড়েছে। শুধু ২০২০ সালেই নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন প্রায় অর্ধশত শ্রমিক। তার আগের বছর নির্মাণ খাতে মারা গেছেন ১১৭ জন। অথচ একটা ‘সেফটি নেট’ বা জাল থাকলেই বেঁচে যায় কত শত প্রাণ। লক্ষ কোটি টাকার নির্মাণশিল্পে ২০০ টাকার হেলমেট নেই শ্রমিকের! অথচ এই নির্মাণশিল্প আমাদের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ।
গত বছর স্টিল কারখানাগুলোতে কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন ১৯ জন শ্রমিক, বিদ্যুৎ খাতের কর্মী মারা গেছেন ৪৮ জন, জুতা কারখানায় ২০ জন, আর জাহাজভাঙাশিল্পে ২৯ জন। সব মিলিয়ে ২০২০ সালে শুধু কর্মক্ষেত্রেই মরে গেছেন ৭২৯ জন শ্রমিক! তার আগের বছর কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ শ্রমিক! অথচ এই শত শত মৃত্যু অনায়াসে ঠেকানো যায়। ঠেকানোর জন্য আইন আছে, সরকারের লোকবল আছে। পরিদর্শন করে জরিমানা করার এবং কারখানার লাইসেন্স স্থগিত করার এখতিয়ার আছে। কিন্তু পরিদর্শকদের সবাই কি সৎ? আবার এই দুর্বৃত্তায়িত রাষ্ট্রে একজন দায়িত্ববান পরিদর্শক কি ক্ষমতাবানের কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন?
১৯১১ সালে নিউইয়র্কের ট্রায়াঙ্গল শার্টওয়েস্ট কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে ৯-১০ তলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে মারা যান প্রায় ১৪৬ জন শ্রমিক (বেশির ভাগই নারী)। এ ঘটনা এমনভাবে নাড়া দিয়েছিল গোটা মার্কিন সমাজকে যে এরপর থেকেই আমেরিকার শ্রম আইনে যুগান্তকারী সব পরিবর্তন আসে। কারখানার পরিবেশ, শ্রমিকের নিরাপত্তা, ন্যূনতম মজুরি, কর্মঘণ্টা, ট্রেড ইউনিয়নের অধিকারসহ প্রতিটি অবহেলিত ক্ষেত্রেই একের পর এক পরিবর্তন আনা হয়। ফলস্বরূপ ১৯১১ সালের পর এমন নির্মম অগ্নিকাণ্ড আমেরিকার ইতিহাসে আর একটিও ঘটেনি। কিন্তু আমাদের কি ধাক্কা লাগে?
স্পেকট্রামের পর কেটিএস, কেটিএসের পর হা–মীম, হা–মীমের পর তাজরীন, তাজরীনের পর রানা প্লাজা, রানা প্লাজার পর হাসেম ফুডস। কোনো বিকার নেই, কোনো ধাক্কা নেই। লাইসেন্সবিহীন কেমিক্যালের গুদামে ভাজাভাজি চলছে, হেলে পড়া দালানে ভারী মেশিন চলছে, শিশু শ্রমিক তালাবদ্ধ রেখে উৎপাদন চলছে, ফায়ার এক্সিট ছাড়া গোটা ছয়তলা ভবন উঠে গেছে! শ্রমিক মারার সব বন্দোবস্ত পাকাপোক্ত করে ‘প্রোডাকশন’ চলছেই। জিডিপি বাড়ছেই। দেশ সিঙ্গাপুর হচ্ছেই। মনে রাখা ভালো, শত শত শ্রমিক আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেলেও দেশের জিডিপি কিন্তু একবিন্দুও কমে না।