বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া বিভাগে চলছে নাজুক অবস্থা। আগের মতো তেমন খুব একটা দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অধিকাংশ সময় অলস সময় পার করছে। যন্ত্রপাতি, কলকবজা বিকল হয়ে পড়ছে। আবার শিক্ষার্থীরাও মিডিয়া বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না।
অথচ প্রতিষ্ঠালগ্ন সময় থেকেই বাউবিতে একটা আধুনিক সমৃদ্ধিশালী মিডিয়া বিভাগ ছিল। বাউবির শিক্ষাবিষয়ক অনুষ্ঠানসমূহ বিটিভি, বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিতভাবে সম্প্রচার করা হতো। দেশের নামকরা অনেক প্রযোজক, সাংবাদিকেরা তাদের প্রাথমিক অবস্থায় বাউবি মিডিয়া বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন। গত ৪ বছর আগে বিগত প্রশাসনের ব্যর্থতায় বিটিভি, বাংলাদেশ বেতারে বাউবির অনুষ্ঠানসমূহ সম্প্রচার করা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মিডিয়া বিভাগে ৬০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। প্রতি মাসে বিপুল টাকার বেতন চলে যায় মিডিয়া বিভাগের স্টাফদের জন্য। কিন্তু তাদের আশানুরূপ দৃশ্যমান খুব একটা কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।
বাউবি মিডিয়া বিভাগ প্রধানত ২টা সেক্টরে কাজ করে। একটা হচ্ছে প্রিন্ট মিডিয়া আরেকটা হচ্ছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া। বাউবি মিডিয়া বিভাগে ওয়েব টিভি, ওপেন টিভি, ওয়েব রেডিও, ইউটিউব চ্যানেল আর ফেসবুক পেজ রয়েছে। ফেসবুক পেজ বাদে বাকিগুলোর আশানুরূপ কোনো চিত্র লক্ষ্য করা যায় না। এ ছাড়া গাজীপুর মূল ক্যাম্পাসে ৩টি এবং ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্র ক্যাম্পাসে ১টি সহ সর্বমোট ৪টি স্টুডিও রয়েছে। বাউবি মিডিয়া বিভাগের যে পরিমাণ অবকাঠামো রয়েছে, সক্ষমতা ও জনবল আছে; তা দিয়ে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালানোও সম্ভব।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে; বাউবি মিডিয়া বিভাগ কি স্থবির হয়েই থাকবে? এই মরীচিকা থেকে কি বের হয়ে আসতে পারবে না? আমরা শিক্ষার্থীরা আশা করি; জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা নতুন প্রশাসন বাউবির মিডিয়া বিভাগের পুনর্জাগরণ ঘটাবে।
মো. লিটন হোসেন
শিক্ষার্থী, আইন প্রোগ্রাম
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়