আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকি

নতুন বছর উদ্‌যাপন একটি আনন্দঘন মুহূর্ত, যা জীবনের পুরোনো অধ্যায়কে বিদায় জানিয়ে নতুন লক্ষ্য স্থির করার জন্য বিশেষ সময়। তবে বর্তমানে আমাদের দেশে থার্টি ফাস্ট নাইট উদ্‌যাপনে আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো এবং উচ্চশব্দে মিউজিক বাজিয়ে নতুন বছরকে আগমন জানানোর প্রবণতা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েছে। এসব উদ্‌যাপন আমাদের সাময়িক সময়ের জন্য আনন্দ দিলেও এর বিরূপ প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করে।

আতশবাজি থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়, যা বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। বিশেষ করে ফানুস উড়ানো থেকে সহজেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এটি মানুষের জীবন এবং সম্পদের জন্য বড় হুমকি। আতশবাজির উচ্চ শব্দ ও আলোর ঝলকানি আশপাশের পশু-পাখির জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়। এ ছাড়াও আতশবাজির ধোঁয়া শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের জন্য।

বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফানুস ওড়ানোর ফলে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছে বিভিন্ন দোকানপাট ঘর-বাড়ি। স্পষ্টত ফানুসের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থাকে। তাই এ বিষয়গুলোকে বর্জন করা এখন দেশ ও পরিবেশ রক্ষায় অতীব জরুরি। এ জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।

আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর পরিবর্তে আলো দিয়ে ঘর সাজানো বা প্রিয়জনদের সঙ্গে একত্রে বসে গল্প করার মাধ্যমে উদ্‌যাপন হতে পারে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সাউন্ডবক্সের মাত্রাও কমিয়ে রাখা যায়। আমরা যদি আনন্দের পাশাপাশি সচেতন থাকি, তবে আমাদের উদ্‌যাপন হবে সবার জন্য নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব।

সাইমা বিভা

মৃৎশিল্প ভাস্কর্য বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়