আমার যমজ সন্তানের একজনকে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত লটারিতে নির্বাচিত হয়ে ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শুধু একজন সন্তানকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করে নিয়েছে।
যমজ সন্তানের ক্ষেত্রে একটি ফরমে যমজদের আবেদন করার নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ এবং নির্দেশনায় বলা ছিল, একাধিক আবেদন করা হলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। সুতরাং নির্দেশিকা অনুযায়ী আমরা আবেদন করি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধু আমার এক সন্তানকে ভর্তি নিয়েছে, স্কুলে অনেকবার যোগাযোগ করার পরও আমার অন্য সন্তানকে এখন পর্যন্ত ভর্তি করাতে পারিনি।
যমজ সন্তানের ভর্তির এ ভোগান্তি শুধু আমার নয়, এটা একটা জাতীয় সমস্যা। সারা বাংলাদেশের যমজ সন্তানের অনেক অভিভাবক এ সমস্যা নিয়ে স্কুলে স্কুলে ঘুরছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ আনলে আমরা ভর্তি করে নেব।
সুতরাং আমি যমজ সন্তানদের সব অভিভাবকের পক্ষে আপনার দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি; যাতে এই মানবিক ও অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সমাধানের জন্য একটি সাধারণ নির্দেশনা স্কুল পর্যায়ে দিয়ে সমস্যাটির সুষ্ঠু একটা সমাধান করে যমজ সন্তানদের একসঙ্গে পড়ালেখা করার সুযোগ প্রদান করুক। তাহলে সারা দেশের সব যমজ শিশু একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার সুযোগ পাবে এবং অভিভাবকদের ভোগান্তি দূর হবে।
মো. রফিকুল ইসলাম
যমজ সন্তানের অভিভাবক