ডিবি পুলিশের কাছ থেকে ফিরে এসে জনাব আলম আমাদের জানিয়েছিলেন, ডিবি পুলিশ তাঁকে রীতিমতো তুই-তোকারি করে তাঁর চেহারা, শারীরিক গঠন, গায়ের রং সবকিছু নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলেছিল, তিনি যেন তাঁর নামের আগে আর ‘হিরো’ শব্দটি ব্যবহার না করেন। কিছু পুলিশের ভালো না–ও লাগতে পারে—এটি মাথায় নিয়েই আমি এই কলামে জনাব আলমের নামের আগে ‘হিরো’ লিখছি।
হিরো আলমকে নিয়ে ডিবি পুলিশের কাণ্ড নিয়ে আলোচনা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদমাধ্যমে। এই চরম বিষয়টা ঘটার পর এই বিষয়টা আপাতত শেষ হয়ে যাওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ একটা সাক্ষাৎকারে চোখ পড়ায় মনে হলো বিষয়টা নিয়ে কিছু কথা বলা জরুরি।
৫ আগস্ট জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলের বাংলা ভার্সনে পুলিশের সাবেক আইজি জনাব নূর মোহাম্মদের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়, যাতে তিনি যা বলেছেন, সেটা খুব গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার দাবি রাখে। জনাব নূর মোহাম্মদ সচিব এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও এই আলোচনার ক্ষেত্রে তাঁর সংসদ সদস্য আর সাবেক আইজিপি, গুরুত্বপূর্ণ এই পরিচয় দুটি মাথায় রাখব। সাক্ষাৎকারটিতে জনাব নূর মোহাম্মদ হিরো আলমের শারীরিক গঠন আর তাঁর নাম নিয়ে পুলিশ যা করেছে, সেটাকে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু জনাব আলমের রবীন্দ্র/নজরুলসংগীত গাওয়ার বিষয়ে পুলিশ যা করেছে, সেটা করার ক্ষেত্রে পুলিশের এখতিয়ার আছে কি না, সেটা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন—
‘বাংলাদেশে, আমাদের মতো দেশে পুলিশ কোন কাজটা করে না বলেন? সব কাজই পুলিশ করে, সবকিছুতেই পুলিশকে সম্পৃক্ত করা হয়। রাস্তায় যদি ময়লা পড়ে থাকে, যেটা পুলিশের করার কথা না, কিন্তু সেটাও পুলিশকে করতে হয়। সবকিছু মিলিয়েই তো পুলিশ কাজ করে। এখানে যে বিষয়টা নিয়ে বললেন, সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আমি হিরো আলমের কখনো কিছু দেখি নাই। টিভিতে বা কোথাও হয়তো দু–একবার কিছু দেখেছি, মনে নেই। তার কর্মকাণ্ড আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কীভাবে দেখছে? এটা আমার কাছে নিছক একটা ফাজলামি মনে হচ্ছে না। সমাজ–সংস্কৃতি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, এখানে তাঁদের কথা বলা উচিত। এটা বিকৃত একটা অবস্থান। যেহেতু এখানে কেউ কিছু বলছে না, পুলিশ যদি হস্তক্ষেপ করে, তাহলে অসুবিধাটা কী? আমি বিষয়টাকে ওভাবে দেখি।’
জনাব নূর মোহাম্মদ মনে করছেন, পুলিশ নিজস্ব চিন্তার ভিত্তিতে কোনো কিছুকে অপরাধ বলে মনে করে, কোনো আইন ভঙ্গের অভিযোগ ছাড়া কাউকে ডেকে নিয়ে আসতে পারে। মুচলেকা দিতে বাধ্য করতে পারে। এটা তার রাষ্ট্র কাজ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বোঝাপড়ার চরম ঘাটতিকেই নির্দেশ করে। আর যদি রাষ্ট্র কাজ করার প্রক্রিয়া জেনেবুঝেও জনাব নূর মোহাম্মদ এসব বলে থাকেন, তাহলে এটা আবার আরেক ভয়ংকর পরিস্থিতিকে নির্দেশ করে, ক্ষমতাসীনেরা যাচ্ছেতাই বলতেও এখন আর দ্বিধা করছেন না।
এরপর হিরো আলম যদি সঠিক সুরে রবীন্দ্রসংগীত না গেয়ে থাকেন, তাহলে কেউ না শুনতেই পারেন, কিন্তু সেটা তো অপরাধ হতে পারে না। কিন্তু তবুও পুলিশ এমন করেছে কেন, তার জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচলিত আইনে আমি কোনো অপরাধ দেখি না। কিন্তু এখানে একটা বিষয় আছে, কোনো কিছু বিকৃত করা কিন্তু অপরাধ। রবীন্দ্রনাথের গান তো নির্দিষ্ট একটা সুরেই গাইতে হয়। এটা যদি কেউ বিকৃত করে, তাহলে তাকে কি আইনের আওতায় আনতে হবে না? আমি এটাই মনে করি। ’
একটা রাষ্ট্রে কোনো অঙ্গের কোনো প্রতিষ্ঠান কীভাবে কাজ করবে, তার ক্ষমতা কতটা হবে, কতটুকুইবা হবে তার ক্ষমতা চর্চা করার চৌহদ্দি, সেসব ঠিক করা হয়ে থাকে আইনের মাধ্যমে। এ জন্য একটা রাষ্ট্রে থাকে অসংখ্য আইন, যা আবার মাতৃ-আইনের (সংবিধান) সঙ্গে কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক হতে পারে না। নতুন সময়ে পরিস্থিতি পাল্টে যায়, তাই আগে থেকে থাকা কোনো আইন সংশোধিত হয়। আবার কখনো এতই নতুন পরিস্থিতি আসে যে প্রয়োজন হয় একেবারেই নতুন কোনো আইন।
পুলিশ রাষ্ট্রের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। পুলিশ কীভাবে চলবে, পুলিশ কীভাবে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে, পুলিশ কোথায় কতটুকু ক্ষমতা প্রয়োগ করবে, সেটার জন্য পুলিশের নিজস্ব আইন আছে। এ ছাড়া অন্য কোনো আইনে যদি ফৌজদারি অপরাধ এবং পুলিশি ব্যবস্থার বিধান থাকে, সেখানেও পুলিশ কীভাবে কাজ করবে, সেটার আইনি ভিত্তি থাকে।
আমাদের মনে রাখা উচিত, পুলিশ আর সব প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আলাদা, কারণ এই বাহিনীটি অস্ত্র বহন করে এবং তার বলপ্রয়োগ করার আইনি ক্ষমতা আছে। এমনকি বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে কাউকে হত্যা করার এখতিয়ারও পুলিশের আছে। এ কারণেই পুলিশ কতটা আইন মেনে চলছে, সেটা নাগরিকদের অনুসরণ করা এবং তার ব্যত্যয় হলে সেটা নিয়ে দৃঢ়ভাবে প্রশ্ন তোলা এবং প্রতিবাদ করা জরুরি।
পুলিশের অস্ত্র বহন আর বলপ্রয়োগের সক্ষমতার কথা এল বলে প্রাসঙ্গিকভাবে এখানে বলে রাখতে চাই, আমাদের পুলিশ এমন অস্ত্র ব্যবহার করে, যেটা কোনোভাবেই পুলিশের ব্যবহার করার কথা ছিল না। ট্রাফিক পুলিশ ছাড়া আমাদের দেশে আগ্নেয়াস্ত্রহীন পুলিশ দেখা যায় না। ন্যূনতম একটা শটগান থাকে কনস্টেবল পর্যায়ের পুলিশের হাতে, যদিও সেই সংখ্যাটা খুব অল্প। কনস্টেবল পর্যায়ের পুলিশের কাছে এই মুহূর্তে যে অস্ত্রটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, সেটিকে সাধারণভাবে আমরা চিনি চায়নিজ রাইফেল হিসেবে (চায়নিজ এসকেএস টাইপ ৫৬)। এর ব্যবহৃত বুলেট (৭.৬২ * ৩৯ মিলিমিটার) হচ্ছে আমাদের অনেকের কাছে পরিচিত একে-৪৭ কালাশনিকভ এবং এ শ্রেণির অন্যান্য অস্ত্রে (যেমন বাংলাদেশে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির তৈরি বিডি ০৮ এসল্ট রাইফেল) ব্যবহৃত বুলেট।
পুলিশের হাতে চায়নিজ এসকেএস টাইপ ৫৬ আসার আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেসিক অস্ত্র ছিল এই রাইফেলটি। এখন এটা আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও ব্যবহার করে। অর্থাৎ বাংলাদেশ পুলিশ এখন গণহারে এমন একটি অস্ত্র ব্যবহার করছে, যার সক্ষমতা মিলিটারি-গ্রেড–এর। এর গুলি ৫০০ মিটারের মধ্যে যেকোনো লক্ষ্যকে সঠিকভাবে ভেদ করতে পারে (ইফেক্টিভ রেঞ্জ) আর প্রাণঘাতী হতে পারে, এমনকি দেড় কিলোমিটারের বেশি দূরেও। অর্থাৎ নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের পুলিশ ব্যবহার করে এমন অস্ত্র, যা ব্যবহার করার কথা ছিল শত্রুরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়। এটা অকল্পনীয় বিষয়, এমন অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে।
ফিরে আসা যাক জনাব হিরো আলম প্রসঙ্গে। আমাদের দেশের খুব উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ দীর্ঘকাল ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে ছিলেন। তাঁরা জানতেন এটা করার কোনো আইনগত অধিকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই। কিন্তু এই ‘টোটকা’ সাহায্য করবে অপরাধ কমাতে, এমন বিশ্বাস মানুষকে এই বর্বরতার পক্ষে নিয়েছিল। সেসব মানুষের ভুল ছিল এই জায়গাটিতেই।
দুটি বিষয়ে মাত্রাগত চরম পার্থক্য আছে, কিন্তু সেটা সরিয়ে রেখে ভাবলে হিরো আলমের সঙ্গে করা পুলিশের আচরণকে ক্রসফায়ারের সঙ্গে তুলনা করা যায়। দুটি ক্ষেত্রেই পুলিশ এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ করেছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, একটা আধুনিক রাষ্ট্রের কাঠামো বিবেচনা করলে জনাব হিরো আলমকে নিয়ে পুলিশ যা করেছে সেটা, এমনকি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের চেয়ে খারাপ।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে কোনো একজন মানুষকে এমন অভিযোগে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়, যেটা আমাদের দণ্ডবিধিতে একটা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। জনাব হিরো আলম যদি বেসুরো গলায় রবীন্দ্রসংগীত গেয়েই থাকেন, তাহলেও প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কোন আইনে অপরাধ করেছেন? তেমন কোনো আইন নেই দেশে। তাহলে পুলিশ এমন একজনকে এসব করতে বারণ করে মুচলেকা দিতে বাধ্য করেছে, যিনি দেশের প্রচলিত কোনো আইনে অপরাধ করেননি। এমনকি তেমন কোনো আইন থাকলেও সেটা ভেঙে যদি তিনি অপরাধ করতেন, তবুও সেটা বিচার করার কোনো সাংবিধানিক এবং আইনি অধিকার পুলিশের নেই। সেই অধিকার বিচার বিভাগের। বলা বাহুল্য, এসব কথা রাষ্ট্রের ক্ষমতার পৃথক্করণ (সেপারেশন অব পাওয়ার) অত্যন্ত প্রাথমিক আলাপ।
কাগজে-কলমে এই দেশ সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ। এখন যে সংসদ আছে সেটির গঠন প্রক্রিয়া, অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে তীব্র সমালোচনা আছে, কিন্তু এই সংসদই হচ্ছে দেশের আইন প্রণয়নের প্রতিষ্ঠান। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে যেহেতু তাঁদের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়, তাই বাংলাদেশের সংসদ আসলে কোনোভাবেই আইন বিভাগ নয়। এ দেশের সংসদে একজন ব্যক্তি (সরকারপ্রধান) যা চাইবেন, ঠিক তেমন আইন হওয়া ঠেকানোর কোনো ক্ষমতা সংসদের নেই। সংবিধান অনুসরণ করে যেকোনো আইনকে সংসদে পাস হতে হয়, কিন্তু সেটা কার্যত সরকারপ্রধানের চাওয়াকে বৈধতা দেওয়ার ‘আনুষ্ঠানিকতার’ চেয়ে বেশি কিছু না।
ওপরে উল্লিখিত কারণেই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া শুধু ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে আছে, আইন প্রণয়নের সঙ্গে নয়। তাই এমনকি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছিল, তখনো সংসদ নির্বাচনে ‘বড়’ দলগুলো থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল সেসব মানুষকে, যাঁরা অর্থ এবং পেশিশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচিত হতে পারেন। কিন্তু এর মধ্যেও নিশ্চয়ই কিছু মানুষ ব্যতিক্রম ছিলেন, যাঁরা সত্যিকার আইনপ্রণেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। তাঁরা নিশ্চয়ই বোঝেন একটা রাষ্ট্র আসলে চলে কীভাবে।
জনাব নূর মোহাম্মদ পুলিশ প্রধান ছিলেন। জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘ সময় যে বাহিনীতে কাজ করেছেন, তার অন্যায়কে সমর্থন করতে গিয়ে তিনি এমন কিছু কথা বলেছেন, যেগুলো আমাদের জন্য ভীষণ ভীতিকর। একজন সাবেক পুলিশ প্রধান জানেন না কিংবা জেনেও গায়ের জোরে বলার চেষ্টা করেছেন পুলিশ হিরো আলমের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটা তারা করতেই পারে। এমন একজন মানুষ ছিলেন এ দেশের পুলিশ প্রধান!
জনাব নূর মোহাম্মদ বর্তমান সংসদের একজন সদস্য, ছিলেন আগের সংসদটিতেও। তাঁর দলের অনেক সংসদ সদস্যের চেয়ে তাঁকে আলাদা করে দেখেন অনেকেই এবং মনে করেন একজন সত্যিকার ‘আইনপ্রণেতা’ হওয়ার যোগ্যতা তাঁর আছে। কিন্তু তেমন একজন মানুষ যখন বিশ্বাস করেন, পুলিশ এমন কোনো কাজও করতে পারে, যেটা কোনোভাবেই তার ক্ষমতা প্রয়োগের চৌহদ্দিতে পড়ে না, সেটা ভয়ংকর।
জনাব নূর মোহাম্মদ তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কোনো কিছু বিকৃত করা অপরাধ’। তাঁর কথা বাদই দিই, স্বয়ং সরকারপ্রধান এমন একটা কথা বলে কাউকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে আনতে পারেন? পুলিশের মধ্য পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা কিংবা পুলিশ প্রধান, এমনকি সরকারপ্রধানের মুখের কথাই কি আইন হতে পারে? বাংলাদেশে কি ৮০০ বছর আগের ম্যাগনাকার্টার আলাপ ফিরিয়ে আনতে হবে?
জনাব নূর মোহাম্মদ মনে করছেন, পুলিশ নিজস্ব চিন্তার ভিত্তিতে কোনো কিছুকে অপরাধ বলে মনে করে, কোনো আইন ভঙ্গের অভিযোগ ছাড়া কাউকে ডেকে নিয়ে আসতে পারে। মুচলেকা দিতে বাধ্য করতে পারে। এটা তার রাষ্ট্র কাজ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বোঝাপড়ার চরম ঘাটতিকেই নির্দেশ করে। আর যদি রাষ্ট্র কাজ করার প্রক্রিয়া জেনেবুঝেও জনাব নূর মোহাম্মদ এসব বলে থাকেন, তাহলে এটা আবার আরেক ভয়ংকর পরিস্থিতিকে নির্দেশ করে, ক্ষমতাসীনেরা যাচ্ছেতাই বলতেও এখন আর দ্বিধা করছেন না।
ডা. জাহেদ উর রহমান ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক