এবার ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার যেসব তথ্য আপনারা দিয়েছেন, তার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের তথ্য মেলে না। আপনাদের দেওয়া অনেক তথ্যের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রানা দাশগুপ্ত: দেখুন, আমরাও তো আশা করেছিলাম সবার জন্য একটা সুন্দর ও নির্ভয় পরিবেশ আসবে। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের আগের দিন ৪ আগস্ট দেশের অন্তত পাঁচটি জেলার সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ৩৯টি জেলায় সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হন। সেই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্থানে টেলিফোনে খবরগুলো আসতে থাকে। যাচাই করার সুযোগ ছিল না। কিছু তথ্যগত ভুল থাকতে পারে।
এরপর তো আমরা প্রথম আলোসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকেই সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলার খবর জানতে পারি। কেবল হামলা নয়, লুটপাটও হয়েছে। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পর্যন্ত লুট করে নিয়েছে।
আমাদের প্রাথমিক তথ্য হলো ৫০টিরই বেশি জেলায় দুই শতাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এখনো তথ্য সংগ্রহ করছি। ২৩ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুরো চিত্র তুলে ধরব। আর এসব হামলার ঘটনা শুধু সংখ্যা দিয়ে দেখলে হবে না। এক বাড়িতে হামলা হলে ১০ বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হন।
এখনো কি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে?
রানা দাশগুপ্ত: আপনি যদি সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলার কথা বলেন, সেটা এখন হচ্ছে না। কিন্তু ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। চাঁদাবাজি চলছে। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের মধ্য থেকে যেসব অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক ছিলেন, তাঁদের চাপ দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব কি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নয়?
অনেকেই বলেন, এসব হামলা সাম্প্রদায়িক নয়। রাজনৈতিক কারণেই সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু উভয়ের ওপর হামলা হয়েছে। আপনারা এটিকে সাম্প্রদায়িক বলছেন কেন?
রানা দাশগুপ্ত: ৩ আগস্ট ছাত্র গণ-আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মনিটরিং সেল করি। ৫ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্যগুলো আমরা সংবাদমাধ্যমে দিয়েছি। সেসব ঘটনার ধরন কিন্তু রাজনৈতিক নয়।
সংখ্যালঘুদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। রাজনৈতিকভাবে যুক্ত নন, সেই মানুষগুলো যখন আক্রান্ত হন, তখন তাকে কী বলবেন? আমি প্রথম আলোকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা এসব হামলার ঘটনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছে।
অতীতেও দেখেছি, নির্বাচনের আগে ও পরে কিংবা যেকোনো রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। এসব সাম্প্রদায়িক হামলা ছাড়া কিছু নয়। যদি সাম্প্রদায়িক হামলা না হবে, তাহলে ৬ আগস্ট রাজশাহীতে কেন প্রয়াত চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হলো। তিনি তো আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না। তিনি বাংলাদেশ নিয়ে ছবি করলেও কখনো বাংলাদেশে থাকেননি। তিনি হিন্দু বলেই তাঁর বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে।
আর একটি কারণ, তাঁর বাড়িতে আক্রমণের মাধ্যমে বাঙালির কৃতী সন্তানদের চিহ্নগুলো মুছে ফেলা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বিমানবন্দরে নেমেও কিন্তু সাম্প্রদায়িক দুর্ঘটনাগুলোর কথা স্বীকার করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে সংখ্যালঘুদের ওপর আর হামলা হবে না। সবাই এক পরিবারের সদস্য হিসেবে থাকবেন। তাঁর এ কথায় আপনারা কি আশ্বস্ত হয়েছেন?
রানা দাশগুপ্ত: আমরা আস্থা রাখতে চাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও চারজন মারা গেছেন। তাহলে কীভাবে বলবেন, এই আন্দোলনে সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ ছিল না। পার্বত্য চট্টগ্রামে দেখেছেন গ্রাফিতি আঁকায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় হাজার হাজার পাহাড়ি তরুণ সমাবেশ করেছেন।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্য সংবাদমাধ্যমগুলোয় প্রচারিত হওয়ার পর হামলা-সহিংসতা কমে যায়।
এখন আর হামলার খবর আসছে না। আমরা তাঁর ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ করেছি। মোদির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। আমরা নেতিবাচকভাবে দেখতে চাই না। এটা ইতিবাচক বলে মনে করি।
রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কীভাবে দেখেন?
রানা দাশগুপ্ত: সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো পারস্পরিক দোষারোপ করে থাকে। কেউ কেউ ঘটনা স্বীকারই করতে চান না। তবে এবার বিএনপিসহ অনেক দলই সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা করছে বলে মনে হয়। আপনি বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে যদি বৈষম্যহীন করতে চান, তাহলে স্পেডকে স্পেডই বলতে হবে।
বৈষম্যমূলক রাজনীতি থেকে কী করে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারে, সেই লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। ছাত্ররা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ১৯৮৮ সালে এরশাদ সাহেব রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলে আমরাও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগঠিত হই। আমরা আশা করতে চাই, ছাত্রসমাজের এই সফল আন্দোলনের পর দেশে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
অভিযোগ আছে, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যে দুঃশাসন করেছে, আপনারা তার সঙ্গী ছিলেন, প্রতিবাদ করেননি। ক্ষমতার পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার এটাও একটি কারণ বলে ধরা হয়।
রানা দাশগুপ্ত: অভিযোগটি সঠিক নয়। গত ১৫ বছরে আমরা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছি। আওয়ামী লীগ আমলেও তো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে। রামু, নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জ ও সাঁথিয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালে দুর্গোৎসবের সময় কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্নস্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার প্রতিবাদ করেছি। মনে রাখতে হবে, এ দেশের সংখ্যালঘুরা কোনো দলের বা অন্য কোনো দেশের দালাল নয়। তারা যদি দালাল হয়ে থাকে, বাংলাদেশেরই দালাল।
আওয়ামী লীগ আমলে যে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ করলেন না কেন?
রানা দাশগুপ্ত: দেখুন, আমাদের এই সংগঠনে বিভিন্ন দলের লোক আছেন। কেউ আওয়ামী লীগ করেন, কেউ বিএনপি করেন, কেউ গণফোরাম করেন। তাঁরা তাঁদের অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করেছেন। আর নাগরিক সংগঠন হিসেবে ঐক্য পরিষদ তৈরিই হয়েছে অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমরা সেটা করেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন করেছি। সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনেও প্রমাণিত হয় সে সময় গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ঘাটতি ছিল।
আপনি জানেন, এখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অতিরঞ্জন করেছে। এখানে সংখ্যালঘুদের ওপর গণহত্যা চলছে বলেও তারা প্রচার করছে। সেখানকার রাজনৈতিক নেতারাও উসকানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। এ ধরনের প্রচারণা বাংলাদেশের ভেতরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে কি না?
রানা দাশগুপ্ত: বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মানুষ না চাইলে অন্য কোনো দেশের প্রচারণা এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, ভারতের সংবাদমাধ্যম কী প্রচার করেছে, তা আমার জানা নেই। আমি ভারতীয় কোনো সংবাদমাধ্যম পড়িনি, শুনিওনি। এখানকার সংবাদমাধ্যমের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।
এবার যেমন সংখ্যালঘুদের প্রতি হামলা হয়েছে, তেমনি সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষকে তাদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় পাহারা দিতেও দেখেছি।
রানা দাশগুপ্ত: আমরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করি। সেই সঙ্গে আমি বলতে চাই, পাহারা দিতে হবে কেন? প্রথম কথা হলো আমি আক্রান্ত হব কেন? আমার ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হবে কেন? এই বাংলাদেশের জন্য তো আমরা যুদ্ধ করিনি। হামলা কিন্তু কেবল হিন্দুদের ওপর হয়নি। বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের ওপরও হয়েছে। পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের ওপর হয়েছে। এখনো হুমকি চলছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিন্দু শিক্ষকদের যোগ দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘুরা একধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এটা তো পাহারা দিয়ে সমাধান হবে না। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।
অভিযোগ আছে, সংখ্যালঘুরা সব সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকেন? অন্য দলকে পর মনে করেন?
রানা দাশগুপ্ত: সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সব সময় দেখে তাদের নিরাপত্তা কারা দেবে। সেই দলের সঙ্গেই তারা যুক্ত হবে, যে দল ন্যূনতম নিরাপত্তা দেবে। একাত্তরে যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই স্বপ্ন তো বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারিনি।
আওয়ামী লীগ আমলে চাকরি–বাকরির ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুরা বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন বলে জনমনে ধারণা।
রানা দাশগুপ্ত: বাড়তি সুবিধা তাঁরা পাননি। এটা বলা হচ্ছে এ কারণে যে অতীতে তাঁরা কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি। এ জন্য বেশি মনে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যখন চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য কমাল, তখনই একশ্রেণির মানুষ প্রচার করতে থাকেন, বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অতীতে সর্বক্ষেত্রে বঞ্চনা ও বৈষম্য ছিল। সশস্ত্র বাহিনীতে সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ ১ শতাংশ, পুলিশ বিভাগে ৩ শতাংশ, অন্যান্য সরকারি চাকরিতে ৪-৫ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমবেশি ১০ শতাংশ হতে পারে। তা-ও জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের চেয়ে বেশি নয়।
কিন্তু ভারতে তো মুসলমানদের সংখ্যা ১৪ শতাংশের মতো। সেখানে চাকরি–বাকরির ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান কী?
রানা দাশগুপ্ত: চাকরি–বাকরি কিন্তু হয় শিক্ষার ভিত্তিতে। সেখানকার মুসলমানদের প্রবণতা হলো মাদ্রাসায় সন্তানদের পাঠানো। মাদ্রাসায় যাঁরা পড়েন, তাঁরা মূলধারার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেন না। আরেকটি কথা, ভারতে তো সংখ্যালঘুদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। সেনাপ্রধান হয়েছেন। প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। এখানে একজন প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন, এস কে সিনহা। একজন আইনজীবী হিসেবে বলব, যেভাবে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে, সেটা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। সংগঠনগতভাবে না হলেও একজন আইনজীবী হিসেবে আমি প্রতিবাদ করেছি। আরও অনেকে প্রতিবাদ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু ভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে একটি পরিবার হিসেবে থাকার কথা বলেছেন।
রানা দাশগুপ্ত: এক পরিবারের তত্ত্ব নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। সে ক্ষেত্রে আজ সংবিধান ধর্মের ভিত্তিতে যে বিভাজন আছে, সেটা দূর করতে হবে। আমরা যে ৮ দফা দিয়েছি, বিভাজন ও বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়ে ন্যায়বিচার ও সমতার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা বলেছি, সংখ্যালঘু কমিশন করতে হবে। সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করতে হবে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আলাদা আইন করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও সমতলের আদিবাসীদের সুরক্ষা দিতে হবে। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সব ধর্মের ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ নিশ্চিত করতে হবে।