বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, এমন দেশের সংখ্যা বিশ্বে প্রায় ৫০ হবে। এই দেশগুলোর বড় এক অংশ কোনোভাবেই দারিদ্র্যচক্র ভাঙতে পারছে না। অনেক সময়ই তাদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো গণতান্ত্রিকভাবে কাজ করে না। অর্থনৈতিক উন্নতির টেকসই পথও খুঁজে পাওয়া যায় না। বিষয়টি ধাঁধার মতো। এই ধাঁধা নিয়ে ‘সম্পদের অভিশাপ’ নামে তত্ত্বও আছে অর্থনীতিতে। এ রকম দেশের তালিকায় আগে থেকে আফগানিস্তান ছিল, তবে এখন পুরোনো ‘অভিশাপ’ বড় এক দুর্ভিক্ষ আকারে হাজির হয়েছে সেখান। প্রায় দুই কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়েছে দেশটিতে। চার দশক যুদ্ধের ফাঁক গলে যারা বেঁচে ছিল,Ñমৃত্যু এখন তাদের ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে অন্য চেহারায়।
খাদ্যের অভাবে লাখ লাখ শিশু মারা পড়তে পারে
দুটো ফ্রন্টে মানুষ খুব বিপদে আছে আফগানিস্তানে। মুদ্রার স্বাভাবিক প্রবাহ নেই। দেশটি থেকে হঠাৎ অর্থকড়ি উধাও হয়ে গেছে। খাবারের দাম চড়া। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে বেশ। তিন কারণে এই অবস্থা। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো থেকে এত দিন আসা সাহায্য হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ খরা এবং আর্থিক লেনদেন ও আমদানি-রপ্তানিতে সংকট। দেশটিতে ডলারের চলাচল থেমে গেছে। নভেম্বরের শুরু থেকে বিদেশি মুদ্রার লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। সব বিনিময় আফগানিতে করতে হবে, এমনি নির্দেশ।
আফগানিস্তানের সঙ্গে লেনদেনে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও বিধিনিষেধ আছে। ভেতর-বাইরের এত সব বাধায় বিদেশি সংস্থাগুলো সামাজিক কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ার জন্য বেতন-ভাতা দিয়ে কর্মী রাখতে পারছে না। চলতি মানবিক দুর্যোগের সবচেয়ে খারাপ দিক,Ñখাদ্যের অভাবে শিশুরা চরম অপুষ্টির শিকার। সামনে রয়েছে তীব্র শীতের এক মৌসুম। শঙ্কা চলছে, লাখ লাখ আফগান শিশু মারা যেতে পারে এই সময়। অথচ প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের ওপর দাঁড়িয়ে আছে দেশটি।
নাগরিকদের দুরবস্থায় কাজে লাগছে না খনিজ সম্ভার
আফগানিস্তানের খনিজের পরিমাণ, ধরন ও দামের প্রতিবেদন পড়লে হতবাক হতে হয়। সোনা থেকে লিথিয়াম—বহু কিছু আছে এখানে। লিথিয়াম থাকা জনপদে রুটির অভাব সত্যি দুর্ভাগ্যজনক। ‘সম্পদের অভিশাপ’ সবচেয়ে বেমানান এ রকম দেশে। তালেবানরা ক্ষমতায় এসে এসবের হিল্লা করতে পারেনি আজও। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভালো উন্নতি ঘটিয়েছে। কিন্তু খনিজ খাতে বিনিয়োগে দরকার ভালো অবকাঠামো। অবকাঠামো মানে কেবল রাস্তাঘাট নয়, সামাজিক জীবনও। লিথিয়াম উত্তোলন ও সংগ্রহে পানি সরবরাহের একটা ভালো ব্যবস্থাও দরকার। আফগানিস্তানে সব অবকাঠামোই বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিতে ভরা।
তালেবানদের সঙ্গে চুক্তি করে সৈন্য তুলে নেওয়ার পরও আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাড়ে ৯ বিলিয়ন সম্পদ আটকে দেওয়া হয়েছে। সেই সম্পদ ছাড় না করে ওয়াশিংটন তালেবানদের বাধ্য করতে চাইছে শাসননীতি বদলাতে। একই লক্ষ্যে আর্থিক লেনদেনে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা আছে। এ রকম কৌশলে মাথা নোয়াতে অনিচ্ছুক তালেবান নেতৃত্ব।
নতুন সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া এসব খাতে বিনিয়োগ আসবে না। যদিও এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিক অগ্রগতি আশা করা যায় না, কিন্তু তালেবানরা স্বীকৃতির বিষয়ে সামান্যই সফল। ফলে খনিজ থেকে আয়রোজগার হওয়ার সুযোগ নেই। আরেক বিপদের দিক, লিথিয়াম বেশি যেখানে আছে, সেই গজনিতে প্রতিপক্ষ আইএসের দাপট বাড়ছে। এতে দামি এই খনিজের চোরাকারবার বাড়তে পারে। তাতে দুই পক্ষের হানাহানিও বাড়বে।
লিথিয়াম উত্তোলনে বিনিয়োগ থেকে বেচাবিক্রি পর্যন্ত যেতে সাত-আট বছর লাগে। এ রকম দীর্ঘ যাত্রায় বিনিয়োগকারীরা শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির যে গ্যারান্টি খুঁজবে, সেটা তালেবানদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় আইএস মাঠে থাকায়। এ রকম সব দুষ্টচক্রের মিলিত ফল, নাগরিকদের আর্থিক দুরবস্থায় কোনো কাজে লাগছে না খনিজ। এর মাঝে চীন লিথিয়াম ব্যাটারি পুনর্নবায়ন করার প্রযুক্তি আয়ত্তের দিকে যাচ্ছে ক্রমে, যা আফগান খনিজের কৌশলগত মূল্য অনেক কমিয়ে ফেলবে।
সম্পদে ধনী হয়েও বিপুল দারিদ্র্য
সম্পদ থাকার পরও নাগরিকদের দরিদ্র থাকার প্রথম সোজাসাপটা কারণ সম্পদের যথাযথ বিনিয়োগ করতে না পারা। সচরাচর এটা ঘটে শাসকদের কারণে, সুশাসনের সংকটে। আফগানিস্তানের বেলায়ও অন্যথা হচ্ছে না। এত খনিজ থাকা দেশ নিয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর টানাপোড়েন থাকবেই। নিজ দেশে জনসন্তুষ্টির ওপর দাঁড়িয়েই কেবল মুরব্বি দেশগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসতে হবে কাবুল নিয়ন্ত্রণকারীদের। সে হওয়ার লক্ষণ নেই আপাতত।
দৈনিক আয় ২ ডলারকে দারিদ্র্য মানদণ্ড ধরলে আফগানিস্তানে এ মুহূর্তে ৯০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে আছে। জনগণের কাজে না লাগায় মাটির নিচের ওই সম্পদ ধুলাবালুর অতিরিক্ত কোনো মূল্য পাচ্ছে না। দশকের পর দশক যুদ্ধ থাকায় বন্দুক চালানো ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে দক্ষ জনসম্পদেরও ঘাটতিতে পড়েছে দেশটি। মানুষকে সম্পদ হিসেবে তৈরির বিষয়টি নতুন শাসকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে দেখা যায়নি এখনো। শিক্ষা খাত নিয়ে বরং তাদের বিরক্ত মনে হচ্ছে।
চার বছরে দুবার খরার শিকার আফগানিস্তান
নতুন সরকারের চার মাসের শাসন দেখে মনে হচ্ছে কেবল নারীদের জগৎকে আঁটসাঁট করে তোলাই তাদের অগ্রাধিকারমূলক কাজ। নিত্যনতুন ডিক্রি দেশটিতে মেয়েদের ঘরের বাইরের জগৎ ছোট করে আনছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটে পড়লে ঘরে থাকা দায়। এতে বোরকা ব্যবসা বেশ চাঙা হয়েছে। সব নারীকে একটা-দুইটা বোরকা সংগ্রহে রাখতেই হয় এখন।
যেসব পরিবার নারীপ্রধান, সেসব ঘর আয়রোজগারের বেশি সংকটে পড়েছে। যেহেতু নারীদের বাইরে কাজের সুযোগ কমে গেছে, সে কারণে খাবারের টানাটানি ও রকম বসতিতে বেশি। যেসব ঘরে কিশোরী আছে, তাদের দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অতিদরিদ্র পরিবারের অনেক কিশোরী শিকার হচ্ছে পাচার ও বেচাবিক্রির। নিমরোজসহ ইরান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অনেক জনপদ এ রকম পাচার-রুট হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে।
এ রকম অবস্থা বাড়তি গতি পেয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে চলতে থাকা খরায়। বহুদিন বৃষ্টি নেই বহু প্রদেশে। গম কিনতে মানুষ ঘরের ভেড়াগুলো বেচে দিচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে পানি আনার জন্য গাধারও সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে ওগুলো মারা যাচ্ছে। ২০১৮-এর পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার খরার শিকার আফগানিস্তান। পরপর দুটি খরায় খাদ্যনিরাপত্তাব্যবস্থা পুরোই ভেঙে গেছে। এ বিষয়ে এখনই দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি দরকার।
সংকটে দায় আছে ইউরোপ-আমেরিকার
আফগান খাদ্যবাজারের চলতি দুর্যোগে গভীর দায় আছে ইউরোপ-আমেরিকারও। তালেবানদের সফলতা ঠেকাতে তারা দেশটির সম্পদ আটকে দিয়েছে। ঋণ পাওয়া ঠেকাচ্ছে। এতে তালেবান নেতৃত্বের কোনো অসুবিধা হয়েছে বলে দেখা যায়নি। ক্ষতি হচ্ছে মূলত নাগরিকদের। তালেবানরা জানে তারা বর্তমান খাদ্যসংকট একা সামাল দিতে পারবে না। সংকটের জন্য তারা ক্রমাগত ইউরোপ-আমেরিকার দিকে আঙুল দেখাচ্ছে। কৌশল হিসেবে এটা ভালো কাজ করছে। তাদের সব মৌসুমের মিত্র পাকিস্তান এবং দোদুল্যমান নতুন মিত্র চীন সীমিত আকারে কিছু সহায়তা দিচ্ছে।
তালেবান নেতৃত্ব পুরোনো প্রতিপক্ষের নতুন কৌশলকে পাল্টা ফাঁদে পরিণত করে ফেলেছে। তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং দেশটির সম্পদ ছেড়ে দেওয়া ছাড়া ওয়াশিংটন ও ইইউর সামনে ভালো বিকল্প নেই। কিন্তু সেসব সম্পদ যে আফগান খাদ্যসংকটের সমাধান দেবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তালেবানদের হাতই শক্তিশালী হবে ওই সম্পদে।
সাধারণ আফগানদের বাঁচাতে বড় পরিসরে সহায়তায় ইউরোপ-আমেরিকা এবং আরবদের হাত বাড়ানোর বিকল্প নেই। কিন্তু পশ্চিমের দেশগুলো এখনো তালেবানদের সঙ্গে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত করতে পারেনি। সাহায্য না আসার বড় কারণ এটাই।
মাসের পর মাস বিভিন্ন দেশে দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয়, গোপন, প্রকাশ্য একের পর এক বৈঠক হচ্ছে আফগানিস্তান নিয়ে। অথচ দেশটির নতুন সরকারের কূটনৈতিক স্বীকৃতি মিলছে না। এতে নাগরিকদের দৈনন্দিন দুরবস্থা লাঘবের মতো আন্তর্জাতিক সহায়তাও আসছে না সাবলীলভাবে। জাতিসংঘও তালেবানদের মেনে নেয়নি এখনো। ইউরোপ-আমেরিকার সবুজ সংকেত ছাড়া সেটা হবে না।
খাদ্যাভাব নতুন বহু সংকটের জন্ম দিতে পারে
তালেবানদের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাওয়া দুটি। প্রথমত, সংখ্যালঘু সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গড়তে হবে। দ্বিতীয়ত, নারীদের শিক্ষা ও কাজে আগের মতো স্বাভাবিক সুযোগ দিতে হবে। এই উভয় বিষয়ে তালেবানরা অতিরক্ষণশীল, আপসহীন অবস্থান বজায় রেখেছে। তারা হয়তো এই মনস্তাত্ত্বিক দর-কষাকষিতেও জেতার অপেক্ষায় আছে,Ñদুর্ভিক্ষের বিনিময়ে হলেও।
তবে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা সাধারণ আফগানদের জন্য ইউরোপ-আমেরিকার সহানুভূতি কাগুজে কান্নার অতিরিক্ত কোনো মনোযোগ পাচ্ছে না। ৩০ আগস্ট চূড়ান্তভাবে আফগানিস্তান ছেড়ে গেলেও দেশটির বিষয়ে তাদের নীতিগত অবস্থান অস্পষ্ট।
তালেবানদের সঙ্গে চুক্তি করে সৈন্য তুলে নেওয়ার পরও আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাড়ে ৯ বিলিয়ন সম্পদ আটকে দেওয়া হয়েছে। সেই সম্পদ ছাড় না করে ওয়াশিংটন তালেবানদের বাধ্য করতে চাইছে শাসননীতি বদলাতে। একই লক্ষ্যে আর্থিক লেনদেনে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা আছে। এ রকম কৌশলে মাথা নোয়াতে অনিচ্ছুক তালেবান নেতৃত্ব।
এ অবস্থা আন্তর্জাতিকভাবে সবার জন্য আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে। দেশটির জনসমাজে বিপুল অস্ত্র আছে। তালেবান স্থিতিশীলতা আনতে না পারলে ব্যাপক আকারে মাদক ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা বাড়বে দেশটিতে। জাতিসংঘের গত মাসের প্রতিবেদন ছিল, আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন গত বছরের চেয়ে ৮ ভাগ বেড়ে ৬ হাজার ৮০০ টন দাঁড়িয়েছে। এ হিসাব জুলাই পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে। এখন মাদকের উৎপাদন আরও না বাড়িয়ে দেশটির সামনে বিকল্প নেই। জাতিসংঘ আফগানদের রুটিরুজির কোনো বিকল্প দিতে পারেনি। এই নভেম্বরেই পপি আবাদের নতুন মৌসুম শুরু হবে। অনিশ্চিত অর্থনীতি নিশ্চিতভাবে পপির আবাদ বাড়াবে।
আফগানিস্তানের দিক থেকে বহির্বিশ্বের জন্য বিপদের তালিকায় মাদক রপ্তানি ছাড়াও বহু কিছু আছে। যুক্তরাষ্ট্রের রেখে চলে যাওয়া বিপুল অস্ত্র আছে সেখানে। পালিয়ে যাওয়া আফগান সরকারের জিম্মায় ৬ লাখ নানান ধরনের অস্ত্র ছিল। হাজার হাজার এম-১৬ রাইফেল আর এম-৪ কারবাইন ওই ‘মাল-ই-গনিমত’-এর নগণ্য অংশ মাত্র। এসবের চোরাকারবার শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আশপাশের দেশগুলোর উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে তাতে।
নিত্যপণ্য বাজারের বাড়তি নৈরাজ্য অস্ত্রে ভরপুর সমাজে স্বাভাবিকভাবে সন্ত্রাস ও অপরাধ বাড়াবে। শরণার্থী সমস্যাও বাড়বে, তাতে প্রতিবেশী দেশ ছাড়িয়ে দূর জনপদে। তালেবান নেতৃত্ব আসন্ন এসব দুর্যোগের জন্য আমেরিকা ও ন্যাটোকেই যে দায়ী করবে, তা বোঝা দুরূহ নয়। আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করে পশ্চিম যা অর্জন করতে চেয়েছিল, সেটা আসলে তার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছে।
তালেবান নেতৃত্ব পুরোনো প্রতিপক্ষের নতুন কৌশলকে পাল্টা ফাঁদে পরিণত করে ফেলেছে। তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং দেশটির সম্পদ ছেড়ে দেওয়া ছাড়া ওয়াশিংটন ও ইইউর সামনে ভালো বিকল্প নেই। কিন্তু সেসব সম্পদ যে আফগান খাদ্যসংকটের সমাধান দেবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তালেবানদের হাতই শক্তিশালী হবে ওই সম্পদে।
আগস্টের পর তালেবান এভাবে আরেক দফা বিজয়ের মুখে আছে। কিন্তু এই যুদ্ধে হয়তো গুলি-বোমা ছাড়াই মরবে বিস্তর আফগান। দেশটির দুঃখের দিন কাটছে না।
আলতাফ পারভেজ: দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ে গবেষক