পাকিস্তান বা চীনের হাতে একজন সৈনিক খোয়ালে ভারতজুড়ে প্রতিশোধের উন্মাদনা দেখা দেয়। ছত্তিশগড়ে ২২ জন জওয়ান হারানোর বিষয়টি অবশ্য দেশটির মিডিয়া কাভার করেছে নিচু স্বরে, শরমিন্দাভাবে। রাজনীতিবিদেরাও এই ‘দুঃখজনক’ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেই থেমে গেছেন।
বিপুল সামরিক সামর্থ্য নিয়ে বছরের পর বছর দরিদ্র এলাকার সশস্ত্র প্রতিবাদীদের খুঁজে খুঁজে নির্মূলের পরও ‘মাওবাদ সমস্যা’র কেন অবসান হচ্ছে না, সে বিষয় খতিয়ে দেখতে আগ্রহ নেই ভারতে প্রায় কারওরই। কারণ, ওই রকম অনুসন্ধানের ফল অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলকভাবে এগিয়ে থাকা ভারতের জন্য অতি বিব্রতকর। রাজনীতিবিদেরা সেই দায় নিতে চান না।
ছোট এক গেরিলা দলের হাতে বিশাল বিপর্যয়
মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশসংলগ্ন ছত্তিশগড় এলাকায় কথিত মাওবাদীদের হামলার ঐতিহ্য বেশ পুরোনো। সর্বশেষ হামলাটি হয়েছে ৩ এপ্রিল এখানকার সর্বদক্ষিণের সুকমা জেলাতে। রাষ্ট্রীয় অনেকগুলো বাহিনী যৌথ অভিযানে নেমে বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন সেনা এই অপারেশনে ছিলেন। এত বড় বাহিনী সাধারণ অস্ত্রধারী দুর্বল শরীরের অপেক্ষাকৃত ছোট একটা গেরিলা দলের হাতে বিপর্যস্ত হওয়া প্রকৃতই একটা সামরিক ধাঁধা।
কেবল যে ২২ জওয়ান খুন হয়েছে তা-ই নয়, অন্তত দ্বিগুণসংখ্যক সেনা আহত হয়েছে। কেউ কেউ অপহৃতও হয়েছে। মাওবাদীদেরও ক্ষয়ক্ষতি কম নয়। সরকারের বিপুল অস্ত্রপাতিও খোয়া গেছে এই অভিযানে। সংগত কারণেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসামে নির্বাচনী প্রচারণা ফেলে ছত্তিশগড় ছুটে গেছেন। ৩ এপ্রিলের ‘যুদ্ধে’ ভারতীয় বাহিনীর পরাজয়ের ময়নাতদন্ত চলছে এ মুহূর্তে।
মার্চ-এপ্রিলে যে কারণে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ে
ভারতের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতই রাষ্ট্রীয় সেনারা মাওবাদীদের মারে। খুব নির্মম ধাঁচের সেসব অভিযানের বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয় সামান্যই। কে মাওবাদী আর কে জঙ্গল এলাকার বিক্ষুব্ধ গরিব মানুষ, সেসব তদন্ত করে দেখতেও তেমন আগ্রহী নয় কেউ আর। পণ্য হিসেবে জাতীয়তাবাদের সঙ্গে এসব চলে না এখন। তবে রাষ্ট্রীয় সেনারা বড় সংখ্যায় মারা গেলে হইচই পড়ে। ৩ এপ্রিলের ঘটনার আগের দিনও পাশের নারায়ণপুর জেলায় মাইন বিস্ফোরণে ৫ কমান্ডো মারা গেছেন। দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের ডামাডোলে এসব সংবাদমাধ্যমগুলো জোরালোভাবে তুলে ধরেনি। যেমনটি হতো এই সৈনিকেরা পাকিস্তান বা চীন সীমান্তে মরলে।
মাওবাদীরা তাদের ঘাঁটিধর্মী এলাকার বাইরে এসে সচরাচর অভিযান চালায় কম। তাদের অ্যামবুশের ধরন অধিকাংশ আত্মরক্ষামূলক এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে জঙ্গল এলাকায় প্রবেশে নিরুৎসাহিত করার জন্য।
একক অ্যামবুশে মাওবাদীদের হাতে ১৫ জনের বেশি জওয়ান মারা গেছে এমন ঘটনা ভারতে এখন পর্যন্ত সাতটি। ২০১০-এ একবার মাত্র তিন ঘণ্টার এক সংঘাতে ৭৬ জন সেনা হারানোর ঘটনাও ঘটেছে। সেটাও ছত্তিশগড়েই এবং এ রকম এক এপ্রিল মাসেই। মার্চ-এপ্রিলে বর্ষার আগে আগে বস্তার অঞ্চলে ভারতীয় বাহিনী বড় বড় অভিযানে নামে এবং তখনই হতাহতের সংখ্যা বাড়ে।
মাওবাদীরা তাদের ঘাঁটিধর্মী এলাকার বাইরে এসে সচরাচর অভিযান চালায় কম। তাদের অ্যামবুশের ধরন অধিকাংশ আত্মরক্ষামূলক এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে জঙ্গল এলাকায় প্রবেশে নিরুৎসাহিত করার জন্য। তাদের এ রকম আত্মরক্ষামূলক অ্যামবুশও বিগত বছরগুলোতে অনেক কমে গেছে। যার কারণ মূলত রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার ব্যাপক অভিযান। বিগত বছরগুলোতে দরিদ্র এলাকায় রাজনৈতিক সশস্ত্র তৎপরতা দমনে সামরিক বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে ভারত। এসব বিনিয়োগ এবং অভিযানের আড়ালে যে সত্যটা সাধারণত আলোচনায় আসে না, তা হলো কথিত মাওবাদী এবং তাদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে নামানো জওয়ানরা উভয়ে একই দরিদ্র জনগোষ্ঠীরই অংশ।
মাওবাদের বিস্তার কোনো সামরিক সমস্যা নয়
ভারতে সশস্ত্র ধারার রূপান্তরবাদী রাজনীতির ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ির আন্দোলন তাতে বিশেষ গতি দিয়েছিল। ৫৪ বছর আগের সেই অগ্নিকাণ্ড এখন থেমে গেলেও ছত্তিশগড়, বিহার, ঝাড়খন্ড, অন্ধ্রসহ অনেক এলাকায় এই ধারার রাজনীতি নানাভাবে জারি আছে। বিশেষ করে বিভিন্ন আদিবাসী দরিদ্র এলাকায়। পশ্চিমবঙ্গের পর ১৯৮০-এর আগপর্যন্ত এই রাজনীতির প্রভাব ছিল অন্ধ্র প্রদেশের দিকে। এরপর তার উত্তাপ স্থানান্তরিত হয় অন্ধ্রের গোদাগারি নদী পেরিয়ে ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে।
আঞ্চলিক এসব পকেট ছাড়াও মাওবাদী রাজনীতির আদর্শিক প্রভাব আছে শহুরে মধ্যবিত্তের মাঝে নিরস্ত্র বুদ্ধিজীবিতার আদলে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তরুণদের মাঝেও এ রকম আদর্শের প্রভাব দেখা যায়। যাকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সচরাচর ‘আরবান মাওবাদ’ নামে উল্লেখ করে। তবে ‘আরবান মাওবাদ’ কথাটার চরম অপব্যবহারও আছে। সামাজিক অসাম্য নিয়ে যারা কথা বলে, তাদের এই তকমা দিয়ে নাজেহাল করার অসংখ্য উদাহরণও আছে।
মাওবাদ সমস্যাকে রাজনীতিবিদেরা সামরিক সমস্যা আকারে দেখাতে চান বরাবর। কিন্তু এর মূলে রয়েছে দারিদ্র্য ও আদিবাসী এলাকায় খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ দখলের করপোরেট আগ্রাসন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি অনুপস্থিত। মূলধারার রাজনীতিবিদেরা অর্থ-বিত্ত মেশানো রাজনীতিতে এত মশগুল যে সমাজের নিচুতলার বিপন্নতায় তাঁদের মনোযোগ নগণ্য। সেই শূন্যতাই গরিব মানুষকে সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের দিকে টানে। মানুষ যত প্রতিবাদী হচ্ছে, তত সামরিকভাবে তার উত্তর দেওয়া হচ্ছে ওই সব এলাকায় জওয়ান বাড়িয়ে, গোয়েন্দা জাল ছড়িয়ে। এত কিছুর পরও কৃষি সমাজ এবং আদিবাসীদের ভেতর থেকে সামরিকভাবে মেধাবী অনেক তরুণ কিছুদিনের জন্য কোনো কোনো এলাকায় নিজেদের প্রতিবাদী সশস্ত্র তৎপরতাকে বেশ এগিয়েও নিচ্ছে। সে রকম এক তরুণের নামই এখন ভারতীয় সামরিক সংস্থাগুলোর ১ নম্বর টার্গেট। তিনি হলেন মাদবি হিডমা। ছত্তিশগড়ের ৩ এপ্রিল বিপর্যয়ের জন্য আর্থসামাজিক কারণ খোঁজার পরিবর্তে সবাই মিলে এই মাদবি হিডমাকেই টার্গেট করেছে এ মুহূর্তে।
৪৫ লাখ রুপি দামের হিডমাই এই সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের শেষ কথা নন
বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ৩ এপ্রিল হামলার যে বিবরণ বেরিয়েছে তাতে অ্যামবুশকারী মাওবাদীদের সংখ্যা সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৪০০ উল্লেখ করা হয়েছে। সংখ্যায় অন্তত ৬-৭ গুণ বড় উন্নত অস্ত্রধারী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের ‘সফলতা’র জন্য সংবাদমাধ্যমগুলো ‘দায়ী’ করছে মূলত মাদবি হিডমাকে। যিনি মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির দণ্ডকারণ্য এলাকার একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার। বলা হচ্ছে, এই মধ্যবয়সী সামরিক কৌশলে অনেক দক্ষ। ২০১৭ সালের মার্চে এই সুকমাতেই ২৫ জন ভারতীয় জওয়ান মারা গিয়েছিল। সেই অ্যামবুশের জন্যও এখন হিডমার দক্ষতার কথাই বলা হচ্ছে। বাস্তবে হিডমা নামে কোনো এক ‘খলনায়ক’কে খুঁজে ফেরার মাঝে সিনেমার প্রভাবই কেবল কাজ করে। সরকারের কাছে হিডমার নিশ্চিত কোনো ছবিও নেই। যদিও মনে করা হচ্ছে হিডমাকে ধরা গেলে বাস্তবের মাওবাদীদের মেরুদণ্ড নুয়ে আসবে। এই খোঁজ পর্বের জন্য ৪৫ লাখ রুপি ধার্য হয়ে আছে। কিন্তু বাস্তবে ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা কিংবা অন্ধ্র প্রদেশের মাওবাদী সমস্যা কোনো একক ব্যক্তির রোমাঞ্চকর বিপ্লবীপনার ফসল নয়। গুরুতর এক আর্থসামাজিক অবস্থার সঙ্গেই এর মূল যোগ। পুরোনো দিনের বন্দুক হাতে নেওয়া এসব মানুষ মনে করে না তারা ভারতীয় বাহিনীকে হারাতে চলেছে। জীবন-জীবিকা আর আত্মমর্যাদা রক্ষায় তাদের সামনে নিজস্ব এই প্রতিরোধই একমাত্র বিকল্প হয়ে আছে।
মাওবাদ দমনে জনগণের করের বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে
ভারত মাওবাদ দমনকে একটা যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছে। অনেক দিন থেকেই এই যুদ্ধ চলছে। উপদ্রুত এলাকায় ব্যাপক হারে রাস্তাঘাট বানানো হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অভিযানের জন্য। ক্যাম্পের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে ছত্তিশগড়ের সর্বশেষ রক্তপাত ভারতে মাওবাদী সশস্ত্র সংঘাতের পুনরুত্থানের সংকেত দিচ্ছে। গত ২-৩ বছর সামরিক কর্তারা ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দরিদ্র শ্রেণির মানুষের এই সশস্ত্র তৎপরতা তারা প্রায় দমন করে ফেলেছেন। সাক্ষী হিসেবে তাঁরা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। ২০১০-এ যেখানে মাওবাদীদের হাতে ২৬৭ জন সৈন্য মারা গেছে, ২০২০ এ সংখ্যাটি ছিল ৪৪। এর মাঝে বহু মাওবাদীকে ‘আত্মসমর্পণ’ করতেও দেখা গেছে প্রচারমাধ্যমগুলোতে।
অনেক আত্মসমর্পণকারী কখনো সশস্ত্র কর্মকাণ্ডে ছিল না। ফলে তাদের অর্থ দিয়ে সশস্ত্র তৎপরতা কমানো-বাড়ানোর সুযোগ নেই। আত্মসমর্পণ করামাত্র স্থানীয়ভাবে এদের সন্দেহের চোখে দেখা শুরু হয়। তাতে এত দিনের পুরোনো সমাজে পারস্পরিক আস্থাহীনতা বাড়ে
এত বিপুল ‘আত্মসমর্পণ’, এরপরও এত সশস্ত্র তৎপরতা কেন—এ রকম প্রশ্নের উত্তরে ছত্তিশগড়ের সমাজকর্মীদের ভাষ্য ভিন্ন রকম। অনেক সময় স্থানীয় বেসামরিক মানুষকে এনে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রশাসনিক সফলতা দেখাতে। কারও কারও নাম অযথাই ‘সন্দেহভাজন’ তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তাদের তখন আদিবাসী ভাষায় লেখা ‘ঘরে ফেরা’ টি-শার্ট পরতে হয়। কিছু টাকাও দেওয়া হয়। প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি এ রকম শার্ট কিংবা এ রকম আত্মসমর্পণের সঙ্গে বাস্তব সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের যোগসূত্র নেই।
বস্তারে অনেক আত্মসমর্পণকারী কখনো সশস্ত্র কর্মকাণ্ডে ছিল না। ফলে তাদের অর্থ দিয়ে সশস্ত্র তৎপরতা কমানো-বাড়ানোর সুযোগ নেই। আত্মসমর্পণ করামাত্র স্থানীয়ভাবে এদের সন্দেহের চোখে দেখা শুরু হয়। তাতে এত দিনের পুরোনো সমাজে পারস্পরিক আস্থাহীনতা বাড়ে। প্রশাসন এভাবেই ওই সব জনপদ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। কিছু কিছু আত্মসমর্পণকারী নিরুপায় হয়ে পুলিশের ‘ইনফরমার’ হয়েও কাজ করে। কেউ কেউ নির্যাতন থেকে বাঁচতেও এ জীবন বেছে নেয়। এ রকম আরেক দলকে দিয়ে ‘সালওয়া জুদুম’ নামে পুলিশের সহায়ক গোপন বাহিনীও বানানো হয়েছিল একদা। সালওয়া জুদুম অর্থ ‘শান্তিযাত্রা’ হলেও তাতে আদিবাসী জনপদ চোরাগোপ্তা খুনে রক্তাক্ত হয়েছিল কেবল।
আর্থসামাজিক সমস্যাকে সামরিক আকারে মোকাবিলা করতে গিয়ে এভাবেই প্রান্তিক দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে সমাজ জীবনে ভয়াবহ জটিলতা দেখা দিচ্ছে। বেশুমার খরচ হচ্ছে জনগণের করের বিপুল অর্থ।
এর মাঝেই ‘সুকমা বিপর্যয়’ স্পষ্ট জানাচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সরকারি তরফের এত দিনকার দাবি পুরো সত্য নয়। মাওবাদীরা সামরিক কৌশলে এবং মেঠো সমর্থনে বেশ বলীয়ান আছে। ৩ এপ্রিলের ঘটনার পর তারা আবারও বনবাসী মানুষদের ভূমি, পানি ও জীবন-জীবিকার সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার ডাক দিয়েছে। এ রকম আলোচনার আগে ওসব এলাকায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্যও বলছে তারা। এই বিবৃতি থেকে ইঙ্গিত মেলে ৩ এপ্রিলের ঘটনা মাওবাদীদের দিক থেকে আক্রমণাত্মক অভিযান ছিল না।
তবে সরকার আপাতত অভিযান বন্ধ করছে না। সশস্ত্র এই প্রতিপক্ষকে ভারত তার ‘প্রধান নিরাপত্তা হুমকি’ মনে করছে। সুকমা বিপর্যয়ের পর ভারত সরকার ছত্তিশগড়ে নতুন উদ্যমে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করতে চলেছে। হিডমাকে খুঁজে পেতে আপাতত ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের বড় একটা এলাকা ঘিরে ফেলার কাজ চলছে। বর্ষা মৌসুমের আগপর্যন্ত সেখানে স্থানীয় বেসামরিক মানুষের জন্য দুর্বিষহ এক অবস্থাই যাবে।
তারপর হয়তো ছত্তিশগড়ে সাময়িকভাবে মাওবাদীদের অ্যামবুশ কমে আসবে। কিন্তু যত দিন সমস্যার মূল আর্থসামাজিক সমাধানে হাত না দেওয়া হবে, তত দিন দরিদ্র মানুষের এ রকম সশস্ত্র তৎপরতা নানা আদলে চলতেই থাকবে।
আলতাফ পারভেজ গবেষক