ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের কতিপয় ধারা সংশোধনের জন্য জাতীয় সংসদে একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। কমিটি ৬০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে বিলটি পুনরায় সংসদে পাঠাবে। বিলটি পাস হলে দেশের ব্যক্তি খাতের ব্যাংকসমূহে পরিবারতন্ত্র প্রবর্তিত হবে, যা সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্যকে প্রকট করে তুলবে। বিলটি বঙ্গবন্ধুর নীতিমালা তথা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পরিপন্থী। বিস্তারিত বিশ্লেষণের আগে দেখা যাক, বিলটিতে প্রধানত কী সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধনের দুটি প্রস্তাব জনসমক্ষে তুলে ধরা প্রয়োজন।
১. বর্তমান আইনে এক পরিবারের অনধিক দুজন সদস্য একটি ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদে পরিচালক হতে পারেন। সংশোধনী প্রস্তাবে একই পরিবারের চারজন সদস্যকে পরিচালক নিযুক্ত করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
২. বর্তমানে ব্যাংকের একজন পরিচালক একাদিক্রমে ছয় বছরের বেশি পরিচালক থাকতে পারেন না। সংশোধনী প্রস্তাব পাস হলে যেকোনো পরিচালক একাদিক্রমে নয় বছর পরিচালক থাকতে পারবেন।
যেহেতু সংশোধনী দুটি বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক নীতিমালা তথা সংবিধানের অর্থনৈতিক মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে, সেহেতু প্রথমেই বঙ্গবন্ধু ও সংবিধানের অর্থনৈতিক মূলনীতির কিছু কথা উপস্থাপন করছি।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আগে ও পরে তাঁর অর্থনৈতিক ধারণা প্রকাশ করেছেন ‘শোষণহীন সমাজ’ কথাটির মাধ্যমে। তিনি ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাসকরণের কথা বলেছেন, শোষিতের গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, গরিবের মুখে হাসি ফোটানোর কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, বিশ্ব শোষক ও শোষিত—এই দুই ধারায় বিভক্ত এবং তিনি শোষিতের পক্ষে। ধনী আরও ধনী হোক আর গরিব গরিবই থেকে যাক, তা তিনি চাননি।
বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরোধিতার দুটি পর্ব ছিল। প্রথম পর্বে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের আঞ্চলিক বৈষম্য। স্বাধীনতার পর ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাসকরণ ছিল প্রধান অ্যাজেন্ডা। ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন?’ প্রচারপত্রটি মূলত পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য তুলে ধরার জন্য রচিত হয়েছিল। ধনী-দরিদ্রের প্রকট বৈষম্য তুলে ধরার জন্য তৎকালীন ‘বাইশ পরিবারের’ কথা বলা হতো।
বর্তমানের পরিপ্রেক্ষিতে ‘বাইশ পরিবারের’ কথাটি প্রাসঙ্গিক। পাকিস্তানে ২২টি পরিবারের হাতে দেশের অধিকাংশ সম্পদ পুঞ্জীভূত ছিল। ধনিক-সৈনিক যোগসাজশের জন্য কখনো গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি।
পাকিস্তানের তৎকালীন ব্যাংকগুলোর মালিকানা ছিল পরিবারকেন্দ্রিক। হাবিব পরিবার, সায়গল পরিবার, রেঙ্গুন ওয়ালা পরিবার, আদমজী পরিবার প্রমুখ বিভিন্ন পরিবার এক বা একাধিক ব্যাংকের মালিক ছিল। নাগরিকদের অর্থ-সম্পদ কোনো না কোনো ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে। ব্যাংকের মালিক বা মালিকেরা জনগণের গচ্ছিত টাকা অবাধে নিজ নিজ পরিমণ্ডলে ব্যবহার করে ধনী হয়ে উঠতেন। এই প্রক্রিয়াতেই ব্যাংকভিত্তিক ২২ পরিবার গড়ে উঠেছিল।
বাংলাদেশের অর্থ অঙ্গনে যাতে অনুরূপ ব্যাংকভিত্তিক বিত্তবান পরিবার গড়ে না ওঠে, সে জন্য ’৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু ব্যাংক জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি ব্যাংক জাতীয়করণ করেছিলেন। অর্থনৈতিক বৈষম্যকে যৌক্তিক পর্যায়ে ধরে রাখার জন্যই ব্যাংক জাতীয়করণ করা হয়েছিল। অর্থনীতির সুষম বিকাশের ধারণাও সেই সঙ্গে ছিল। রাজনৈতিক ও পেশাজীবী দুর্নীতি চক্রের খপ্পরে পড়ে জিয়া-এরশাদের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে যেমন লুটপাট হয়েছিল, বর্তমানেও দুর্নীতি ও লোপাট চলছে। সত্তর-আশির দশকে ব্যাংক বিরাষ্ট্রীয়করণ ও ব্যক্তি খাতে ব্যাংক খোলার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ধ্বংসের প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, সরকার ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে না। অথচ ভারতে এ অঞ্চলের বৃহত্তম ব্যাংক ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ ২৪ হাজার শাখা নিয়ে সরকারি মালিকানায় সুপরিচালিত হচ্ছে, বছরে হাজার হাজার কোটি রুপি লভ্যাংশ দিচ্ছে সরকারি কোষাগারে। শ্রীলঙ্কায়ও বৃহৎ কয়েকটি ব্যাংক সরকারি মালিকানায় সুপরিচালিত। সমস্যাটা মালিকানার নয়, পরিচালনার। বাংলাদেশে ব্যাংকে সরকারি ও রাজনৈতিক অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে লুটপাট হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে পেশাগত শৃঙ্খলার মধ্যে চলতে দেওয়া হচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের অর্থনৈতিক মৌলনীতি: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের ঘোষণাপত্রে সুস্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতকরণে—সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্ররূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করিলাম।’ এই ঘোষণার তাৎপর্য হলো, নবগঠিত বাংলাদেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করা হবে না।
সংবিধানের ৮ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপরিচালনার যে চার মূলনীতি ঘোষিত হয়েছে, তার মধ্যে অর্থনৈতিক মূলনীতি হিসেবে ‘সমাজতন্ত্র’ রয়েছে। সংবিধানে এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘মানুষের ওপর মানুষের শোষণ হইতে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজ লাভ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হইবে।’
বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্র যে কমিউনিজম নয়, তা তিনি বহুবার বলেছেন। সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে যে রাষ্ট্রের সব সম্পদ রাষ্ট্রীয়, সমবায় ও ব্যক্তিমালিকানায় থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্র প্রতিফলিত হয়েছে ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রগুলোতে। নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন—এসব দেশে ব্যক্তি খাত ও রাষ্ট্রীয় খাতের মধ্যে সমন্বয় বিধান করা হয়, যাতে মানুষে মানুষে অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রকট না হতে পারে। ব্যক্তি খাতের গতিশীলতা রয়েছে। কিন্তু কার্টেল, অতিমুনাফা, কারচুপি প্রভৃতির ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ কঠোর।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় খাতকে লুটতরাজ করে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। সমবায় খাতের গতিময়তা আনতে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বাকশাল অঙ্কুরেই বিনাশ করা হয়েছে। কার্যত রয়েছে শুধু ব্যক্তি খাত। ব্যক্তি খাতকে সাবলীলভাবে চলতে দিতে হবে। কিন্তু গোষ্ঠী বা পরিবারকেন্দ্রিক কার্টেল, মুনাফাখুরি ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ না থাকে, তাহলে সামাজিক সুবিচারের অবশিষ্ট কী থাকে।
এসব আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যালোচনা করতে হবে ব্যাংকিং আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী। বঙ্গবন্ধুর কল্যাণ অর্থনীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত সংশোধনী কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ অথবা সাংঘর্ষিক। পাকিস্তান আমলের পরিবারভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রীয়করণ, আংশিক বিরাষ্ট্রীয়করণ ও ব্যক্তি খাতে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে একধরনের সমন্বয় সাধন এবং সর্বজনীনতায় উত্তরণের প্রয়াস লক্ষণীয়। ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলোকে পারিবারিক নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখার জন্য ব্যাংকিং কমিশন এক পরিবার থেকে একজনের বেশি পরিচালক গ্রহণ না করার সুপারিশ করেছিল। ব্যাংক-মালিকদের চাপে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান এক পরিবার থেকে উচ্চপদে দুজন পরিচালক নিযুক্তির বিধান রেখে আইন পাস করেছিলেন।
এখন যদি এক পরিবার থেকে চারজন পরিচালক নিয়োগের আইনি সংশোধনী পাস হয়, তাহলে পাকিস্তানি ধরনে পরিবারভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থার উন্মেষ ঘটবে। এই পরিবারগুলো শুধু ব্যাংকেরই মালিক থাকবে না, অর্থ-ক্ষমতার দাপটে তারা সমাজ নিয়ন্ত্রণ করবে, শিল্প-ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করবে, রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে, এমনকি রাষ্ট্রও নিয়ন্ত্রণ করবে। সেনাশাসন থেকে মুক্ত হলেও ঋণী-শাসন থেকে মুক্তি মিলবে না। বঙ্গবন্ধুর সাধারণ মানুষের গণতন্ত্র, দরিদ্রজনের সহায়ক সরকার কল্পনায়ই থেকে যাবে। গণপ্রজাতন্ত্র পরিণত হবে ধন–প্রজাতন্ত্রে।
ব্যাংক-মালিকদের দ্রুত ধনশালী হয়ে ওঠা এবং জাতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করার প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা যাক। এটি ব্যাংকের মুনাফা থেকে হয় না, যদিও ব্যাংকের মুনাফার হার আকর্ষণীয়। বিষয়টি বুঝতে হলে ব্যাংকের পরিচালনার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংকের ওয়াকিং ক্যাপিটালের মাত্র ১০ শতাংশ সব মালিক বা শেয়ারহোল্ডার মিলে পরিশোধিত মূলধন হিসেবে দিয়ে থাকেন। বাকি ৯০ শতাংশ জনগণের আমানত থেকে সংগৃহীত। প্রকৃত অর্থে জনগণের টাকায় ব্যাংক চলে, কিন্তু ব্যাংক পরিচালনায় আমানতকারীর অংশগ্রহণ নেই, বোর্ডে তাদের কোনো পরিচালক নেই। এ সুযোগেই জনগণের অর্থ ব্যবহার করে মালিক-পরিচালকেরা ফুলেফেঁপে ওঠেন। উন্নত দেশে পরিচালকদের নীতি নির্ধারণ ছাড়া পরিচালনায় কোনো অংশগ্রহণ থাকে না। বাংলাদেশে এসব বালাই নেই। ব্যাংক পরিচালকেরা সব অর্থেই মালিক ও পরিচালনাকারী বনে যান। জনগণের ৯০ শতাংশ অর্থ পরিচালকেরা নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার করেন।
ধরা যাক, একটি ব্যাংকে তিনটি পরিবারের মালিকানা রয়েছে। ব্যাংকিং সংশোধনী পাস হলে ওই ব্যাংকের প্রতি পরিবারের ৪ জন করে মোট ১২ জন পরিচালক বোর্ডে থাকতে পারবেন। তখন ওই ব্যাংকে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা আমানত ব্যবহৃত হবে মূলত ওই তিন পরিবার এবং তাদের গোষ্ঠী ও আপনজদের মধ্যে। টাকা জনগণের হলেও ফুলেফেঁপে উঠবে মাত্র তিনটি পরিবার এবং তাদের সহযোগীরা।
এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে ভয়ানক অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি হবে। সংশোধনী পাস হলে বৈষম্য হুড়হুড় করে বেড়ে যাবে এবং জিয়া-এরশাদের আমলের বৈষম্য চাপা পড়ে যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ এত বেশি যে প্রকট বৈষম্য সত্ত্বেও দারিদ্র্য নেই। কিন্তু স্বল্প সম্পদের বাংলাদেশে বৈষম্য হবে দারিদ্র্য তথা সামাজিক অস্থিরতার কারণ। বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার বিপরীতে বৈষম্যই প্রাধান্য পাবে, যা সংবিধানও সমর্থন করে না।
ব্যাংকিং আইন সংশোধনী কাদের স্বার্থে? কোটি কোটি আমানতকারীর মতামত নিয়ে দেখুন। ব্যাংকের কয়েক লাখ পেশাজীবীর মতামত নিয়ে দেখুন। ব্যাংক পরিচালকদের চাপেই যদি এই সংশোধনী পাস করতে হয়, তাহলে সংশোধনী পাসের পর ক্ষমতাবান ব্যাংক-মালিকদের প্রভাবে বঙ্গবন্ধুর কল্যাণ অর্থনীতি কি আর অবশিষ্ট থাকবে?
সংশোধনীর অন্য অংশটি পরিচালকদের পদায়নের সময়-বিষয়ক। এখন একজন পরিচালক একনাগাড়ে ছয় বছর পদে থাকতে পারেন। সংশোধনীতে নয় বছর থাকার বিধান থাকছে। বোর্ডে ক্ষমতার পদে যত বেশি দিন থাকবে, তত বেশি কায়েমি স্বার্থ গড়ে উঠবে। এ জন্য সংসদ নির্বাচন পাঁচ বছর পরপর হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টও নির্বাচনে যান চার বছর পরপর। বাংলাদেশের ব্যাংক-মালিকেরা থাকতে চান নয় বছর। পরিবারভিত্তিক পরিচালকেরা প্রত্যেকে নয় বছর করে থাকলে ব্যাংকের কী পরিণতি হবে, তা ভাবা উচিত।
প্রশ্ন উঠতে পারে, বিল সংসদে উঠে গেছে। এই পর্যায়ে বিষয়টি তুলে কী লাভ হবে? এ বছর বাজেট বিল সংসদে উঠে গিয়েছিল। কিন্তু দায়িত্বশীল সাংসদদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ভ্যাট স্থগিত হয়েছিল এবং ব্যাংক হিসাবের সার্ভিস চার্জ অনেক হ্রাস করা হয়েছিল। এ জন্যই শেষ সময়ে এসে সম্মানিত সাংসদদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষণ করার এই প্রয়াস।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: ব্যাংকার, সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।