জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বিএনপি ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব হাজির করেছে। বিএনপি বলছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি ‘জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠা করবে, যারা রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে। বিএনপির ভাষ্যে, এটা সরকারবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের দফা নয়; বরং আন্দোলন সফল হওয়ার পর তৈরি হওয়া সরকারের জন্য রাষ্ট্র সংস্কার বা মেরামতের রাজনৈতিক কর্মসূচি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ভালো ভালো কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন না করা এবং বিশ্বাসভঙ্গের নজির প্রবল। তাই রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতিতে মানুষের আস্থা থাকে না। তবে বিরাজমান এমন রাজনৈতিক ইতিহাসে রাষ্ট্র মেরামতের এই কর্মসূচিতে নতুনত্ব আছে। এখানে সংবিধান সংস্কার কমিশন, গণভোট প্রতিষ্ঠা, পরপর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ তৈরি, ঐক্যের ভিত্তিতে সামাজিক সনদ তৈরি, ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কিংবা বেকার ভাতার অঙ্গীকার ইত্যাদি সম্ভাবনাময় প্রতিশ্রুতি আছে, যা একটি সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণে খুবই দরকারি।
গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দেশের দুই দলীয় পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির পরিসর সংকুচিত হয়ে আসার দূরতম সম্ভাবনা আছে, এমন প্রস্তাব আগে কেউ তোলেনি। বিএনপি ক্ষমতায় এসে কী করবে—এ প্রশ্নের উত্তর আপাতত দলটি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোনো সময় ক্ষমতায় গিয়ে এর বরখেলাপ করলে এই কর্মসূচি ধরে বিএনপিকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা এবং নাগরিকের কাছে জবাবদিহির একটা সূত্র তৈরি হয়েছে।
যদিও বিএনপি দাবি করেছে, রাষ্ট্র মেরামতের এ রূপরেখা তাঁদের পূর্ববর্তী রূপকল্প-২০৩০–এর আদলে তৈরি, তথাপি এটা বিএনপির সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে উদার ডান ও উদার বাম—এই দুই ধারার সঙ্গে চলা কয়েক দফা সংলাপের লেনদেন এবং রাজনৈতিক বোঝাপড়ার ফলে ঘটিত বহুপক্ষীয় মিথস্ক্রিয়া। তবে ভিশন ২০৩০-এর চেয়ে ‘রাষ্ট্র মেরামত’ কথাটি অনেক বেশি গণমুখী এবং আকর্ষণীয়।
একটি সভ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি পরিপক্ব ‘সামাজিক সনদ’ বা সামাজিক চুক্তি দরকার, যাতে ‘ক্ষমতার রাজনীতি’ মানুষকে কী দেবে, কীভাবে আচরণ করবে, কীভাবে জবাবদিহি করবে—তার একটা যৌথ বোঝাপড়া রচিত হয়। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা উপস্থাপনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবশ্যই একটি নতুন ঘটনা। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন সূচনার অপেক্ষায় থাকা দলগুলো ভবিষ্যতে একে একে নিজস্ব কর্মসূচি উপস্থাপন করবে। এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওপরও চাপ বাড়বে।
বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গন রাজনৈতিক কলহে লিপ্ত হতে যতটা পছন্দ করে, বাগ্বিতণ্ডাকে যেভাবে উপভোগ করে, সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো রাজনৈতিক অঙ্গীকারপত্র ও পরিকল্পনা নিয়ে ভাবে না। এমনকি সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়েও নেই কোনো আলোচনা, কোন প্রতিশ্রুতির কত অংশ বাস্তবায়িত হলো, আদৌ হলো কি না, এসব প্রশ্ন সমাজে একেবারেই বিস্মৃত! এসব চর্চার পরিবর্তন দরকার।
দুই.
বিএনপির কর্মসূচিটা কতটা পরিপক্ব, আন্তরিক এবং মূল্যবোধভিত্তিক, তার সমালোচনামূলক পর্যালোচনা জরুরি। জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম দফা ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন। এখানে গণভোটব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের উল্লেখ আছে।
তবে সংবিধান সংস্কার কমিশনকে শুধু আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অযৌক্তিক সংশোধনী নয় বরং অতীতের সব সরকারের সব গণবিরোধী ধারা নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকারপ্রধান অর্থাৎ এক ব্যক্তিকে ক্ষমতায়িত করতে শুরু থেকে সংবিধানের যত সব অগণতান্ত্রিক সংশোধন করা হয়েছে, তা বাদ দিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ ক্ষমতাবিন্যাস নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ সব ‘কালো আইন’, অস্বচ্ছ ও অপূর্ণাঙ্গ আইন এবং ঔপনিবেশিক আইন বাদ দিয়ে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নতুন ধারা তৈরি করে গণভোটে তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রেইনবো নেশন প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে। পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছানো গুরুত্ব এসেছে। এ জন্য একটি ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের প্রস্তাব এসেছে। তবে প্রস্তাবিত জাতীয় সমঝোতা কমিশন কীভাবে দেশে কোনো ধরনের হানাহানি ছাড়া একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ তৈরি করতে পারে, তা স্পষ্ট করা দরকার ছিল বলে মনে করি।
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থায়ী সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিটি অনুমিত ছিল। বিএনপি অতীতে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে দুবার অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। ১৯৯৬ সালে সরাসরি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না মেনে এবং ২০০৬ সালে আপত্তির মুখেও প্রধান বিচারপতির চাকরির বয়স বৃদ্ধি করে। এ জন্য বিএনপির ক্ষমা প্রার্থনা করা দরকার। এটা রাজনৈতিক কর্মসূচির বক্তব্য না হলেও আলাদাভাবে বিএনপিকে মার্জনা চাইতে হবে, তবেই দফাটি নিজ গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি, সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা একটা মৌলিক পরিবর্তন এবং বৃহৎ পরিসরের কাজ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ এবং বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয়ের জন্য মার্কিন ফেডারেল, ওয়েস্টমিনস্টার কিংবা ভারতীয়—কোন ধরনের হবে, তার একটি মডেল উপস্থাপন করতে হবে। বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তনের প্রস্তাবটি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয়ে বিএনপি অস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে। এতে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখাটি অনেকখানি গুরুত্ব হারিয়েছে। বিএনপির রাষ্ট্র মেরামত প্রস্তাবের দুর্বল আরেকটি দিক হচ্ছে, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ প্রশ্ন। ক্ষমতা ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করার প্রস্তাব আছে।
স্থানীয় পর্যায়ে নির্দলীয় নির্বাচনের প্রস্তাবও উত্তম। কিন্তু স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুলিশ, আদালত, প্রশাসনের বাজেট-পদায়ন-রিপোর্টিং-প্রমোশনসহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢাকা ও সচিবালয় থেকে কীভাবে স্থানীয় বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে, সেই মডেল নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই।
‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠনের বিস্তারিত সুযোগ তৈরি করতে হবে বিএনপিকে। মেধা, সততা, সৃজনশীলতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ এবং বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করার বক্তব্য গতানুগতিক ভাষ্য।
এ রকম কথা দলগুলো আগে বহুবার বলেছে, কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে কমবেশি দলীয়করণ করেছে। গতানুগতিক আলাপ না এনে, আধুনিক পারফরম্যান্স স্কোরভিত্তিক এবং ই–গভর্ন্যান্স মডেলভিত্তিক প্রশাসনিক সংস্কারের বক্তব্য আসা দরকার ছিল।
তিন.
দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না উল্লেখ করে শ্বেতপত্র প্রকাশের যে প্রস্তাব আছে, তাতে শুধু বর্তমান সরকার নয় বরং আগের সব আমলের দুর্নীতিকে বিবেচনায় রাখা উচিত। দেশের বাইরে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তাব গণদাবি। দুদকের পদ্ধতিগত সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ, তবে বিএনপি ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে সংস্কারের কথা বলেনি বলে প্রস্তাবটি গতানুগতিক। অতীতে বিএনপি দুদককে কার্যকর করেনি এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েও ন্যায়পাল নিয়োগ দেয়নি। ফলে এসব প্রস্তাবে মানুষের আস্থা তৈরি হবে না।
বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচার হত্যা, গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্মম শারীরিক নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর ও অমানবিক অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সব ব্যক্তিকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুবিচার নিশ্চিত করার যে প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে, তা যৌক্তিক। তবে এটা শুধু আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব অযৌক্তিক।
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ মূলনীতির ঘোষণা বিএনপির সংখ্যালঘুবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হইবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদানের অঙ্গীকারটি বিএনপিকে তরুণদের কাছে যেতে সাহায্য করবে। কোটা সংস্কার ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে আরও স্পষ্ট বক্তব্য আশা করেন আমাদের তরুণেরা।
নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে, তবে কর্মসূচির উল্লেখ নেই। বিএনপির রপরেখার দুটি উল্লেখযোগ্য ধারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে উভয়টিতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই। এখানে বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য দূর করে নিম্ন ও মধ্য পর্যায়ে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য এবং গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের প্রস্তাব এসেছে। ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের এনএইচএসের আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা (ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ) প্রবর্তনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা গেলে সেটা হবে দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের এক টেকসই কৌশল।
রাজনৈতিক দলগুলো ওয়াদার বরখেলাপ করে বলে একটি ইশতেহার বা রূপরেখা ভালো না খারাপ, তা নিয়ে সমাজে আলোচনা কম, প্রশ্ন করার চর্চা অনুপস্থিত।
বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গন রাজনৈতিক কলহে লিপ্ত হতে যতটা পছন্দ করে, বাগ্বিতণ্ডাকে যেভাবে উপভোগ করে, সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো রাজনৈতিক অঙ্গীকারপত্র ও পরিকল্পনা নিয়ে ভাবে না। এমনকি সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়েও নেই কোনো আলোচনা, কোন প্রতিশ্রুতির কত অংশ বাস্তবায়িত হলো, আদৌ হলো কি না, এসব প্রশ্ন সমাজে একেবারেই বিস্মৃত! এসব চর্চার পরিবর্তন দরকার।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। গ্রন্থকার: চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর; অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা; বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য