মতামত
গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য ‘ক্যাম্পাস চার্টার’ কেন জরুরি
বাংলাদেশে যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, বেশির ভাগ সময় সেই দলের সঙ্গে সম্পর্কিত ছাত্রসংগঠন শিক্ষাঙ্গনে নিজেদের দখল ও আধিপত্য কায়েম করেছে। স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে গণ–অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসগুলোয় সন্ত্রাস, দখলদারত্ব বন্ধের একটা কার্যকর পন্থা বের করা দরকার। সেই লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাব আকারে ‘ক্যাম্পাস চার্টার’ নিয়ে লিখেছেন মাহতাব উদ্দীন আহমেদ
গণ–অভ্যুত্থানের সময় একটা বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি (শব্দটা হওয়া উচিত শিক্ষার্থী রাজনীতি) বন্ধের দাবি তোলার জন্য প্রবল চাপ দিয়েছিল। বিষয়টা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের ৯ দফাসংক্রান্ত সাম্প্রতিক একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে পরিষ্কার হয়েছেন সবাই।
সেই চাপ সামলানো হয়েছিল ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি তুলে। গণ–অভ্যুত্থানের পরেও দেখা গেছে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নামে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের রাজনৈতিক দাবি ওঠানো হয়েছে। আবার এটাও সত্য যে এ ধরনের বিশেষ ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে এমন বহু সত্যিকারের সাধারণ শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাঁরা আন্তরিকভাবেই মনে করেন যে হানাহানি, সন্ত্রাস, দখলদারত্ব বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।
তাঁদের এমন মনে করার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে অতীতে যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন মূলত তাঁদের ছাত্রসংগঠনগুলোর করা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ–অভ্যুত্থানের পরে জোরেশোরেই একই ধরনের যুক্তি দিয়েই ক্যাম্পাসে লেজুরবৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি তুলেছিল। যদিও অতীত অভিজ্ঞতা বলে, ছাত্ররাজনীতিকে বন্ধ করাটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।
কিন্তু ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি কি আসলে বন্ধ করা যায়? যেকোনো রাজনৈতিক দল চাইলেই এমন ‘অরাজনৈতিক’ ছাত্রসংগঠন বা পকেট তৈরি করতে পারে, যাদের গঠনতন্ত্রে তারা যে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র এমন লেখা থাকবে, কিন্তু ভেতরে–ভেতরে সেটি হয়তো ওই সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কথাতেই পরিচালিত হবে।
এ ক্ষেত্রে ওই নতুন ছাত্রসংগঠনকে দায়বদ্ধ করার কোনো রাস্তা তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী থাকবে না। কারণ, গঠনতন্ত্র অনুসারে তারা ‘স্বাধীন ও স্বতন্ত্র’।
‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি না করেও যে ক্যাম্পাসে সংঘাত সৃষ্টি বা হামলা চালানো যায়, তার প্রমাণ সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেরাই রেখেছে। তারা যে নতুন ছাত্রসংগঠন ঘোষণা করল সম্প্রতি, সেখানে ঘোষণার দিন তারা নিজেরাই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ল; সেদিন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।
অন্যদিকে যদি পাইকারিভাবে ছাত্ররাজনীতিই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে সেটি ‘গুপ্ত’ রাজনীতির পালেই হাওয়া জোগায়, যেটি মোটেও কোনো ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এর প্রমাণ হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। অথচ সম্প্রতি একটি প্রভাবশালী ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন এমন একজন, যিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলেন।
পাইকারিভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে যদি ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ‘গুপ্ত’ রাজনীতির বিকাশ ঘটানোর পূর্বশর্ত তৈরি করা হয়, তাহলে সেটার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সত্যিকারের সাধারণ শিক্ষার্থীরাই। কারণ, একটা পর্যায়ে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেরাই আর পরস্পরকে বিশ্বাস করতে পারবেন না।
এখন কথা হচ্ছে, একটা স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এত বড় একটি গণ–অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসগুলোয় তো আসলেই সন্ত্রাস, দখলদারত্ব বন্ধের একটা কার্যকর পন্থা বের করা দরকার। যাতে ক্যাম্পাসগুলোয় শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।
কিন্তু সেই পন্থা হিসেবে ছাত্ররাজনীতিকেই বন্ধ করে দিলে তাতে আসলে কোনো ফায়দা হচ্ছে না। কারণ, চাইলেই অন্য কোনো নাম নিয়ে অন্য কোনো ‘স্বাধীন ও স্বতন্ত্র’ সংগঠন তৈরি করে একইভাবে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব বজায় রাখা সম্ভব। এমনকি ক্যাম্পাসের বাইরেও সন্ত্রাস চালানো যায়। সাম্প্রতিক সময়ে এর একটি প্রমাণ হলো ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’।
তাহলে এই ফাঁদ থেকে বের হওয়ার উপায় কী? আসলে এ ক্ষেত্রে আঘাতটা করা দরকার জায়গামতো। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস, হানাহানি, দখলদারত্বের দুইটা ‘পাওয়ার হাউস’ (ক্ষমতার কেন্দ্র) রয়েছে। একটা হলো বিশ্ববিদ্যালয় (ক্যাম্পাস) প্রশাসন এবং অন্যটি ছাত্রাবাস বা হলের নিয়ন্ত্রণ। যদি এই দুই জায়গায় শিক্ষার্থীরা একযোগে ‘আঘাত’ করতে পারে, একমাত্র তাহলেই সম্ভব ক্যাম্পাসগুলোয় সন্ত্রাস, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
আর এ কারণেই অপরিণামদর্শীভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি না তুলে বরং ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে হানাহানি, সন্ত্রাস, দখলদারত্ব, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি তোলা দরকার। এ জন্য এই মুহূর্তে দেশের প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আশু করণীয় হলো নিজ নিজ ক্যাম্পাসের জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাস চার্টার ঘোষণা দেওয়া।
এই ক্যাম্পাস চার্টার ঘোষণা দিতে হবে সব শিক্ষার্থী মিলে, শিক্ষার্থীদের ভোট নিয়ে। এই ক্যাম্পাস চার্টারে উল্লেখ করা থাকবে যে ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন এবং ক্যাম্পাস প্রশাসন কী কী কাজ করতে পারবে না।
ক্যাম্পাস চার্টারে ন্যূনতম যে কয়টি দফা থাকা দরকার
১. হলে থাকুক বা না–থাকুক, জোর করে কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো মিছিলে, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, বাধ্যতামূলক আড্ডায়, শোডাউনে নিয়ে যাওয়া যাবে না। অন্যদিকে কেউ যদি স্বেচ্ছায় কোনো মিছিলে, রাজনৈতিক প্রোগ্রামে, আড্ডায় বা সার্কেলে যায়, তাহলে তার ওপর অন্য কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য কোনো প্রকার হামলা, হয়রানি করতে পারবেন না কিংবা ভয়ভীতি দেখাতে পারবেন না অথবা জবাবদিহি চাইতে পারবেন না।
২. হলে গণরুম প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে। প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বেড, নিজস্ব পড়ার জায়গা এবং রিডিংরুমের ব্যবস্থা করতে হবে। হলে সিট বরাদ্দ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাত দিয়ে হবে। এই বরাদ্দের ফলাফলও প্রকাশিত হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই।
ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীর পারিবারিক ইনকাম স্টেটমেন্টের (আয়ের বিবৃতি) প্রমাণ জমা দিতে হবে এবং তার ভিত্তিতে হলে সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। সিট–সংকট থাকলে লটারি হবে। মাস্টার্স পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে। প্রতিটি হলের প্রত্যেক তলায় সিসিটিভি ক্যামেরা কার্যকর থাকা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. হলসহ ক্যাম্পাসের যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রকার র্যাগিং, ‘ম্যানার শেখানো’ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪. ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য কিংবা কোনো শিক্ষার্থীই কোনো প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র বা দেশীয় অস্ত্র বা হকিস্টিক, স্টাম্প, লাঠি, বাঁশ ইত্যাদি নিজের হলে মজুত করতে পারবেন না এবং কোনো প্রকার অস্ত্রের শোডাউনও করতে পারবেন না।
৫. কোনো ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্যই যেকোনো টেন্ডার–সংক্রান্ত কোনো ধরনের প্রক্রিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বা জড়িত থাকতে পারবেন না।
৬. কোনো ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য ক্যাম্পাসের ভেতরে কিংবা বাইরে কোনো প্রকার চাঁদাবাজিতে অংশ নিতে পারবেন না। দোকানে, ক্যানটিনে ‘ফাও খাওয়া’ চালাতে পারবেন না।
৭. মত কিংবা মতাদর্শের জন্য (সেটি রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় যা–ই হোক না কেন) কোনো ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য কিংবা নির্বিশেষে কেউই কারও ওপর কোনো হামলা, নিপীড়ন, নির্যাতন চালাতে পারবেন না।
৮. ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা থাকতে হবে এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল থাকতে হবে।
৯. কোনো ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য কিংবা নির্বিশেষে কোনো শিক্ষার্থীই যৌন নিপীড়ন কিংবা অন্য কোনো প্রকার নিপীড়ন বা হয়রানির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। কারও বিরুদ্ধে সে রকম কোনো অভিযোগ উঠলে নীতিমালা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১০. যদি কোনো ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য চার্টারের কোনো ধারা লঙ্ঘন করেন, তাহলে সেই ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে সাত কার্যদিবসের মধ্যে ক্যাম্পাস প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি তদন্ত করতে হয়, তাহলে ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে সেটি সমাপ্ত করে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী দোষীকে শাস্তি দিতে হবে।
সেই শাস্তি হবে অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে ওই শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ করা। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ সাজা হবে আজীবন নিষিদ্ধ করা এবং অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ছাত্রসংগঠনের সর্বোচ্চ সাজা হবে ক্যাম্পাসে পাঁচ বছরের জন্য তাঁর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। তবে ফৌজদারি অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও প্রশাসনকে নির্দিষ্ট কার্যদিবসের মধ্যে নিতে হবে।
১১. যদি ওপরে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে ক্যাম্পাস প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে উল্লিখিত সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রক্টর ও উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে।
১২. শিক্ষকেরা যেমন শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেন, তেমনি দলীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়া অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষকদের মূল্যায়নের কিছু ক্ষমতা দিতে হবে। যদি কোনো শিক্ষক কোনো ছুটি ছাড়াই নিয়মিতভাবেই পাঠদানে অনুপস্থিত থাকেন কিংবা ক্লাসের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী যদি মনে করেন যে ওই শিক্ষক তাঁদের পড়াতে পারছেন না, কিংবা তিনি তাঁর পাঠদানে অবহেলা করছেন, তাহলে ওই শিক্ষককে পরিবর্তন করার অধিকার ওই ক্লাসের শিক্ষার্থীদের থাকবে। যদি কোনো শিক্ষকের চাকরিকালে এমন ঘটনা পাঁচবারের বেশি ঘটে, তাহলে তাঁর নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
১৩. প্রত্যেক বছর নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
এখানে যে ‘ক্যাম্পাস চার্টার’-এর কথা বলা হলো, সেটি যদি বিভিন্ন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা মিলে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ঘোষণা দিয়ে চালু করতে পারেন, তাহলে যেকোনো ছাত্রসংগঠনের পক্ষেই ক্যাম্পাসে দখলদারত্ব ও সন্ত্রাস চালানো কঠিন হয়ে উঠবে। ফলে শিক্ষার্থীদের এখন ভেবে দেখা উচিত যে তাঁরা ‘হাওয়ায় আঘাত’ দেওয়ার মতো করে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি তুলবেন, নাকি সত্যিকার অর্থে সমস্যার সমাধানের জন্য ক্যাম্পাস চার্টার ঘোষণা দিবেন এবং সেটার বাস্তবায়নে নিজেরা সংগঠিত হবেন।
মাহতাব উদ্দীন আহমেদ সর্বজনকথার সদস্য, লেখক ও গবেষক
ই–মেইল: mahtabjuniv@gmail.com