এমানুয়েল মাখোঁ এমন এক সময় দক্ষিণ এশিয়ায় এলেন, যখন আফ্রিকার পশ্চিম অংশে ফ্রান্সবিরোধী গণজাগরণ চলছে। সংবাদমাধ্যমগুলোতে ইদানীং পশ্চিম আফ্রিকার অনেকগুলো সামরিক অভ্যুত্থানের খবর বের হলো। এ রকম প্রতিটি অভ্যুত্থানের একক বৈশিষ্ট্য ছিল ফ্রান্সবিরোধিতা।
আফ্রিকায় ফ্রান্সের ঐতিহাসিক পুরোনো আধিপত্যের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের এই অভিনব উদ্যাপনের পেছনে রয়েছে টমাস শঙ্করের স্মৃতি ও আদর্শ। বাংলাভাষী পাঠক যে আফ্রিকাকে ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ’ হিসেবে জানে, শঙ্কর সেখানে মুক্তির আলো জ্বালাতে গিয়ে নিহত হন।
আফ্রিকাজুড়ে মানুষের বিশ্বাস, শঙ্কর হত্যায় ফ্রান্সের মদদ ছিল। যদিও এ বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ নেই, কিন্তু এই ‘বিশ্বাস’ বিদ্যুৎ তরঙ্গ হয়ে একের পর এক দেশে ফ্রান্সের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য ভেঙে ফেলতে উদ্যত এখন। ফলে টমাস শঙ্করকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
স্বরাজ গড়তে নেমেছিলেন ৩৪ বছরের এক তরুণ
আফ্রিকায় একদা ফ্রান্সের ‘কলোনি’ সংখ্যা এত বেশি ছিল যে মহাদেশের পশ্চিম অংশের নামই হয়ে যায় ‘ফ্রেঞ্চ-ওয়েস্ট-আফ্রিকা’। এখানকার একটা দেশ বুরকিনা ফাসো। ঔপনিবেশিক প্রভুর দেওয়া পুরোনো নাম ছিল ‘আপার ভোল্টা’। ১৯৮৪ সালে টমাস শঙ্কর ক্ষমতায় এলে স্থানীয় দুটি ভাষা থেকে দুটি শব্দ নিয়ে দেশের নতুন নাম হয় ‘বুরকিনা ফাসো’ অর্থ ‘ন্যায়পরায়ণতায় অটল মানুষের দেশ।’
১৯৮৩ সালে শঙ্কর ৩৩ বছর বয়সে ক্ষমতায় এসেছিলেন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। কিন্তু এটা অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা নেওয়ার গতানুগতিক ঘটনা ছিল না। আজকের আফ্রিকার অভ্যুত্থানগুলোও একই চরিত্রের নয়। যদিও ইউরোপ ঢালাওভাবে তাঁর নিন্দা করে যাচ্ছে। ক্ষমতায় এসে ঔপনিবেশিক আমলের যাবতীয় ব্যবস্থা বদলে ফেলার কাজে নামেন শঙ্কর।
ফ্রান্স এত দিন পুরোনো কলোনিগুলোতে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক প্রাধান্যের সঙ্গে সামরিক উপস্থিতি রাখতেও পছন্দ করত। এ রকম ত্রিমাত্রিক উপস্থিতির মাধ্যমে তারা তথাকথিত কিছু ‘নির্বাচিত’ নেতাকে সামনে রেখে নয়া ঔপনিবেশিক এক পরোক্ষ শাসন জারি রেখেছিল। আফ্রিকার তরুণেরা তথাকথিত এই বেসামরিক শাসনে ব্যাপকভাবে ত্যক্ত-বিরক্ত-হতাশ। সে কারণে এসব অঞ্চলে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানগুলোর পেছনে জনসমর্থন ব্যাপক এবং প্রতিটি অভ্যুত্থানের প্রধান কর্মসূচি হয়ে পড়ছে ফ্রান্সের সৈনিকদের তাড়ানো।
উদ্যোগের মাঝে ছিল ভূমি ও কৃষিব্যবস্থার সংস্কার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় মার্সিডিজগুলো বেচে দেওয়া পর্যন্ত। তাঁর মন্ত্রিসভায় ৪০-এর বেশি বয়সী কেউ ছিল না।
শত শত স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলে শিশুদের টিকা দিতে শুরু করে শঙ্কর সরকার। চার বছরে সাক্ষরতার হার ১৩ শতাংশ থেকে ৭৩ শতাংশে বাড়িয়ে ফেলা হয়। সরকারি কর্মচারীদের স্থানীয়ভাবে তৈরি পোশাক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়। মরুকরণ রুখতে দেশব্যাপী শুরু হয় বনায়ন। বিদেশি সহায়তা নেওয়া বন্ধ করে দেন শঙ্কর। তাঁর মত ছিল, ‘যে সাহায্য দেয়, সে নিয়ন্ত্রণও করতে চাইবে।’ আফ্রিকার অন্য শাসকদের বিদেশি ঋণ ফেরত দেওয়া বন্ধ করে দিতে অনুরোধ করেন তিনি, যা সরাসরি আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে যাচ্ছিল।
শঙ্করের সব সংস্কার উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল ‘আফ্রিকান-স্বরাজ’। তিনি সবকিছুর ওপর গুরুত্ব দিতেন নারী অধিকারে। নারীবিরোধী সব সামাজিক প্রথা বন্ধ করেন। তাঁর মন্ত্রিসভায় পাঁচজন ছিলেন নারী। প্রেসিডেন্ট হলেও সরকারি দপ্তরগুলোতে তাঁর ছবি ঝোলানোর ঘোর বিরোধী ছিলেন শঙ্কর। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বলতেন, এখানে ৭০ লাখ টমাস শঙ্কর আছে। এসবই তাঁর খুনের পর আফ্রিকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ‘শঙ্করবাদ’ নামে। পরিবর্তনবাদী রাজনীতির এই আফ্রিকীয় অধ্যায় বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ায় তেমন আলোচিত নয়। এ–ও বোধ হয় জ্ঞানরাজ্যের উপনিবেশিত অবস্থার কারণেই।
শঙ্করের খুন ও বিচার
শঙ্করের পোশাক, ভঙ্গি ও সংস্কারচেষ্টাগুলো মিলে জীবদ্দশাতেই তাঁকে ‘আফ্রিকার চে গুয়েভারা’ বলা হতো। ১৯৮৭ সালের ৯ অক্টোবর চে গুয়েভারাকে হত্যার ২০তম বার্ষিকীতে শঙ্কর একটা বক্তৃতাও দেন তাঁর স্বরাজ চিন্তা নিয়ে। এর ঠিক ছয় দিন পর ‘জাতীয় বিপ্লবী কাউন্সিলের’ এক বৈঠকে ১২ জন সহযোগীসহ শঙ্করকে হত্যা করা হয়।
শঙ্করের কিউবাপ্রীতিও তাঁর আন্তর্জাতিক বিরোধী পক্ষকে উত্তেজিত করেছিল। ১৯৮৪ সালে শঙ্করকে কিউবার সর্বোচ্চ পদকে সম্মানিত করা হয়।
মৃত্যুর আগের বছর শঙ্কর তাঁর দেশের ৬০০ এতিম শিশুকে রাজনৈতিক ও পেশাগত প্রশিক্ষণের জন্য কিউবা পাঠিয়েছিলেন। তিনি মনে করতেন, দরিদ্ররা পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি আদর্শিকভাবে প্রশিক্ষিত না হলে শক্তিশালী কুলীনদের সঙ্গে পারবে না। কিউবা যাওয়ার আগে শঙ্কর একে একে ৬০০ শিশুর প্রত্যেকের সঙ্গে হাত মেলান এবং ফিরে এসে দেশের কাজে যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। মৃত্যুর আগের মাসে শঙ্কর নিজেই কিউবা যান এই শিশুদের দেখতে। ফিদেল কাস্ত্রোও শঙ্করের সঙ্গে মিলে ওই শিশুদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গিয়ে সময় কাটিয়েছেন। পরের মাসেই শঙ্কর নিজ রাজধানীতে নিহত হন।
শঙ্করকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন তাঁর প্রধান সহযোগী ব্লেইসে কম্পাওরই। খুনের দিনই তিনি ক্ষমতায় বসেন। খুনিরা কম্পাওরইর বাসা থেকে যাত্রা করেছিল বলে প্রমাণ মেলে। আন্তর্জাতিক অনেক শক্তি শঙ্করকে হত্যার অভিযানে যুক্ত ছিল বলে তখন থেকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। বিশেষ করে শঙ্করের ঔপনিবেশিকতাবিরোধী রাজনীতি ও কর্মসূচির ঢেউ আফ্রিকায় যাদের স্বার্থে আঘাত করছিল, তারা এ ঘটনার পেছনে মূলশক্তি হিসেবে কাজ করে। সেনাবাহিনীর একটা অংশও ঔপনিবেশিক আমলের সুবিধাভোগী দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে যে হাত মিলিয়েছিল, তার প্রমাণ হত্যাকারীদের দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা।
কম্পাওরই ক্ষমতায় বসেই শঙ্কর হত্যার যেকোনো তদন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এ সময় শঙ্করের শুরু করা সংস্কার উদ্যোগগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে থাকে। কম্পাওরইর ২৭ বছরের কঠোর শাসনের মাঝেই শঙ্কর হত্যার বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকাজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন দানা বেঁধেছিল। শেষ পর্যন্ত ওই আন্দোলন সফল হয়। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে কম্পাওরাই পাশের আইভরি কোস্টে পালিয়ে যান। ২০১৪ সালে কম্পারওরই উৎখাতের পর শঙ্কর হত্যার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচারে কম্পাওরইসহ কয়েকজন দোষী সাব্যস্ত হন। যাবজ্জীবন দণ্ড নিয়ে কম্পাওরই আইভরি কোস্টেই আছেন। ২০২২ সালে হত্যার বিচার ছাড়াও শঙ্কর ও তাঁর সহযোগীদের মৃতদেহ রাজধানীতে নতুন করে সমাধিস্থ করা হয়।
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যে কারণে অভিযোগ
শঙ্কর ও তাঁর ১২ সহযোগীর বিচারের ঘটনার একটা দুর্বলতা হলো খুনিদের পেছনের শক্তি তথা শঙ্করকে হত্যার নির্দেশদাতা আজও সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত হয়নি। হত্যার ঘটনার পর থেকে শঙ্করের স্ত্রী মরিয়ম শঙ্কর এই ঘটনায় ফ্রান্স জড়িত থাকার অভিযোগ তুলছিলেন। কিন্তু এই অভিযোগের পক্ষে আজও রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্বাসের অধিক প্রমাণপত্র হাজির করা যায়নি। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে মামলার আইনজীবীরা ফ্রান্সের কাছে কিছু গোপন সামরিক নথি দাবি করেন। তাঁরা ফরাসি কিছু সামরিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদেরও সুযোগ চান।
এমানুয়েল মাখোঁ ২০১৭ সালের নভেম্বরে বুরকিনা ফাসো সফরকালে এসব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আফ্রিকাজুড়ে ওই প্রতিশ্রুতি সংবাদ শিরোনাম হয়। মাখোঁর ওই প্রতিশ্রুতি ছিল এই ঘটনায় ফ্রান্সের যুক্ততার মৃদু এক পরোক্ষ স্বীকারোক্তি। কিন্তু ফ্রান্স শেষ পর্যন্ত কথা রাখেনি। ওই সফরকালে উয়াগাদুগু বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে মাঁখো যখন ‘উপনিবেশকালীন অপরাধকে’ ‘অতীতের বিষয়’ গণ্য করার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা করছিলেন, তখন রাস্তায় তরুণেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন।
বুরকিনা ফাসোর রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিরা শঙ্কর হত্যায় ফ্রান্স জড়িত থাকার পক্ষে অনেক অনুমানের কথা বলেন। যেমন এই খুনের আগে শঙ্করের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁর ব্যাপক মতদ্বৈধতা চলছিল। মিতেরাঁর আমলে ১৯৮৪ সালে বুজুমবুরাতে ‘ফ্রান্স-আফ্রিকা সম্মেলন’ বর্জন করেন শঙ্কর। মিতেরাঁয় ১৯৮৬ সালে যখন বুরকিনা ফাসো আসেন, তখন শঙ্কর তাঁর কিছু সমালোচনাও করেন। এ বছরই আইভরি কোস্টে ফ্রান্স আফ্রিকায় তাঁর অনুগত শাসকদের সম্মেলন ডাকে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানেই শঙ্করকে থামানোর সিদ্ধান্ত হয়। দ্বিতীয়ত, শঙ্করের পর ক্ষমতায় আসা কম্পারওরই সঙ্গে ফ্রান্সের রাতারাতি মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং প্যারিস তাঁকে ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকতে ব্যাপক মদদ দেয়।
তৃতীয়ত কম্পারওরই ক্ষমতাচ্যুতির পর ২০১৪ সালের অক্টোবর শঙ্কর অনুসারীদের হাতে তাঁর আটক ঠেকাতে ফ্রান্সের একটা বিশেষ কমান্ডো দল বুরকিনা ফাসো থেকে তাঁকে উদ্ধার করে আইভরি কোস্টে নিয়ে যায়। এ সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ। শঙ্করের অনেক রাজনৈতিক বন্ধুই এই হত্যার পেছনকার আন্তর্জাতিক চক্রান্তের তথ্য-উপাত্ত খুঁজে ফিরছেন এখনো। অনেক দলিলপত্রভিত্তিক বই লেখা হয়েছে। ‘থমাসশঙ্কর.নেটে’ যে কেউ সেসব দেখতে পারেন।
‘শঙ্করবাদের’ ঢেউ
শঙ্করের মৃত্যু এবং কম্পারওরই উৎখাতের পর বুরকিনা ফাসোতে মূল সমস্যা বাধে দুটো। একের পর এক সেনা অভ্যুত্থান ঘটছে এবং ধর্মভিত্তিক সশস্ত্র তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে। গত বছরও দেশটিতে দুই দফা অভ্যুত্থান হয়। শেষেরটির নেতা হলেন বর্তমান শাসক ইব্রাহিম ত্রাওরে। ইব্রাহিম ক্ষমতায় এসেই ফরাসি সৈনিকদের বুরকিনা ফাসো ছাড়তে সময়সূচি বেঁধে দেন এবং ইতিমধ্যে সেটার বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন এই ‘মডেল’ বাস্তবায়িত হতে চলেছে পুরো পশ্চিম আফ্রিকায়।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া নিন্দা করে ‘ক্যু-বেল্ট’ বলে। ১৯৫০–পরবর্তী হিসেবে দেখা যায় আফ্রিকায় সব মিলে ২১৪টি অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়েছে, যার ১০৬টি ছিল সফল। এর সাতটি হয়েছে বুরকিনা ফাসোতে। নাইজারে সফল হয়েছে ৫টি। গত জুলাইয়ে নাইজারে সর্বশেষ অভ্যুত্থান হলো। গ্যাবনে হলো গত মাসে। মালিতে হলো ২০২০-এ। প্রশ্ন হলো, এ অঞ্চলে এভাবে ঘন ঘন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটছে কেন?
ফ্রান্স এত দিন পুরোনো কলোনিগুলোতে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক প্রাধান্যের সঙ্গে সামরিক উপস্থিতি রাখতেও পছন্দ করত। এ রকম ত্রিমাত্রিক উপস্থিতির মাধ্যমে তারা তথাকথিত কিছু ‘নির্বাচিত’ নেতাকে সামনে রেখে নয়া ঔপনিবেশিক এক পরোক্ষ শাসন জারি রেখেছিল। আফ্রিকার তরুণেরা তথাকথিত এই বেসামরিক শাসনে ব্যাপকভাবে ত্যক্ত-বিরক্ত-হতাশ। সে কারণে এসব অঞ্চলে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানগুলোর পেছনে জনসমর্থন ব্যাপক এবং প্রতিটি অভ্যুত্থানের প্রধান কর্মসূচি হয়ে পড়ছে ফ্রান্সের সৈনিকদের তাড়ানো।
অনেকেই বলছেন, এটাই হলো টমাস শঙ্করের ভূত। গত বছর শঙ্কর হত্যার বিচারপ্রক্রিয়ার সময় পুরো আফ্রিকায় আবার শঙ্করবাদ নিয়ে আলাপ-আলোচনা বেড়ে যায়। ফ্রান্সবিরোধী তাঁর ভিডিও ক্লিপগুলো ভাইরাল হতে থাকে। উত্তর আফ্রিকার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মাঝেও এসবের প্রভাব পড়েছে। এভাবেই মৃত শঙ্কর জীবিত অবস্থা থেকেও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছেন পুরোনো ফ্রান্স-রাজের জন্য। ইতিহাসে এমনও ঘটে।
আলতাফ পারভেজ ইতিহাস বিষয়ে গবেষক