বিশ্লেষণ
ভারতে নির্বাচন, নাকি আলাদিনের অলিম্পিক জয়
১৯ এপ্রিল থেকে আগামী ১ জুন পর্যন্ত ভারতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনটি ভারতে গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের এ নির্বাচন নিয়ে লিখেছেন অপূর্বানন্দ।
২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া শাসা ব্যারন কোহেনের দ্য ডিক্টেটর কমেডি মুভিতে একটি বিখ্যাত দৃশ্য আছে। ডিক্টেটর আলাদিন একটি ১০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, যা অলিম্পিক গেমসের অংশ এবং তিনি নিজেই সেটা আয়োজন করেছেন।
দৌড় শুরু করার ঘোষণার জন্য তাঁর কাছে আছে পিস্তল। তিনি দৌড় শুরুর করার পর সেটা থেকে গুলি করেন। তিনি যেহেতু তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে কেউ তাঁর কাছাকাছি চলে এলে তিনি তাঁকে গুলি করেন। একে একে সব দৌড়বিদ ছিটকে পড়েন—কেউ গুলিতে আহত হয়ে অথবা কেউ ভয় পেয়ে।
দৌড় শেষ করার আগেই যখন ডিক্টেটর আলাদিনকে দম হারিয়ে ফেলতে দেখা যায়, তখন ফিনিশ লাইনে রিবন ধরে থাকা লোকগুলোই তাঁর দিকে দৌড়াতে থাকেন। তিনি রিবন পার হন এবং দৌড় প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। এ সময় বলা হয় অলিম্পিক গেমসে তিনি ১৪টি মেডেল জিতেছেন।
১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত দেশজুড়ে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণার পর থেকেই ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমার এই দৃশ্য বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। লোকজন মন্তব্য করছেন, দ্য ডিক্টেটর সিনেমার এই দৃশ্যে যে প্যারোডি করা হয়েছে, বর্তমানে ভারতে ঠিক তা–ই ঘটছে এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য তাঁদের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
অবশ্যই ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বৈরতন্ত্র হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা যায় না, কিন্তু বর্তমানে এ দেশকে কার্যকর, স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের কাতারেও রাখা যায় না। সত্যিই ২০১২ সালের সিনেমাটির কাল্পনিক চরিত্র ডিক্টেটর আলাদিনের সঙ্গে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ভারতের বর্তমান শাসকদের কিছু কর্মকাণ্ডের অনস্বীকার্য মিল রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার অনেক আগে এবং সব দলকে প্রচার-প্রচারণার বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বড় মাত্রায় ও রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে। এভাবে এটা বিরোধী দলগুলোকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।
উপরন্তু, ২০২৪ সালের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার কিছু আগে ভোট দেখভালের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের সদস্য মনোনয়নের জন্য আইন সংশোধন করে সরকার। এর আগে এই মনোনয়ন কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার পাশাপাশি ভারতের প্রধান বিচারপতিও থাকতেন। মনোনয়নে কিছুটা নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতেই এটা ছিল।
কিন্তু এ বছর সরকার আচমকা এই নিয়মটা পাল্টে দিল। এর ফলে এই কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতি বাদ গেলেন এবং তাঁর জায়গায় প্রধানমন্ত্রী মনোনীত সরকারের একজন মন্ত্রীকে আনা হলো। এর মানে হলো, নির্বাচন কমিশন মনোনয়নে সরকারের মতামতই এখন প্রাধান্য পাবে। এটা যেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অনেকগুলো দলের মধ্যে একটিমাত্র দলের ক্যাপ্টেন কর্তৃক আম্পায়ার নিয়োগ দেওয়ার মতো হলো। তাহলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বলার কিছু অবশিষ্ট থাকল কি?
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরপরই মার্চের ২১ তারিখ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দল আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দিল্লিতে মদের আবগারি শুল্কের নতুন নীতিসংক্রান্ত কেলেঙ্কারির প্রধান হোতা—এমন অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁকে গ্রেপ্তার করে। কেজরিওয়ালকে যে সময় গ্রেপ্তার করা হয়, আম আদমি পার্টির আরও তিন নেতাও তখন কারাবন্দী ছিলেন। তাঁরা হলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দার জৈন এবং রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং।
সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সঞ্জয় সিংকে জামিন দিয়েছেন। কিন্তু অন্য বিরোধী নেতারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সময়মতো মুক্তি পাবেন—এমন সম্ভাবনা খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। দিল্লি হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের বিচারিক আটকাদেশ ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন।
বিরোধীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধ্যতামূলকভাবে এই গ্রেপ্তারগুলোর একটি প্রভাব রয়েছে। এবং বিরোধীদের মধ্যে শুধু এরাই একমাত্র ব্যক্তি নন, যাঁরা নির্বাচন সামনে রেখে কারাভোগের হুমকি ও আইনি যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছেন। গত কয়েক মাসে দেশজুড়ে বহু বিরোধী নেতা বর্তমান ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নোটিশ ও গ্রেপ্তারের সমন পেয়েছেন।
উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৫-৯৭ সালে বেআইনি অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার কথিত অভিযোগে বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে ৫ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এটা স্পষ্ট যে সরকারের তদন্তকারী সংস্থাগুলো শীর্ষ বিরোধী নেতাদের কারাবন্দী করতে বা কেবলই আইনি ঝামেলায় ফেলতে চেষ্টা করছে, যাতে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁদের পূর্ণ মনোযোগ ও শক্তি উৎসর্গ করতে সক্ষম না হন। বিরোধী দলগুলো যাতে কার্যকর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে না পারে, সে জন্য তাদের ক্ষমতা সীমিত করতে বিরোধী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সরকার লক্ষ্যবস্তু করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এক মাস ধরে ভারতের ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে কয়েক শ মিলিয়ন ডলারের একাধিক কর-নোটিশ পাঠিয়েছে এবং জরিমানা হিসেবে দলটির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ দশমিক ৩২ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করেছে।
নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে সীমিত প্রবেশাধিকার দিয়ে এই সংস্থা দলটির ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করেছে। কংগ্রেস বলেছে, ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের এসব পদক্ষেপকে তাঁরা দলের প্রচার-প্রচারণা ধ্বংসের একটি চেষ্টা এবং এভাবে এটা ভারতীয় গণতন্ত্রের ওপর একটি আঘাত হিসেবে দেখছে।
প্রতিদিন অন্য দলের এক বা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার বিজেপিতে যোগদানের খবর পাওয়া যায়। এ রকম ধারণা করা হয়, সরকারের তদন্তকারী সংস্থাগুলোর ভয়ভীতি এবং হয়রানির ফলাফল হিসেবে তাঁরা তাঁদের দল ত্যাগ করছেন এবং বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা অশোক চাভান হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করে বিজেপি বিরোধী নেতাদের হুমকি দিচ্ছে।’ এরপর থেকে চাভান নিজেও বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে বিচার ও জেলে পাঠানোর হুমকি পেয়েছেন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি কংগ্রেস ছাড়েন এবং বিজেপিতে যোগ দেন।
দলবদল করে বিজেপিতে যাওয়া বিরোধী নেতাদের নিয়ে এ মাসের শুরুতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকেরা যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন, ২০১৪ সালের পর ২৫ বিরোধী নেতা তাঁদের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তাঁদের মধ্যে ২৩ জনই ‘নিরাময়’ পান। তিনটি মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ২০টি মামলা স্থগিত হয়ে যায়—এর অর্থ হলো, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এ রকম কৌশলে ভারতের বিরোধী দলগুলোকে গর্তে ফেলা হচ্ছে। উপরন্তু এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে জনগণ বিরোধীদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। বিরোধী দলগুলোকে এমন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানো হচ্ছে যা বিশৃঙ্খল, ভয়ে পঙ্গু এবং শাসনের অযোগ্য লোকে ভরা।
নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা দিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রায় সব ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খোলাখুলিভাবে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করছে।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের সমর্থনে এবং তাঁদের নিজেদের তুলে ধরতে সংবাদমাধ্যমগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। বিরোধীরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলো এ ধরনের বক্তব্য প্রচারে উদ্যোগ নিচ্ছে, বিরোধীরা দুর্বল, প্রধানমন্ত্রী এখনো জনপ্রিয় এবং তিনি বা বিজেপির কোনো বিকল্প নেই।
কোনো স্বাধীন সংবাদ সংস্থা অথবা নিউ মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যদি সরকারি বয়ানের বাইরে গিয়ে কিছু বলে, সরকারের তরফ থেকে সেগুলো হামলা ও হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছে। সরকারের সমালোচক বহু জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে অথবা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা ব্যবহার করা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীসহ বিজেপি নেতারা সাম্প্রদায়িক ভাষা ব্যবহার করা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসকে এই বলে আক্রমণ করেন যে দলটির নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিটি পৃষ্ঠা ‘মুসলিম লীগের ছাপ বহন করে’। এ ছাড়া বিজেপি নেতারা তাঁদের সব বক্তব্য ও বিবৃতিতে বিরোধী দলগুলোকে ‘রামবিরোধী’ বলে নিন্দা করছেন এবং তাঁদের একটি শিক্ষা দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছেন।
একেবারে শুরু থেকেই সরকার এবং তাঁর সমর্থকেরা খোলাখুলিভাবে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে এই ধারা পরিবর্তন করার কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কিন্তু কে তাঁদের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ভারতীয় গণতন্ত্রকে বিদ্রূপ করার বিষয়ে আপত্তি জানাবে? প্রধানমন্ত্রীর নিজেরই নিয়োগ করা নির্বাচন কমিশন কিছু করবে—সত্যিকারভাবে কেউই সেটা প্রত্যাশা করে না।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগসহকারে এ সবকিছু দেখছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি এমন একটি বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেছেন যেখানে বলা হয়েছে, ভারতে জনগণের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত এবং ‘মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে’ সবাই ভোট দিতে পারে। যে পথে বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে, তাতে নির্বাচন শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘের এই বিবৃতিটি যে কারও জন্য একমাত্র আশা।
আসন্ন নির্বাচন ভারতে গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা স্পষ্ট, দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা জনগণের পক্ষে নয়, বিজেপির পক্ষে কাজ করবে এবং সংবাদমাধ্যমগুলো বর্তমান সরকারের প্রচারমাধ্যম হিসেবে ভূমিকা নিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর হাত-পা বাঁধা।
এ রকম অবস্থায় একমাত্র ভরসা হলো ভারতীয় জনগণ, যাঁরা দেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গণতন্ত্রের জন্য নিরলসভাবে লড়াই করেছেন এবং এর মূল্য খুব ভালো করেই জানেন। আশা করি, তাঁরা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পারবেন এবং তাঁদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করবেন। সেটা হলো ভোট; দ্রুতগতিতে ভারতের গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ বন্ধ করতে যা তাঁরা ব্যবহার করবেন।
যদি তা না হয়, তাহলে আসন্ন ভারতীয় নির্বাচন হবে ইতিহাসের একটি প্রহসনমূলক নাটক, যা শুধু মোদি এবং তার দলকে খুশি করার জন্য, নতুনভাবে বৈধতা প্রদানের জন্য, যেটা স্বৈরশাসক আলাদিনের অলিম্পিক গেমসের থেকে খুব বেশি আলাদা নয়।
অপূর্বানন্দ ভারতের দিল্লি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক
আল-জাজিরা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ। অনুবাদ: মনজুরুল ইসলাম