আমাদের জেন–জি ও চীনের জেন–জি: মুক্তির শেষ বলে কিছু নেই

‘আগে কেবা প্রাণ করিবেক দান, তারি লাগি তাড়াতাড়ি’ করে ‘দারুণ বিপ্লব-মাঝে’ এই জেন-জি যেন রূপকথার ফিনিক্স।ছবি: দীপু মালাকার

আমাদের ছেলেবেলাজুড়ে ‘আমরা সবাই যে রসাতলে যাচ্ছি’—এ রকম একটা আলোচনা ঘরে-বাইরে এত বেশি শুনতাম যে আমার মতো অনেকে ধরেই নিয়েছিলাম যে আমাদের মঞ্জিলে-মকসুদ নির্ঘাত সেই রসাতল নামক দেশ। এখন অবশ্যই জীবনের এতটা পথ পেরিয়ে চীনদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে মনে হয়, ‘যাক বাবা বড্ড বাঁচা বেঁচে গেছি, যদিও ছাপোষা মাস্টারমশাই হয়েছি, তবু আর যা–ই হোক, রসাতলে তো যাইনি।’

তবে রসাতল কিংবা উচ্ছন্ন, লক্ষ্মীছাড়া ইত্যাদি শব্দগুলো যেহেতু মাথায় গেঁথে যাওয়া, তাই আমিও আজকালকার তরুণদের দেখলে ভাবতাম, তারা বুঝি ব্যস্তসমস্ত হয়ে তল, অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, মহাতল পেরিয়ে রসাতলের পথে ‘যুগ যুগ ধাবিত যাত্রী’।

২০২৪ সালের সপ্তম মাসে এসে খুব অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, আমার সেই আকৈশোর লালিত রসাতল তত্ত্বে এ দেশের তরুণ তুর্কিরা বিশেষ করে জেন-জি সোল্লাসে পানি ঢেলে দিয়ে বুঝিয়ে দিল যে তারা মোটেও রসাতলে যায়নি এবং সেদিকে যেন আর কাউকেই যেতে না হয়, এই বৈপ্লবিক পরিবর্তনসাধনই তাদের মন্ত্র। হেরে গেলে কে না খেপে? আমিও খেপে গিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম ‘এ নির্ঘাৎ হিং-টিং-ছট’, এরা ‘ফার্মের মুরগি’, এই ঝিমিয়ে পড়ল বলে। বলতে দ্বিধা নেই, তরুণেরা আবারও আমাকে গুনে গুনে দশ গোল দিয়ে দিলেন।

আমরা তো কেবল মুখস্থই করে ক্ষান্ত ছিলাম, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান’, কিন্তু অধুনা এই জেন-জি হাসিমুখে প্রাণদান করে ‘ক্ষয় নাই, তার ক্ষয় নাই’–এর গুরুত্বও বুঝিয়ে দিয়ে গেল। দুহাত প্রসারিত করে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও অন্যায়ের সামনে লৌহপ্রাচীরসম দণ্ডায়মান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহীদ আবু সাঈদ আজ ধন্য। ধন্য তাঁর আর মুগ্ধর মতো আরও অনেক সাহসী জেন-জি কে গর্ভে ধারণ করা মহিয়সী সেসব জননী আর ধন্য বীরপ্রসবা এই বাংলাদেশ।

জন্ম একটাই, কাজেই মৃত্যু তো অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু এমন ভাবনাহীন চিত্তে, জ্যোতির্ময় মৃত্যুর মাধ্যমে জেন-জি দেখিয়ে দিয়েছে হিমালয়সম অন্যায়ের চূড়া কীভাবে সততা, নৈতিকতা আর সাহসিকতার চাপে গুঁড়িয়ে দিতে হয়। ‘আগে কেবা প্রাণ করিবেক দান, তারি লাগি তাড়াতাড়ি’ করে ‘দারুণ বিপ্লব-মাঝে’ এই জেন-জি যেন রূপকথার ফিনিক্স।

এবার আসা যাক জেন-জি প্রসঙ্গে। যদিও এরা আমাদেরই মতো বাংলার কাদাজলের, তবু এরা আলাদা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে এদের নতুন যেকোনো কিছু গ্রহণ করে নেওয়ার স্বভাবজাত ক্ষমতা আছে। তারা বিপদে হাল ছেড়ে না দিয়ে নতুন পথ তৈরির চেষ্টা করে। এ জন্য তারা নতুন চিন্তা, নতুন ধারণা ও পরিবর্তনের বাহক হয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় গ্রহণ করতে চায় এ জগতের যা কিছু মহান, যা কিছু কোমল। এ প্রজন্মের মূল বৈশিষ্ট্য হলো, তাদের সৃজনশীলতা ও পরিবর্তনের প্রতি নির্ভয় আগ্রহ।

বর্তমান পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তারা পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার সক্ষমতা রাখে এবং মনের বিস্তৃতি অনুযায়ী ভালোকে গ্রহণ করে ও মন্দকে বর্জন করে। সুতরাং এই প্রজন্মের মধ্যে ভালো–মন্দের বিচার করার ক্ষমতা সহজাত। পাশাপাশি, এ প্রজন্ম অত্যন্ত সংবেদনশীল। ‘কানাকে কানা আর খোঁড়াকে খোঁড়া’ বলার প্রতি আগ্রহী, এ প্রজন্ম বড্ড স্পষ্টভাষী।

বর্তমান বিশ্বে জেন-জির চাহিদা, তাদের ভাবনা জেনে তাদের জন্য সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ রচনার পেছনে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আমি নিজে যেহেতু সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, আমাকেও গণচীনের জেন-জিবিষয়ক একগাদা প্রশিক্ষণের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে (এটি বাধ্যতামূলকও বটে) এবং বলতে বাধা নেই যে আমি প্রতিদিনই কিন্তু নতুন নতুন বিষয় শিখছি।

এ প্রসঙ্গে ২০০০ সালের করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াইয়ের সময় চীনের রাষ্ট্রপতি সি চিন পিংয়ের সামনে উহানে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করা জেন-জি প্রতিনিধি শিয়ে শিয়াও ইউর বলা একটি কথা না বললেই নয়। রাষ্ট্রপতি সে সময় তাকে বলেছিলেন, এ রকম একটি মুহূর্তে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ তো বেশ চ্যালেঞ্জিং।

শিয়ে শিয়াও ইউ নামের মেয়েটি একগাল হেসে লাজুক উত্তর দিয়েছিল, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট, আমি আমার জীবনে অর্থবহ কিছু করতে চাই’। চীনে তরুণদের, বিশেষত জেন-জিকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। আমাদের মতো যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তাদের যেহেতু দিনের একটা লম্বা সময় কাটে এদের সঙ্গে, কাজেই আমাদের বাধ্যতামূলকভাবেই এদের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হয়।

চীনারা মনে করে, এই নতুন প্রজন্মই তাদের আগামী। এদের যোগ্য করে গড়ে তুলে এদের হাতেই সঁপে দিতে হবে চীনকে। কাজেই এদের সঠিক শিক্ষালাভ ও বেড়ে ওঠা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। চীনারা মনে করে, শিক্ষা মানে শুধু শ্রেণিকক্ষের পাঠদান নয়, একজন শিক্ষক এই নতুন প্রজন্মকে শ্রেণিকক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের বাইরের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবেন।

চীনারা মনে করে, একজন তরুণের শিক্ষালাভ আসলে তিন ধরনের জ্ঞানের সমাহার, এই তিন ধরনের জ্ঞান হলো জীবন সম্পর্কে জানা, জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে জানা ও সব শেষে বিশ্ব সম্পর্কে জানা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে এসব বিষয় দেখলে আদতে ন্যাপথলিনের গন্ধ মাখা পুরোনো বুলি মনে হলেও একটু খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, আদতে এই তিনটি বিষয়ের ব্যাপ্তি কিন্তু বিশাল।

ধরা যাক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইয়ের কথা। শোনা যাচ্ছে, এর ফলে একটা ব্যাপক মাত্রার সনাতন কর্মযজ্ঞ সংকুচিত হবে, আর এর সরাসরি শিকার হবে এই জেন-জি। তবে এটি হচ্ছে মুদ্রার এপিঠ, মুদ্রার অন্য পিঠেই কিন্তু আছে সুযোগ।

এআই ব্যবহার করে রয়েছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। জীবন সম্পর্কে জানা, জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে জানা ও সব শেষে বিশ্ব সম্পর্কে জানার এই চীনা তরিকা আসলে এই নির্দেশই দেয় যে জীবনে উত্থান-পতন আছে বলেই না জীবন সুন্দর এবং এই জগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন জ্ঞান আহরণ করে এগিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই।

আমাদের দেশে এককভাবে জেন-জির সংখ্যাই কেবল পাঁচ কোটির বেশি, বৈশ্বিক অর্থনীতির টালমাটাল যুগে এই পাঁচ কোটি (পাশাপাশি শ্রমশক্তি আছে সাড়ে সাত কোটির মতো) স্বপ্নবাজ তরুণ মানেই অপার সম্ভাবনা। সদ্য সাবেক সরকারের সবচেয়ে বড় ভুলটি ছিল এই ব্যাপকসংখ্যক তরুণের স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের ভয় (রিস্ক) সম্পর্কে আগাগোড়া না জেনে হুট করে নিজেদের স্বপ্ন এদের ওপর চালিয়ে দেয়া। ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতার উষ্ণীষ মাথায় দিয়ে তখতে বসবেন, তাদেরই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গঠনের রূপকল্পে এই সাড়ে সাত কোটির আশা ও চাহিদার প্রতিফলন রাখতে হবে।

এই বিপুলসংখ্যক তরুণের ঘরে মুক্তির সুফল পৌঁছে দেওয়ার কাজটি যে কারও জন্যই কঠিন। প্রখ্যাত মনীষী আহমদ ছফা তাঁর বেশ কিছু মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রবন্ধে বাংলাদেশের জন্মপরবর্তী দক্ষিণ এশীয় রাজনীতির স্বরূপ নিরীক্ষণকরত যে মতামত দিয়েছেন, তা অনেকটা রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পের ফটিক ও তার মামাতো ভাইদের সম্বন্ধেরই প্রতিরূপ, ‘ইহার কোনো অপমানে তাহারা অন্যান্য বালকের চেয়েও যেন বলপূর্বক বেশি করিয়া আমোদ প্রকাশ করিত।’

এহেন দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নিরিখে বর্তমান বিশ্বের অস্থির সময়কে আমলে নিয়ে অযুত তরুণের ঘরে বিপ্লবের সুফল পৌঁছে দেওয়ার কঠিন কাজটি কঠিনতর হয়ে ওঠে বৈকি। সে ক্ষেত্রে আশপাশের ‘মামাতো ভাইদের’ বাস্তব অবস্থার গুরুত্ব মাথায় রেখেই দেশের ভেতরকার সংস্কারকাজে হাত লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছেলে-বুড়ো সবাইকে ব্যক্তিস্বার্থের ক্ষুদ্র গণ্ডি ছেড়ে বেড়িয়ে আসতেই হবে।

এ ক্ষেত্রে রাজনীতির সন্তপুরুষ শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী সাহেবের একটি বিখ্যাত ভাষণ উল্লেখ না করেই পারছি না, ‘ক্ষমতার নিরন্তর খেলায় সরকার আসবে–যাবে, দল ভাঙবে আবার গড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশটাকে তো অক্ষুণ্ন রাখা চাই, সমুন্নত রাখা চাই দেশের গণতন্ত্রকে’ (১৯৯৬)। আজকাল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ দেখা যাচ্ছে ‘যত বিপদ তত ঐক্য’। এ সময় আলুটা–মুলোটার ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ ছেড়ে বেরিয়ে এসে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংস্কারকাজে হাত লাগানো একান্ত প্রয়োজন।

মুক্তির শেষ বলে কিছু নেই, তাই মুক্তির সংগ্রাম নিরন্তর। সেই সূত্রে সংস্কারকাজের ব্যাপ্তিও বিশাল। তবে আশার কথা হলো, অন্তর্বর্তী সরকার শত বাধার বিন্ধ্যাচলের সামনে দাঁড়িয়েও মূল সমস্যাগুলো ধরে ধরে এগোচ্ছে। এই মুহূর্তে আমরা আর্থিক, সামাজিক বিভিন্ন সমস্যায় যদিও জেরবার, তথাপি লেখার অন্তে এসে আমি আবার ফিরে যেতে চাই জেন-জির কাছেই।

আজ থেকে ১০০ বছরের বেশি আগে চীনের তরুণেরা ১৯১৯ সালের ৪ মে বেইজিং থেকে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে, চেয়েছিলেন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে বাঁচার একটুখানি আশা। ইতিহাসে এই বিপ্লব চীনের ‘চৌঠা মে’ বিপ্লব নামে পরিচিত। এই বিপ্লব সরাসরি অনুপ্রাণিত করেছিল সে সময় বেইজিংয়ে কাজের সন্ধানে আসা তরুণ মাও–সে–তুংকে এবং পরবর্তীকালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে।

১০০ বছর পর এসে আজও দিনটি চীনজুড়ে যুব দিবস হিসেবে মহাসমারোহে পালিত হয়। চীনের তরুণেরা এদিন শপথ নেন বুক দিয়ে চীনকে আগলে রাখার, শপথ নেন জ্ঞানে–গুণে বেড়ে উঠে দুনিয়ায় মর্যাদার আসরে নিজ জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবার।

চৌঠা মে বিপ্লবপরবর্তী নয়া চীন এখন আর আফিমের নেশায় বুঁদ করে রাখা চীন নয়, বিশাল এক জনসংখ্যা নিয়ে অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। চীনের বিকাশ সারা দুনিয়ার কাছে রোল মডেল। চীনের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ তথা গ্রাম পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন করে গ্রামীণ শিক্ষিত বেকারদের শহরমুখিতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে পেরছে।

চীনাদের প্রবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি ‘হাইকোয়ালিটি ডেভেলপমেন্ট’ মডেল যেকোনো উন্নয়নশীল দেশের কাছেই অনুকরণীয়। ই-কমার্স ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি—এ দুটো খাতেও চীনের কাছে হাতে–কলমে শেখার আছে অনেক কিছু।
লেখার শুরুতেই বলেছি, আমাদের এই জেন-জি প্রজন্মের মূল বৈশিষ্ট্য হলো তাদের সৃজনশীলতা এবং পরিবর্তনের প্রতি নির্ভয় আগ্রহ। তার মানে তারা শিখতে আগ্রহী।

আমাদের দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকাল চাইনিজ ভাষা শেখার বিভিন্ন কোর্স চালু আছে, এটি নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। তবে এর পাশাপাশি উল্লিখিত বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক খাতে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে দেশের বিদ্যাপীঠগুলোর সঙ্গে চীনকে যুক্ত করলে আমরা আমাদের এই জেন-জিকে নিঃসন্দেহে দিতে পারব শেখার একটি নতুন সুযোগ এবং পরবর্তী সময়ে শিক্ষাসম্পনান্তে একটি উন্নত জীবনের আশ্বাস।

চীন সরকারের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, লুবান ওয়ার্কশপ ইত্যাদি প্রকল্পের আওতায় এগুলো সবই কিন্তু দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য, প্রয়োজন কেবল সঠিক পরিকল্পনা আর একটুখানি সদিচ্ছার। বাঙালি জাতির দীর্ঘ ইতিহাসে পতন সর্বদাই নিজস্ব দুর্বলতার ফলে ঘটেছে। বাইরের শত্রু তো আমাদের অনুপস্থিত শক্তিকেন্দ্রের সুযোগ নেবে, আমাদের ভেতরের দুর্বলতার সুযোগ নেবে। সমস্যা যেহেতু থাকবেই, তাই সমস্যা সমাধানের কাজটি শুরু হোক আমাদের তরুণদের থেকেই, ঠিক এই জেন-জি থেকেই।

  • ড. মোস্তাক আহমেদ গালিব সহযোগী অধ্যাপক, স্কুল অব মার্কসিজম, উহান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গণচীন