পাটুরিয়া দিয়ে পদ্মা পেরোলেই গোয়ালন্দ ঘাট। ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে বর্ষাকালে পাট জাগ দেওয়ার গন্ধ। একটু এগোলে কোমরপুর রেললাইনের আগে শ্যামসুন্দরপুরের কাছাকাছি মাঠঘাট পেরিয়ে বাতাসে ছুটে আসে গুড়ের তীব্র ঘ্রাণ। ধারেকাছে কোথাও চিনিকল আছে। মৌসুম বুঝে ঘ্রাণ কমবেশি হয়ে মেখে থাকে এখানকার গাছপালার গায়েও।
বহুদিন পর যারা ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরে, তারা নাক উঁচু করে বাতাসে সেই গন্ধ নেয়। এরপর জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করে, কতটা পথ বাকি। তখন দুই পাশে প্রবল ফসলের মাঠ আর নদীর ক্ষীণ রেখার আভাস পাওয়া যায়। এভাবে জনপদের বিশেষ ঘ্রাণের সঙ্গে মিশে যায় মানুষের পথের দূরত্বের হিসাব।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগপর্যন্ত সড়কপথে এটি ছিল দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের অন্যতম পথ। দেশের অন্তত ১৯ জেলার মানুষ এই নৌপথ দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করেছে যুগ যুগ ধরে। তবে সেই নির্ভরতা এখন বদলেছে। রাজধানীর গুলিস্তান বা সায়েদাবাদ থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়ক দিয়ে বাস যায় এখন একটানে। তাই সেই জল ছুঁই ছুঁই পদ্মা নদীর পথটায় এই ঈদের সময়েও তুলনামূলক তেমন চাপ নেই যাত্রীর।
৯ এপ্রিল প্রথম আলোর সংবাদ জানাচ্ছে, ‘ঈদযাত্রায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। তবে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি নেই বললেই চলে।’ এ খবর আমাদের মতো দশকের পর দশক ধরে এ পথে যাতায়াতকারীদের মনে করিয়ে দেয় পেছনের কথা।
একবার যানজট অথবা ফেরি না পেলে যে ভোগান্তি হতো, সেসব কথা লেখা আছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। প্রতিবার ঈদে শোনা যেত সাত থেকে আট কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের খবর। ফেরি না পেলে কী ঘটতে পারে, এমন চূড়ান্ত উদাহরণ তৈরি হয়েছে বহুবার। কখনো মেহেরপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকামুখী হওয়া ১০ মাস বয়সী শিশুর ফেরিতে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ায় মৃত্যুর ঘটনা, কখনো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের জন্য তিন ঘণ্টা ফেরি আটকে রাখায় নড়াইলের ষষ্ঠ শ্রেণির তিতাসের মৃত্যুর মতো নির্মম ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনার কাছে ঈদযাত্রায় অনেকবার ১৬ ঘণ্টা বসে থাকার কষ্ট ম্লান হয়েছে আমাদের। অথচ ঢাকা থেকে ফরিদপুর যেতে পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে সাকল্যে দেড় ঘণ্টা প্রয়োজন। আমরা তখন আশপাশে থাকা ঝিনাইদহ, নড়াইলের যাত্রীদের দেখে মনকে প্রবোধ দিতাম। তাদের ধৈর্যের পরীক্ষা আরও অনেক বেশি।
এর ওপর আছে লঞ্চ, ফেরিতে নারী ও শিশুদের জন্য আরও বড় সমস্যা বাথরুম। উত্তাল নদীর ওপর স্টিলের পাটাতনে বানানো সে বাথরুম ক্ষয়ে ক্ষয়ে টিনের পাতের চেয়েও পলকা। দুর্গন্ধে নাক বন্ধ করে সেখানে যেতে হতো। চলন্ত ফেরি বা লঞ্চের সেই চলন্ত বাথরুমের ফাঁক গলে শিশু পড়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট বড় গহ্বর দৃশ্যমান হতো। নিতান্ত দায়ে না ঠেকলে নারীরা যেতে চাইত না।
নৌপরিবহনের কেবিনগুলোতে একটা ব্যবস্থা ছিল বটে, তবে তা আমাদের বাঙালির অপরিচ্ছন্ন থাকার উৎকৃষ্ট উদাহরণও বটে। মাথাপ্রতি ২০ টাকা দিয়ে সেখানে প্রবেশের সংগতিও সবার ছিল না। নদীপথে এসব ভোগান্তির গল্প বিস্তর। কিন্তু এই ভোগান্তিই কি সবটা ছিল? নদীপথে আর কিছুই কি ছিল না, যা আমাদের ঋদ্ধ করেছে অনেক রকমভাবে। যা শুধুই স্মৃতিকাতরতা নয়, জীবনের বোঝাপড়ার আরেক স্তরও বটে।
সেসব ঘটনা কখনো গুরুত্বপূর্ণ হয় না আমাদের কাছে। কিন্তু সভ্যতা সব সময় নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। কতজনের জীবিকা, কতজনের ভিটা হারানো ও নতুন জমির গল্প, কত রকম সংস্কৃতি গড়ে ওঠে নদীকে কেন্দ্র করে, সে মূল্য কি কম!
ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে ১৮৭১ সালে পদ্মার দক্ষিণ তীরে, কলকাতা থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত রেললাইন চালু করেছিল। বহু বছর ধরে গোয়ালন্দ ছিল পূর্ববঙ্গ ও আসাম অংশে যাতায়াতের জন্য পরিবহনের প্রধান কেন্দ্র। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর, ইস্ট বেঙ্গল এক্সপ্রেস ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এখানে চলাচল করেছে। সেই শত বছরের ঘাটের গল্প এখন ম্লান। ঘাটকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া মানুষের জীবনের গল্প সভ্যতারই অংশ।
মানুষের অজান্তে এমন অনেক কিছু রয়ে যায়, যা সে সচেতনে মনে রাখে না। আর স্বস্তি সব ভুলিয়ে দেয়, সে কথা কে না জানে। তাই আমরা এখন ভুলে গিয়েছি, এ পথ দিয়ে যাতায়াতের সময় দেখা যেত নদীর দুই ধারে জল ছুঁয়ে থাকা বসতি। শিশুরা উদোম শরীরে ঝাপাচ্ছে পদ্মায়। হঠাৎ জেগে ওঠা বালুর চরের ধার ধরে দৌড়ে যাচ্ছে সারমেয়। এই নদীর ভেতর বসতিহীন চরে যে ওরা কোথা থেকে এল, কে জানে! ফেরির রেলিংয়ে ঝুঁকে দেখা যেত পানি কেটে কেটে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। আর ছিল ভাঙনের গল্প।
মাঝবয়সী গাছের শিকড়ে ছলকে যাচ্ছে স্রোত। সকালে যে বাড়ির উঠানে ধান রোদে দিয়েছে, বিকেলে সে উঠানের চিহ্ন নেই। এমন তো বর্ষাকালে ফি বছরে ঘটেছে। লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখা যেত, নিজের ঘর ভেঙে নিয়ে ছুটছে একদল অসহায় মানুষ। মায়ের কবর আর এক বেলা পর ডুবে যাবে ভাঙনে। সন্তানেরা হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে দুই হাত তুলে শেষবারের মতো ফরিয়াদ করছে সৃষ্টিকর্তার কাছে। চোখের সামনে একটু একটু করে ডুবছে সে কবর। অথবা ভিটের তুলসীতলায় শেষবারের মতো সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন গৃহস্থ নারী।
এর বিপরীতে আবার কোথাও উঠেছে নতুন চর। সেখানে ঠাঁই পেয়ে নিজের দখল নিতে গাছ পুঁতেছে মানুষ। নতুন টিনের চালে রোদ ছলকে উঠেছে। সদ্য ঘর হারানো নারী নতুন জমিতে জল সিঞ্চন করে টিনের চালে তুলে দিয়েছে পুঁইয়ের ডগাটা। আবার শুরু করেছে নতুন করে জীবন। এ–ই তো নদীর নিয়ম। আমরা সেই পদ্মা ধরে যেতে যেতে দেখে গিয়েছি এই ভাঙা–গড়ার খেলা।
বহুকাল ধরে যাতায়াতের ফলে
ছিল আমাদের আধা পরিচিত ডিম আর ঝালমুড়িওয়ালা মামারা। পেট ভরা থাকুক আর না থাকুক, অনেক যাত্রী নদীপথে সেদ্ধ ডিম আর উদোম থাকা শসা–টমেটো দিয়ে বানানো ঝালমুড়ি খেত। সুতা দিয়ে কাটা গরম ডিমের গায়ে লেগে থাকত নিউজপ্রিন্টের কাগজের কালির ছাপ। ডালায় মেলে বিক্রি হতো ইলিশ মাছ। সম্ভব হলে জ্যান্ত ইলিশ, মাত্র ধরা হয়েছে, এমন আকাশকুসুম বর্ণনা শুনেও আমরা দেখতাম, ক্রেতা কান উল্টে মাছ পরীক্ষা করছেন। ছিল ডাব বিক্রেতা।
স্ট্র দিয়ে ডাব খেয়ে ছুড়ে দেওয়া হতো নদীতে। সেই ডাবের খোল ভাসতে ভাসতে চলে যেত নদীর স্রোতের সঙ্গে। সেই ভ্রাম্যমাণ হকাররাও আর এখন এ ঘাটে তেমন নেই। যাত্রী নেই, তাই তাদের পেশা বদলে গেছে। ফি বছর দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে একদল মানুষ আসত, তারা পদ্মার পাড়ে অস্থায়ী বসতি করত।
কিছুদিনের অস্থায়ী জেলেপাড়া হতো তখন ওদিকটায়। মাছ ধরে বিক্রি করে আবার ফিরে যেত তারা। আমরা ভাবতাম, এই হলো ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র সেই কেতুপুর। তারা যে ভাষায় ডাকত, কথা বলত—এর সবকিছুর সঙ্গে ছিল নদীর প্রভাব। খেয়াল করবেন, নদীর পাশের মানুষের কণ্ঠস্বর সব সময় যেন উঁচু পর্দায় সাধা। দূরে দূরে ডাকার অভ্যেস তাই। সেই মানুষেরা আর এখন পদ্মার দুই পাড়ের ঘাটে ভিড় করে না। হয়তো তারা এখন কেউ অটোরিকশা চালায় অথবা অন্য কিছু। কিন্তু সেই মানুষদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
দৌলতদিয়া ঘাট হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্যসংখ্যা প্রায় ৬০০। পেশাজীবী এবং সম্মানিত—দুই ধরনের সদস্য আছে তাদের। দৌলতদিয়া হকার্স ঐক্য কল্যাণ সমিতির সদস্য প্রায় সাড়ে ৩০০। একই রকম পদ্মার এপারে পাটুরিয়া ঘাটেও আছে হকার বা ঘাটকে কেন্দ্র করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের সমিতি। একটা মজার হিসাব আছে তাদের কাজ ভাগাভাগি নিয়ে।
দুই পাড়ের সমন্বয় করা হয় ২৪ ঘণ্টার হিসাবে। এক পাশের সমিতির সদস্যরা সকাল ছয়টা থেকে পরের দিন সকাল ছয়টা পর্যন্ত ব্যবসা করে। পরের দিন তারা বসে থাকবে। ব্যবসা করবে এপাড়ের সদস্যরা।
এখনো তা–ই হয়, তবে গাড়ি আর ফেরি—দুটির সংখ্যাই কমেছে। দৌলতদিয়া ঘাট হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ছিলেন বাবুল হোসেন। কথা প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমাদের শুধু আবেগ ছাড়া আর বলার কিছু নেই। ৩ নম্বর ঘাটকে আমরা বলি জিরো পয়েন্ট। সেখান থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথের সবটাই ছিল দুই পাশে দোকান। এখন কয়টা দোকান আছে নিজের চোখেই দেখেন। এই মানুষেরা কোথায় গেল?’
সে–ই তো, আমরা খবর রাখিনি সেই মানুষেরা কোথায় হারিয়ে গেল। পদ্মা সেতু হওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। সহজ হয়েছে আপনজনের কাছে যাওয়া। কিন্তু পথে থাকা সেই মানুষেরাও আমাদের আপন ছিল। তাদের সঙ্গে আর দেখা হয় না এখন পদ্মা সেতুর পথে। বাস থেকে আর নামারই সুযোগ নেই। এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এ জনপদের অনেক চেনা শব্দ, চেনা আচরণ, অভ্যেস।
যেমন গোয়ালন্দ ঘাটে নামার কিছুক্ষণ পর রাজবাড়ীর কাছাকাছি গিয়ে ডান পাশে উঁকি দেয় চন্দনা নদীর রেখা। দেখা যেত মূল সড়ক থেকেই। বাস থেকে কোনো পিতা তাঁর শিশুসন্তানকে ডেকে দেখাতেন, ওই দ্যাখো আরেকটা নদী। এরপর শ্যামসুন্দরপুরে পথের পাশে বড় বটগাছের তলায় বাঁশের ঝুড়িতে বাড়ির সবজি নিয়ে আসত আশপাশের মানুষ। বাসের ভেতরে বসে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কাচের জানালার ভেতর দিয়ে দৃষ্টি বিনিময় হতো তাদের। তাদের ঝুড়িতে থাকত দুটো ফল, কিছু সবজি। নিতান্তই গরিব তারা। আশা নিয়ে চেয়ে থাকত বাস থামলে কেউ একটা পেয়ারা কিনে নেবে বলে।
সেই পথ এখন কেমন আছে, শুধু এটুকু দেখতে কিছুদিন আগে ফরিদপুর গিয়ে উল্টো পথে আবার গিয়েছিলাম রাজবাড়ী পর্যন্ত। দেখলাম, পথের ধারে লেখা সেই শ্যামসুন্দরপুর নামফলকে আরও দুটো শব্দ যুক্ত হয়েছে। বদলে গেছে শ্যামসুন্দরপুরের মতো সুন্দর নামটি। সব সময় যে দোকানগুলোতে চায়ের উনুন জ্বলত, সেসব দিনের বেলায়ও ঝাঁপি নামানো। এখন আর এ পথটার সেই জৌলুশ নেই। বুড়ো বটগাছটার তলায় টুকরিতে ফল নিয়ে বসে থাকা একজন মানুষও পেলাম না।
ঈদের সময় একটু বেচাকেনা হয়তো বাড়ছে। এই নৌপথে কয়েকটি নৌযান বৃদ্ধি করা হয়েছে কয়েক দিনের জন্য।
বিআইডব্লিউটএ সূত্র বলছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া নৌপথে ১৭টি এবং আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে ৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এই দুই পথে লঞ্চ চলছে ঈদ উপলক্ষে ৩২টি। যাত্রীর চাপ থাকে যাতায়াত দিয়ে বেশি হলে চার দিন। হয়তো সেই ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা আবার কিছু কেনাবেচা করবে। তবে এরপর আবার সেই জনশূন্যতা ঘটবে একসময়ের রমরমা দৌলতদিয়া ঘাটে।
এ ঘাট কি আর আজকের গল্প ছিল!
ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে ১৮৭১ সালে পদ্মার দক্ষিণ তীরে, কলকাতা থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত রেললাইন চালু করেছিল। বহু বছর ধরে গোয়ালন্দ ছিল পূর্ববঙ্গ ও আসাম অংশে যাতায়াতের জন্য পরিবহনের প্রধান কেন্দ্র। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর, ইস্ট বেঙ্গল এক্সপ্রেস ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এখানে চলাচল করেছে। সেই শত বছরের ঘাটের গল্প এখন ম্লান। ঘাটকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া মানুষের জীবনের গল্প সভ্যতারই অংশ।
এসব গল্প গুরুত্বহীন হয়েও গুরুত্বপূর্ণ। নদীবিধৌত অঞ্চলের মানুষের জীবনের এসব গল্প আপনার পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো জানতেই পারবে না। কেননা এসব কথা না কখনো পাঠ্যপুস্তকে স্থান পায়, না প্রতিবেদন হওয়ার গুরুত্ব বহন করে। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার পথে আপনার সন্তানকে বলে রাখতে পারেন আপনার চেনা পদ্মার গল্প। প্রত্যক্ষ না করলেও হয়তো তার স্মৃতিতে থাকবে অন্য আরেক পদ্মা নদীর কথা।
সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম, কথাসাহিত্যিক ও প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক