সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলে হলো সাইবার নিরাপত্তা আইন। ২০০৬ সালের আইসিটি আইন, ২০০৯ সালে নাম ঠিক রেখে সংশোধিত হলো, ২০১৮ সালে নাম বদলে হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, এই ধারাবাহিকতাতেই আইনের সর্বশেষ রূপ সাইবার নিরাপত্তা আইন। বারবার রূপ বদল হচ্ছে কিন্তু নর্তকীর নাচে বদল আসছে না।
আমরা বারবার বলেছি, পৃথিবী পাল্টাচ্ছে, অপরাধের ধরনও বদলাচ্ছে। সাইবার জগৎ যেমন আমাদের সামনে খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার অবারিত দুয়ার, তেমনি এই জগৎ অপরাধীদের জন্যও উন্মুক্ত করেছে অপরাধের নানা ক্ষেত্র ও কৌশল। কাজেই সাইবার জগৎ থেকে চোখ মুদে থাকার কোনো অবকাশ নেই। ইউরোপ–আমেরিকার প্রায় সব দেশেই নানা নামে সাইবার নিরাপত্তা আইন আছে। বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তায় আইন করা সময়ের দাবি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় আমাদের উদ্বেগ ছিল মূলত: চারটি জায়গায়—
১. জামিন অযোগ্য ধারা অনেক বেশি, কোথাও শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ অস্বাভাবিক;
২. কোন কোন ধারায় অপরাধের সংজ্ঞা অস্পষ্ট;
৩. আইনটিতে পুলিশের যে পর্যায়ে অবারিত ক্ষমতা তাতে অপপ্রয়োগের মাত্রা বাড়ে;
৪. বিশেষত সংবাদকর্মীদের বেলায় এই আইনের বেপরোয়া প্রয়োগের কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হবে;
৫. এর সঙ্গে আমরা বলেছিলাম: প্রচলিত ফৌজদারি আইনে যেসব অপরাধ ও তার সাজা বিধান নিশ্চিত আছে, সেগুলো এই আইনে কেন আনা হচ্ছে? তথ্য অধিকার আইনে আমাদের যে এগিয়ে যাওয়া, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এনে তাকে কেন বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে?
বলাই বাহুল্য, আমাদের এসব কোনো কথাই শোনা হয়নি। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের নানা ধারায় ছড়িয়ে দেওয়া হলো। বাকি সব থাকল আগের মতোই।
এই ধারাবাহিকতায় সাইবার সিকিউরিটি আইনের খসড়া হলো, অংশীজনের মতামত নেওয়া হলো। খসড়ায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কিছু ধারায় জামিনের সুযোগ বাড়াল বটে; কিন্তু কিছু ধারায় অস্বাভাবিক জরিমানার বিধান করা হলো। সেই জরিমানা দিতে না পারলে জেলে যাওয়ার খড়্গ মাথার ওপর ঝুলেই থাকল।
রূপ বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইনের সবটুকু দেখে বলি, এতে জামিনের ধারা বাড়ল, ধারা ৮ ও ধারা ২১–এ কিছু বদল হলো, অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনকে বাইরে রাখা গেল, মিথ্যা মামলা হলে বাদীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান করা গেল—এসবই কিছুটা স্বস্তির। কিন্তু ২৫, ২৮, ২৯ (অতিরিক্ত জরিমানা) ও ৩১ ধারায় অপরাধের অস্পষ্টতা রেখে ৪২ ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই হুবহু বহাল রাখায় উদ্বেগ কাটল না। এতে আইনের মিসইউজ ও অ্যাবিউজ হওয়ার শঙ্কা থাকছেই। যে স্বস্তি উদ্বেগ এবং ভয় থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়, তাকে পুরো স্বস্তি বলা যায় না।
এই পর্যায়ে সিকিউরিটি আইনটি ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আনতে কয়েকটি সুপারিশ করি। সেগুলো ছিল:
১. ফৌজদারি আইনে যেসব অপরাধের সংজ্ঞা ও সাজা নির্ধারণ করা আছে, এই আইনে তা সংযোজন করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। ফৌজদারি আইনের যেসব অপরাধ সাইবার সিকিউরিটি বিচার করতে চান, সেই ধারাগুলোর উল্লেখ করে বললেই হয় যে এই সকল অপরাধ যদি ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত হয়, তাহলে সাইবার সিকিউরিটি আইনে তার বিচার করা যাবে, তবে অপরাধের সংজ্ঞা ও সাজা ফৌজদারি আইনের মতোই থাকবে।
২. এই আইনে দুই শ বছরের বেশি পুরোনো অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টকে নতুন করে জীবন দেওয়ার কোনো মানে হয় না।
৩. আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪২ ধারায় অপরাধের সংজ্ঞা ও এই আইনের প্রয়োগপ্রক্রিয়া আরও সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন।
যেমন: ক. ৮ নম্বর ধারায় উপধারা ২, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট প্রতীয়মান হয়... ‘প্রতীয়মান’ শব্দটি বিপজ্জনক। আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো অভিযোগ প্রাপ্তি, তদন্ত বা প্রমাণের আগেই শুধু ‘প্রতীয়মান’ হওয়ার ভিত্তিতে অবারিত ক্ষমতার প্রয়োগ রাখার বিধান বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
খ. ২১ নম্বর ধারা: মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণার দণ্ড। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়টি সংজ্ঞায় স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে। জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ক্ষেত্রে ‘বিরুদ্ধে’–এর পরিবর্তে আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলা উচিত বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণা চালানো হবে অপরাধ। এসব অভিযোগ এবং এসবের প্রতি সমর্থনের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকতে হবে।
গ. ২৫ নম্বর ধারা: আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও ভীতিপ্রদর্শক, তথ্য–উপাত্ত প্রেরণ প্রকাশ ইত্যাদি। আরও সুনির্দিষ্ট করা দরকার বা এই ধারা বাতিল করা দরকার। রাজনৈতিক বক্তৃতা তো আক্রমণাত্মক হয়, কোনো মালিক বেতন–ভাতা না দিলে তার অফিস ঘেরাও করে ভুক্তভোগী শ্রমিক–কর্মচারীরা যে আন্দোলন করেন, সেখানে এই উপাদান তো থাকবেই।
ঘ. ধারা ২৮: ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত প্রসঙ্গ। এটা আরও সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। ধরা যাক, দুই পীরের বা মাজারের সমর্থক দুই গ্রুপ পরস্পরের পীর বা বিশ্বাসের প্রতি আক্রমণ করে বক্তব্য দিল, এটি নিয়ে অভিযোগ আনা হলে এই বিতর্কের অবসান হবে কীভাবে? যেমন হিন্দুধর্ম সংস্কার নিয়ে একপক্ষ কাজ করছে, প্রকাশ্যেইে আলোচনা চলছে; আবার অপরপক্ষ মনে করে, এটা সনাতন ধর্মের প্রতি আঘাত। নিষ্পত্তি হবে কীভাবে? এ নিয়ে কোনো মামলা কি এই আইনের আওতায় আসবে?
ঙ. ধারা ২৯ মানহানিকর তথ্য প্রকাশ: এই বিষয়ে যেহেতু স্পষ্টীকরণ করা আছে সেহেতু এই ধারা নতুন করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ।
চ. ৩১ ধারা: আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো: এই ধারা এতই ব্যাপক যে রাজনীতি ও পেশাজীবী আন্দোলনে জড়িত তাঁদের যেকোনো কর্মসূচি পালনের পর যে কাউকে এই ধারায় অপরাধী সাব্যস্ত করা যাবে। ...ঘটনা ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, বিষয়টি এতটা অস্পষ্ট এবং প্রয়োগের ক্ষমতা এতটা ব্যাপক যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবে।
চ. ৩২ ধারা: অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনকে নতুন জীবন দেওয়ার বিরুদ্ধে আমরা। এই ধারা পুরোটা বাতিলের দাবি জানাই।
ছ: ধারা ৪২ পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তার: এই ধারায় সাব–ইন্সপেক্টরের ‘নিচে নহেন’ এমন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারের’ ক্ষমতা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই রাখা হয়েছে। এটিই হচ্ছে আইনটির ‘মিসইউজ ও অ্যাবিউজ’–এর মূলশক্তি। এই ধারা অক্ষুণ্ন রেখে ‘আইনের অপব্যবহার হবে না’ বিষয়টি কোনোভাবেই নিশ্চিত করা যাবে না। সংবাদকর্মীরাও এর খপ্পরে আগেও যেমন পড়েছেন, এবারও রেহাই মিলবে না। আমাদের সুস্পষ্ট প্রস্তাব, সাংবাদিকদের বেলায় এই ধারা রহিত করতে হবে। কোনোভাবেই এই ধারায় সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীকে পেশাগত কোনো কাজের জন্য গ্রেপ্তার করা যাবে না। সাংবাদিকের কোনো কাজে আপত্তি থাকলে সমন জারি করে আদালতে হাজির হতে বলা যাবে। সাংবাদিকের নামে কোনো মামলা করার গ্রহণযোগ্যতা (প্রাইমা ফেসি) যাচাইয়ের জন্য প্রেস কাউন্সিলের মতামত নিতে হবে।
এই পর্যালোচনার পাশাপাশি আমরা বলেছিলাম, খসড়া আইনের কোনো ধারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সংবিধানের বিধান, তথ্য অধিকার আইন-২০১৯ ও জনস্বার্থ–সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন–২০১১–এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় কি না, তা আরও নিবিড়ভাবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ‘মিসইউজ ও অ্যাবিউজ’ হয়েছে, এটা আইন মন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন। অনেককে শুধু হয়রানি করার জন্যই মামলা করা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি আইন যাতে সেই একই পথে না হাঁটে, সে জন্য এই আইনে এমন ধারা সংযোজন করতে বলছি যে,
১. কেউ মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা করলে তার (বাদীর) বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
২. খসড়া আইনে ‘জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’ গঠনের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে একজন সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যম বিশেষজ্ঞ রাখার প্রস্তাব রাখছি। এতে আইন প্রয়োগের শুরুতেই অনেক ঝামেলা এড়ানো যাবে।
৩. জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কাউন্সিলে বিএফইউজের সুপারিশ অনুযায়ী একজন সাংবাদিক বা গণমাধ্যমবিশেষজ্ঞ রাখার প্রস্তাব করছি।
৪. সাইবার সিকিউরিটি আইনে অভিযোগ গঠন এবং মামলা নিষ্পত্তির সময় সুনির্দিষ্ট করে তদন্ত শেষ করে ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ গঠন এবং পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে—এই বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করছি।
এরই মধ্যে সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বিলটি উপস্থাপিত হয়। আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। সংসদীয় কমিটির ০৭.৯.২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় কিছু দাবি যেভাবে মেনে নেওয়া হলো...
ধারা ৮, উপধারা ২: বলা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ‘প্রতীয়মান’ হলেই মামলা করা যাবে। এখন বলা হলো: অভিযোগপ্রাপ্তির পর যাচাই শেষে/পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত হবে।
ধারা ২১: মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালালে দণ্ড হবে । সিদ্ধান্ত হলো: জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ‘বিরুদ্ধে’–এর পরিবর্তে বলা হবে ‘সম্পর্কে’। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণা চালানো হবে অপরাধ। এসব অভিযোগ এবং এসবের প্রতি সমর্থনের সুনির্দিষ্ট প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধারা ২৯: মানহানিকর তথ্য প্রকাশ: এ বিষয়ে ফৌজদারি আইনে যে ব্যাখ্যা আছে, ডিজিটাল ডিভাইসে সেই অপরাধ হলে সাইবার নিরাপত্তা আইনের আওতায় আসবে।
ধারা ৩২: অফিশিয়াল সিক্রেটস আইন এই আইনে আসবে না, ফলে এই ধারা বিলুপ্ত হবে।
হ্যাকিংয়ের ব্যাখ্যায় ‘চুরি’ও অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
ধারা ৪২: পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তার : এখানে ক্ষমতা দেওয়া হলো পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের বদলে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে।
নতুন ধারা যুক্ত হবে: এই আইনে কেউ মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা করলে তার (বাদীর) বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
কমিটির সভাপতি এই প্রস্তাবনাগুলোই সংসদীয় ভাষায় কমিটির পক্ষে সংসদে উপস্থাপন করেন। মজার ব্যাপার, সংসদীয় কমিটির সভায় ৪২ ধারার সাব ইন্সপেক্টরের বদলে ইন্সপেক্টরের কথা বলা হলেও আইনে তা হয়ে গেল ‘পুলিশ অফিসার’।
রূপ বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইনের সবটুকু দেখে বলি, এতে জামিনের ধারা বাড়ল, ধারা ৮ ও ধারা ২১–এ কিছু বদল হলো, অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনকে বাইরে রাখা গেল, মিথ্যা মামলা হলে বাদীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান করা গেল—এসবই কিছুটা স্বস্তির। কিন্তু ২৫, ২৮, ২৯ (অতিরিক্ত জরিমানা) ও ৩১ ধারায় অপরাধের অস্পষ্টতা রেখে ৪২ ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই হুবহু বহাল রাখায় উদ্বেগ কাটল না। এতে আইনের মিসইউজ ও অ্যাবিউজ হওয়ার শঙ্কা থাকছেই। যে স্বস্তি উদ্বেগ এবং ভয় থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়, তাকে পুরো স্বস্তি বলা যায় না।
মনজুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি