বিশ্লেষণ
স্কুলে অভুক্ত শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষতি
প্রাথমিক স্কুলের বহু শিক্ষার্থী না খেয়ে স্কুলে আসছে। প্রকল্পের আওতায় আগে প্রায় ৩২ লাখ ৩১ হাজার শিশুশিক্ষার্থী পেত পুষ্টিকর বিস্কুট। প্রকল্প শেষ হওয়ায় গত বছরের জুন থেকে দরিদ্র শিশুরা স্কুলে খাবার পাচ্ছে না।
রাজধানীর তুরাগে বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর দ্বিতীয় শ্রেণিতে ক্লাস করতে এসেছে ৬৩ জন শিশু। তাদের মধ্যে নাশতা করে এসেছে অর্ধেকের মতো। ২৯ জন জানাল, তারা খেয়ে আসেনি। কেউ কেউ বাসা থেকে নাশতা এনেছে। কেউ নিয়ে এসেছে টাকা, কিছু কিনে খাবে। অনেকেই আবার জানাল, স্কুল শেষে বাসায় ফিরে তারা সকালের নাশতা করবে।
কথা হলো প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও। ৫০টি শিশুর মধ্যে ২৪ জন না খেয়ে এসেছে ক্লাসে। এদেরও অনেকে বাসায় ফিরে খাবে।
বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই প্রতিবেদক গিয়েছিল গত ১৬ মে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলো পাঠদানের বিরতিতে, শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে। তাদের মধ্যে বাড়ি ফিরে নাশতা করার দলে ছিল শারমিন আক্তার নামের একটি শিশু। সকাল সাড়ে ১০টায় তার ক্লাস শেষ হলো। শারমিনের সঙ্গে প্রতিবেদক তাদের বাড়িতে গিয়েছিল পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখে আসার জন্য।
পাঁচ বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা
গত ১৬, ১৭ ও ১৮ মে এ রকম পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন এই প্রতিবেদক—তুরাগের বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাইলজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুলশানের ছোলমাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শাহজাদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কথা বলেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে। তাতেই জানা গেল, শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশ না খেয়ে ক্লাসে আসে। পাঁচটি বিদ্যালয়ই আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর–বাস্তবায়িত ‘দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’ বা স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় ছিল।
প্রকল্পটির আওতায় শিশুশিক্ষার্থীদের ৭৫ গ্রাম করে ফর্টিফায়েড বিস্কুট (১০টি) দেওয়া হতো। এ বিস্কুট একেকটি শিশুকে প্রতিদিন ৩৩৮ কিলোক্যালরি করে শক্তি জুগিয়েছে। ২১ বছর ধরে চলা সেই কার্যক্রম গত বছরের জুনে বন্ধ হয়ে যায়।
‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ অনুসারে, প্রাক্-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদার (ক্যালরি) ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে আসার কথা। শিক্ষকেরা বলেছেন, যখন বিস্কুট দেওয়া হতো, তখন দরিদ্র এই শিশুদের বাড়ি থেকে নাশতা আনার দরকার পড়ত না। বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাও ছিল কম।
স্কুল ফিডিং কার্যক্রম পরিচালিত হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দরিদ্র শিশুদের ভর্তি, উপস্থিতি ও শিক্ষাচক্র সমাপ্ত করার হার বাড়ানো, ঝরে পড়া কমানো, শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের পুষ্টিচাহিদা পূরণ ও শিক্ষার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে। প্রকল্পটি সর্বশেষ বাস্তবায়িত হচ্ছিল ৩৫ জেলার ১০৪ উপজেলায়। ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩২ লাখ ৩১ হাজার শিশুশিক্ষার্থী এ প্রকল্পের আওতায় পুষ্টিকর বিস্কুট পেত।
দেশে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। সেগুলোতে ১ কোটি ৩৩ লাখ শিক্ষার্থী পড়ছে। সরকার বলছে, সীমিতসংখ্যক স্কুলে নতুন করে কার্যক্রমটি আবার শুরু হবে, তবে ব্যাপক পরিসরে শুরু করার পরিকল্পনা নেই।
এক শিক্ষার্থীর বাড়িতে
ছুটির পর এই প্রতিবেদক শারমিন আক্তারের সঙ্গে ওদের বাড়ির পথ ধরল। স্কুল থেকে বাউনিয়ার আদর্শপাড়ায় ওদের বাড়ি হাঁটাপথে ২০ মিনিট। যেতে যেতে কথা হলো শারমিনের সঙ্গে। সে বলল, মাঝেমধ্যে তাকে নাশতার জন্য টাকা দেওয়া হয়। সেদিনও মা দিয়েছিলেন। তবে নাশতার টাকা দিতে পারলেও অঙ্কের খাতা কেনার টাকা দিতে পারেননি। তাই সে নাশতার টাকায় অঙ্কের খাতা কিনেছে।
সারবাঁধা কয়েকটি ঘর। তার একটিতে নবজাতকসহ তিন সন্তান নিয়ে শারমিনের মা–বাবা ভাড়া থাকেন। মা রোজিনা বললেন, তৃতীয় সন্তানটির জন্মের পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। এ জন্য ছেলেমেয়েদের না খেয়েই সকালে স্কুলে যেতে হচ্ছে। আগে স্কুলে বিস্কুট দেওয়া হতো। সেটা চলতে থাকলে তাঁর মতো দরিদ্র মানুষের খুবই উপকার হতো।
রোজিনা আগে কাজ করতেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন পারছেন না। সংসারে তাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দারিদ্র্য। ছেলেমেয়েরা এখন সবজি পায় না, শুধু ডাল-ভাত খায়।
অটোরিকশাচালক বাবা শফিকুল আলম বললেন, সন্তানদের তিনি পুষ্টিকর খাদ্য দিতে পারছেন না।
খালি পেটে পড়াশোনা
বাউনিয়ার বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিউলি জানাল, প্রতিদিন ক্লাস শেষে বাসায় গিয়ে সে ভাত খায়। জান্নাতুল ফেরদৌস নামে আরেকটি শিশু বলল, পেট ব্যথা করে বলে সে না খেয়ে আসে। মা–বাবা অবশ্য কোনো কোনো দিন খাওয়ার জন্য টাকা দেন। সেদিন টাকা দেননি।
শেফালী খাতুন নামের একজন অভিভাবক বললেন, তাঁর দুই সন্তান। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আগে যখন বিস্কুট দেওয়া হতো, তখন ওরা খুব আগ্রহ নিয়ে স্কুলে যেত। এখন দুই সন্তানকে তাঁদেরই টাকা দিতে হয়, প্রতিদিন ২০ টাকা করে।
বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর কবীর খান বলেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২০। দরিদ্র ও শ্রমজীবীদের সন্তানই বেশি। সকালের পালায় বহু শিক্ষার্থীকেই না খেয়ে আসতে হয়।
উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে বাইলজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ৩৫২ জন। কথা হলো পঞ্চম শ্রেণির সাকিবুল হাসান, রুপা ও আফিয়া নামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। ওরা জানাল, আগে যখন বিস্কুট দেওয়া হতো, তখন বাড়ি থেকে নাশতা আনতে হতো না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীপা ব্যাপারী বললেন, সকালের পালার বেশির ভাগ শিশুই অভুক্ত অবস্থায় আসে। ক্ষুধা পেটে পড়াশোনা, খেলাধুলা—কিছুতেই মন বসে না, কিছুই ভালোমতো হয় না।
তুরাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ক্লাস চলে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বেলা ১১টা থেকে ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। পুষ্টিবিদেরা বলেন, এই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তো থাকেই, প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান না থাকায় পড়াশোনাও বিঘ্নিত হয়।
নাশতা না করার ক্ষয়ক্ষতি
জাতীয় পুষ্টিসেবার উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক সুপ্তা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সকালের নাশতা শিশুর জন্য অপরিহার্য। রুটি, ডিম, সবজি, দুধের সমন্বিত নাশতা শিশুদের জন্য আদর্শ। অন্তত রুটি আর ডিম খেতে পারলেও শর্করা ও আমিষের চাহিদা মেটে। শিশু দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, অম্বল হয়, পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হয়। শারীরিক এই অস্বাচ্ছন্দ্য পড়াশোনা থেকে শিশুর মনোযোগ কেড়ে নেয় এবং শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বাধা দেয়।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ‘বিশ্বজুড়ে স্কুল ফিডিং পরিস্থিতি ২০২২’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে এই সুবিধার আওতায় আছে ৪১ কোটি ৮০ লাখ শিশু। শিশুরা খাদ্যসংকটের চলমান কঠিন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। ৭৯টি দেশের ১৫ কোটির বেশি শিশু ও কম বয়সী মানুষকে ক্ষুধায় নিয়ে বাস করতে হচ্ছে। স্কুল মিল কর্মসূচি বড় ধরনের সামাজিক সুরক্ষায় পরিণত হয়েছে, যা খাদ্যসংকটে থাকা পরিবার ও তাদের শিশুদের জীবনে পরিবর্তন আনার শক্তিশালী সুযোগ তৈরি করেছে।
শিক্ষায় স্কুল ফিডিংয়ের প্রভাব
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) কাজ করে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিয়ে। তারা ৩৫ জেলায় ৬০০ পুষ্টি ক্লাব বানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ উদ্দিন আকবর অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন।
তিনি বললেন, কোনো কোনো দরিদ্র পরিবার দিনে দুই বেলার বেশি খাবার দিতে পারে না। দিনের প্রথম খাবারটা তারা স্কুলের শেষেই দিয়ে থাকে। শহরের চেয়ে গ্রামে, বিশেষ করে সিলেট, রংপুর ও নীলফামারীতে অভুক্ত শিশুর স্কুলে আসার সংখ্যা অনেক বেশি। শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময়ে অভুক্ত শিশুদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে।
দেখা গেছে, স্কুল ফিডিং প্রকল্প শিশুদের পড়াশোনায় ইতিবাচক প্রভাব রেখেছিল। দরিদ্র এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের হার বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ছাত্র–উপস্থিতির হার বেড়ে হয়েছিল ৮৯ শতাংশ, ছাত্রীদের ৯০ শতাংশ। ঝরে পড়ার হার কমেছিল প্রায় ৩ শতাংশ। প্রতিবেদন তৈরিতে ১৩ জেলার প্রকল্পভুক্ত ৩১২টি বিদ্যালয়ের তথ্য নেওয়া হয়।
স্কুলের সামনে অস্বাস্থ্যকর খাবার
প্রায় সব স্কুলের সামনেই উন্মুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের পসরা সাজানো থাকতে দেখা যায়। ১৬ মে বাইলজুরী বিদ্যালয়ের সামনে দেখা গেল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রোকসানা আক্তারকে। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলের সামনে থেকে ঝালমুড়ি কিনে খাচ্ছিল।
১৭ মে ছোলমাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন বললেন, অন্তত ১০ শতাংশ শিশু সকালে না খেয়ে আসে। অভিভাবকদের অনেকে টাকা দেন। শিশুরা অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে খায়।
কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্–প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯। সেখানে কথা হলো প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সালমা বেগম ও মো. অহিদুজ্জামানের সঙ্গে। তাঁরা বললেন, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের খাবার আনতে হয় নিজের সামর্থ্যে। অভিভাবকদের বাড়িতে তৈরি খাবার দিতে বলা হলেও অনেকে তা আনে না। শিক্ষার্থীরা বাড়ি গিয়ে খায়, নয়তো অস্বাস্থ্যকর খাবার কেনে।
প্রধান শিক্ষক বললেন, শ্রমজীবী মা–বাবা সকালে কাজে চলে যান বলে শিশুরা খালি পেটে আসে।
১৮ মে শাহজাদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাহিমা আক্তার বলেছেন, স্কুলের সামনে থেকে তাঁরা হকার তুলে দিয়েছেন। অভিভাবকদেরও বলেছেন বাসা থেকে নাশতা দিতে।
জাতীয় পুষ্টিসেবার উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক সুপ্তা চৌধুরী বলেছিলেন, এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারে জন্ডিস আর ডায়রিয়ার ঝুঁকি থাকে।
শুরু হলেও বাদ যাবে অনেকে
দেশে প্রথম ২০০১ সালে যশোরে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং পরে ২০১১ সালে সরকার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় স্কুল ফিডিং প্রকল্প শুরু করে। ধাপে ধাপে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে করোনাকালে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম চালানো হয়। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ ব্যয় করে সরকার।
ডব্লিউএফপি এখন কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় এই কার্যক্রম চালাচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নানা চিন্তাভাবনা করে প্রকল্পটি আবার চালু করতে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) নেওয়া হবে। পাস হলে জুলাইয়ে চালু হবে। আগের জায়গাগুলোর সঙ্গে নতুন এলাকাও যুক্ত করা হবে।
তবে জানা গেছে, নতুন প্রকল্প এলেও শিশুর সংখ্যা তিন লাখের বেশি বাড়বে না। ফলে শিশুদের বড় অংশ ক্লাসে অভুক্তই থেকে যাবে।
এই প্রকল্প শেষ হওয়ার আগে ২০২০ সালে মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার) প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কাজটির ব্যবস্থাপনা জানতে ৫০০ কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রকল্প বাতিল হয়।
প্রতিদিনের বিস্কুটে একঘেয়েমি আছে। এটা কাটাতে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা নাশতায় রদবদল করায় জোর দিয়েছেন। স্কুল ফিডিং প্রকল্পের সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব এস এম আনছারুজ্জামান জানালেন, বিভিন্ন আলোচনায় বিস্কুটের পাশাপাশি ফল বা দুধ ইত্যাদি দেওয়ার পরামর্শও এসেছে।
বিআইআইডির সিইও শহীদ উদ্দিন আকবর বলেন, স্কুলে কোনো শিশুকে যেন অভুক্ত না থাকে, সে জন্য স্কুলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ক্যানটিন চালু করা যায়। অপেক্ষাকৃত সক্ষম পরিবারের শিশুরা খাবে কিনে। দরিদ্র পরিবারের শিশুদের খাওয়ানো হবে বিনা মূল্যে।