বিশ্লেষণ
নগরের নির্মাণ ও দর্শন কার ভাবনায় বিকশিত হবে
প্রতিটি জনপদের নিজস্ব কিছু ভাষা থাকে। বাংলাদেশে নগর নির্মাণের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সেই ভাষা বোঝার সক্ষমতা খুবই কম। নগর নির্মাণের যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া আছে, বাংলাদেশে তার প্রয়োগ নিয়ে লিখেছেন আমিমুল এহসান
খাল পুনরুদ্ধার করে ব্লু নেটওয়ার্কের কথা বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি তাঁর একটি বক্তব্যে। বলেছেন জলাশয় ও সবুজ অঞ্চল সংরক্ষণের কথা। সেই সঙ্গে তিনি দুঃখ করে বলেছেন, যেভাবে ঢাকা মহানগর বেড়েছে...তার সঙ্গে নগরের দর্শন, প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন, আইনকানুন—কোনো কিছুই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়...।
উপদেষ্টার এই হতাশা ও শ্লেষের দায় পেশাজীবীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর আসে। শহর নিয়ে ভেবেছিলেন স্থাপত্য আচার্য মাজহারুল ইসলাম বা কবি সৈয়দ শামসুল হক, কবি শামসুর রাহমান আর অনেক তরুণ গবেষক-পেশাজীবী। কিন্তু তাঁদের কথা শোনার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আমাদের প্রশাসনের ছিল না।
তবে শহর নিয়ে প্রকৌশল ভাবনার বিচারে এই কথা অনস্বীকার্য যে এই পুরো প্রক্রিয়াটি এই দেশে এখনো একটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়ে গেছে। হয়তো কোনো প্রভাবশালী সরকারি ব্যক্তির ভাবনায় ছিল সিঙ্গাপুর বা হংকং! ভেবেছেন সব দারিদ্র্য পাশ কাটিয়ে উড়ালসড়কে অনেক গাড়ি দূরদূরান্তে চলে যাবে। এমন সব ভাবনা আমাদের শহরকে আজ দিশাহীনতার মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
নগর বা গ্রামের বিন্যস্ত হওয়ার প্রক্রিয়া কেবল স্কেলের বিচারে ছোট-বড়র তুলনা নয়। আবার শুধু হিসাব করে জনঘনত্ব অনুযায়ী সবুজ আর জলাভূমি, বাড়ি ও সড়ক বা খেলার মাঠ আর বিপণিবিতান সাজিয়ে দিলেই শহর হয়ে যায় না। এর জন্য একটি সরু গলি, দীর্ঘ বাসযাত্রা, গাছের ছায়া, মোড়ের চায়ের দোকান বিবেচনায় নিতে হয়। আর তাই নগরের বিন্যাস মনমতো ড্রয়িং বোর্ডে বসে এঁকে ফেলার বিষয় নয়। প্রতিটি জনপদের নিজস্ব কিছু ভাষা থাকে। এই ভাষা আবিষ্কার না করে কেবল দেশ–বিদেশ এর উদাহরণ থেকে কপি–পেস্ট করে সাজিয়ে নিলেই সুন্দর শহর তৈরি হয় না। আমাদের দেশে নগর নির্মাণের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সেই ভাষা বোঝার সক্ষমতা খুবই কম আছে বলে মনে হয়।
উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, ‘আমরা প্রথমে আমাদের ভবনগুলোকে নির্মাণ করি, তারপর সেই ভবনগুলো আমাদের নির্মাণ করে’। নগর নির্মাণের ক্ষেত্রে কথাটি আরও গভীরভাবে সত্য। আমরা আজ অবধি যে শহরগুলো তৈরি করেছি, অবিরামভাবে তা আমাদের প্রতিদিনের যাত্রাপথকে দীর্ঘ করে, নিশ্বাসকে সংকুচিত করে এবং সামগ্রিক বসবাসকে আশাহীন, বিষণ্ন আর কুণ্ঠিত করে।
সরকারি কর্মপ্রক্রিয়া
সরকারি উদ্যোগে কিছু পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক স্থপতিরূপে কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে এসব প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শের চেয়ে বড় রাজনৈতিক বিবেচনা। প্রকল্পের ডিজাইন প্রস্তাবের অনেক আগেই সরকারি দলের কর্তাব্যক্তিরা ঠিক করে রেখেছেন, কোথায় কী হবে। পেশাজীবীরা কেবল তাঁদের স্বপ্নকে কাগজে এঁকে দেওয়ার জন্য নিযুক্ত হয়েছেন। এ জন্য ইউরোপ থেকে নগর– পরিকল্পনা ও ডিজাইনে উচ্চতর পড়াশোনা করে আসা জ্ঞান সরকারি পৌরসভা উন্নয়নের কোনো কাজেই আসেনি।
কক্সবাজারের মাস্টার প্ল্যানের প্রস্তাবনা দেখেছিলাম। পরিকল্পনাকারী প্রেজেন্টেশন শুরু করেছিলেন এই বলে যে কক্সবাজারে গেলেই তাঁর হতাশা জাগে এই ভেবে যে এখানে সিঙ্গাপুরের মতো হোটেল নেই কেন? তারপর তিনি ‘মাকড়সার জাল’–এর আকারের একটি নগর নকশা দেখালেন, বিচে যাওয়ার দৈর্ঘ্য কমানোর জন্য বনভূমির ভেতর দিয়ে ‘হাই স্পিড’ রাস্তা দেখালেন। হঠাৎ করে কোথা থেকে মাকড়সার জাল এসে পড়ল, এর সঙ্গে কক্সবাজারের কী সম্পর্ক, তা বলতে পারলেন না। সেই নকশা করতে গিয়ে কয়টা পাহাড় আর গাছ কাটা পড়ল, জীববৈচিত্র্যের কী ঘটে গেল, তা–ও তিনি অনুভব করলেন না। সভায় অনেকে বিরোধিতা করলেন। কিন্তু সরকারের কর্তাব্যক্তি বললেন, সব প্রকল্পেরই কিছু সুবিধা-অসুবিধা থাকে। বিজ্ঞজন মাত্রই জানেন যে এমন প্রকল্প কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পর্যায়েই পাস করতে পারবে না। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত হয়ে গেল।
যাঁরা প্রশাসনে আছেন, প্রকল্প প্রণয়ন করেন, তাঁরা বাস্তবায়নের রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক ধাপগুলো সম্পর্কে জানেন। কিন্তু জ্ঞানভিত্তিক পর্যায়গুলো সম্পর্কে তাঁদের ধারণা স্বচ্ছ নয়। হলে সেই পৌরসভা বা কক্সবাজারের মাস্টার প্ল্যান এসব এভাবে পাস হতো না। আর যাঁদের সেই জ্ঞান আছে, তাঁদের এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয় না।
ঢাকামুখী জনস্রোত
মাননীয় উপদেষ্টা বলেছেন, ঢাকা শহরে তিন কাঠা জায়গা নিয়ে ‘অনেক কিছু’ হয়ে যায়। তিনি ঢাকায় মানুষের আগমন নিরুৎসাহিত করার কথা ভেবেছেন। ঢাকায় আসা নিরুৎসাহিত করতে হলে অন্য শহরগুলোকে ঢাকার চেয়ে বেশি উন্নত করতে হবে। ঢাকায় মানুষের আসা বন্ধ করে তা সম্ভব নয়। এ ছাড়া একটি দেশের নাগরিক পছন্দসই জায়গায় স্থানান্তর বা বসবাসের চিন্তা করতে পারে। কাউকে এভাবে নিরুৎসাহিত করার চিন্তা একধরনের নাগরিক এক্সক্লুশন তৈরি করবে। আর তা সমাজের জন্য কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না।
নগর দর্শন
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেই বক্তৃতার ‘নগর দর্শন’ শব্দটি আমাকে তাড়িত করেছে। শব্দটি সম্ভবত কোনো প্রশাসনিক পরিমণ্ডলে এই প্রথম উচ্চারিত হয়েছে। নগরের দর্শন গড়ে ওঠার প্রক্রিয়াটি ধীরগতির। একটি শহরে দ্রুত আর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিষয় থাকে। এর সমান্তরালে জ্ঞানভিত্তিক নানাবিধ চর্চা হওয়া জরুরি। এই সমান্তরাল কার্যবিধির একটা বড় অংশ হলো অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা ও নাগরিক মতামতের ক্ষেত্র উন্মুক্ত করা। যাঁরা নগর নিয়ে ‘প্রশাসনিক ভাবনা’ করেন এবং একাই চিন্তা করে প্রকল্প প্রণয়ন করে ফেলেন, তাঁরা একটা ব্যাপার ভাবেন না।
একটি রাস্তার বা উড়ালসড়কের সংযোগ কেমন হতে পারে, তা নিয়ে একজন স্কুলছাত্র বা একজন রিকশাচালকের বক্তব্য থাকতে পারে। সেই বক্তব্য থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে। এ ছাড়া প্রতিটি প্রকল্প পরিবেশ, ইতিহাস বা জেন্ডারসহ আরও বিষয়ের আলোকে দেখার প্রয়োজন থাকে। সর্বোপরি এসব বিবেচনাকে এই দেশের বদ্বীপ ভূমিরূপ, সবুজ ও জলজ প্রকরণ, বাংলার আবাসন সংস্কৃতির বিচারে দেখার বাস্তবতা রয়েছে।
মনে রাখতে হবে, নগর দর্শনে বিভিন্ন অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর মধ্যে সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার একটা আরাধ্য বিষয়। অঞ্চলভেদে তা ভিন্নতা দাবি করে। আর সে জন্য সংশ্লিষ্ট সমাজকে সঠিকভাবে জানার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অর্থনীতি, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞানের অধ্যয়ন কিংবা ডেটা সংগ্রহের বাইরেও এই জানার ক্ষেত্রে বিবিধ উপায়ে ম্যাপিংয়ের উপযোগিতা রয়েছে। ম্যাপিং বলতে কেবল জিপিএস বা গুগল ম্যাপের দ্বিমাত্রিক কালার কোডিং বুঝলে হবে না। নগরের বিভিন্ন পরিসরকে আরও অনেকভাবে দেখার ও উপলব্ধির গুরুত্বও এ ক্ষেত্রে অপরিসীম। পথে হেঁটে, নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে, ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে, ছবি এঁকে, শব্দের অডিও রেকর্ডের মধ্য দিয়েও ম্যাপিং করা যায়। এসব পর্যালোচনার পরম্পরায় দীর্ঘদিনে নগর দর্শন গড়ে উঠতে পারে, যা একসময় আমাদের নিজস্ব আবাসন ও নগর সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠবে।
স্থাপত্য, নগর– পরিকল্পনা ও ‘আরবান ডিজাইন’
আমাদের দেশে নির্মাণের সঙ্গে জড়িত পরিকল্পনাকারী ও স্থপতিদের প্রবণতা হলো, যেকোনো কিছু ড্রয়িংয়ের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা। চিন্তার আগে এঁকে ফেলার প্রবণতা একটি শহরের জটিলতার পথ দীর্ঘ করে। অনেক প্রজ্ঞাবান স্থপতি ভবন নির্মাণের বাইরে এসে নগর নির্মাণের দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। নগর পরিকল্পনায় স্থপতির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
নগর পরিকল্পনাকারীর প্রধান কাজ বিভিন্ন আর্থসামাজিক, আইনি ও পরিবেশগত বিচারের জায়গা থেকে উপাত্ত সংগ্রহ থেকে শুরু করে নানাবিধ ম্যাপিং, পরিকল্পনার নীতিমালা তৈরি ইত্যাদি। সেই প্রক্রিয়ায় বেসিক মাস্টার প্ল্যানিং বা জোনভিত্তিক প্রস্তাবনা পর্যন্তই তাঁদের কাজ। পরিকল্পনাকারীদের তৈরি করা ‘জোনিং বাই ল’ একটি পরিকল্পনা পথনির্দেশ, যার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সব উন্নত দেশে আরবান ফেব্রিক নির্মিত হয়। তবে এসব পথনির্দেশ নির্মাণের অনেক আগেই নগর দর্শনের সেই জ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনাপর্ব পার হয়ে আসতে হবে। এই পর্যালোচনা একটি মাস্টার প্ল্যানকে কেবল স্বচ্ছতা আর বৈধতা দেওয়ার পাশাপাশি সবার আকাঙ্ক্ষিত প্রস্তাবনারূপে স্বীকৃত হবে।
নগরের নকশা বা ডিটেইল মাস্টার প্ল্যানিং যেমন রাস্তা, প্লট ডিভিশন, ভবনের আকার–আয়তন নির্ধারণ করা, পার্ক, জলাশয় ইত্যাদি ড্রয়িংয়ের কাজটি আমাদের দেশে প্রায় অনুপস্থিত। আরবান ডিজাইনারের পাশাপাশি ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেক্ট ও ট্রাফিক ডিজাইনিং এক একটি বিশেষায়িত ডিসিপ্লিন। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ও পেশাগত চর্চার প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশে স্বল্প পরিসরে এই তিন-এর অংশগ্রহণ থাকলেও তা মূলধারায় তেমন ভূমিকা রাখে না। শেষোক্ত এই তিন পেশাজীবীর অভাবে আমাদের দেশে নগরের নির্মাণ আরাধ্য গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না।
আরবান ডিজাইনকে বিশদ নকশায় রূপ দেন স্থপতি ও প্রকৌশলীরা। বিবিধ আরবান ফার্নিচার ও আর্ট ওয়ার্কের মাধ্যমে এর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখেন চিত্রশিল্পী আর ভাস্কর।
সবশেষে এই মাস্টার প্ল্যানের দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক প্রদর্শনী অনেকটা সময় সাধারণ মানুষের মতামতের জন্য উন্মুক্ত করে রাখতে হবে তাঁদের মতামত জানার জন্য।
পৃথিবীর সব উন্নত দেশে নগর নিয়ে ভাবনা থেকে দর্শন হয়ে নগরের নির্মাণ অবধি এর পরিকল্পনার পথ প্রকরণ অনেকটা একই রকম। এই স্বীকৃত কার্যধারাটির একটি পর্যায়ও বাদ দিলে অথবা এড়িয়ে গেলে বা এক পেশাজীবীর কাজ অন্য পেশাজীবী করলে প্রতিনিয়ত এর কুফল ভোগ করতে হবে নাগরিকদের। এ ছাড়া যেকোনো বড় প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, উপাত্ত বিশ্লেষণ ও ডিজাইন প্রজেক্টের গুরুত্ব অনেক। সরকার দূর ভবিষ্যতের যেকোনো প্রকল্পকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস প্রজেক্ট হিসেবে দিয়ে দিলে, এর মাধ্যমে আগাম নানামুখী প্রস্তাবনার সংকলন বিনা মূল্যে পেয়ে যেতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম বায়বীয় না হয়ে বাস্তব হবে।
বিপজ্জনক বিষয় হলো, এই ধারাবাহিক প্রক্রিয়াটি না শিখে–বুঝে শুধু অটো ক্যাড বা জিপিএস ধরনের সফটওয়্যার দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা রাজনৈতিক নেতার নির্দেশে বা কনসালট্যান্সির অর্থপ্রাপ্তির জন্য মাস্টার প্ল্যানিং করতে বসে গেলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে এ ঘটনাই ঘটে চলেছে।
তবে আশার কথা, অনেক দেরিতে হলেও বর্তমান সরকার নগরায়ণ ও পরিবেশকে একসূত্রে গেঁথে নগর নির্মাণের পরিকল্পনা করতে যাচ্ছেন। মাননীয় উপদেষ্টা রাজউকে তরুণ পেশাজীবীদের সংশ্লিষ্টতার চিন্তা করছেন। ভেবেছেন এলাকাভিত্তিক অংশীজনদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা নিশ্চয়ই পুরোনো ভুল সংশোধন করে নতুনভাবে নগর নির্মাণের পথে যাত্রা শুরু করতে পারব।
আমিমুল এহসান স্থপতি ও নগরবিদ