ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের বিশ্লেষণ
আমরা কি নৈতিকতাহীন অর্থনীতির দিকে যাচ্ছি
এবারের বাজেটে সাময়িক অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের প্রতিফলন দেখা গেছে। একই সঙ্গে সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছুকাল ধরে চলা মৌলিক কিছু দুর্বলতাও প্রকাশ্যে এসেছে। এর ফলে শুধু বাজেটের আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলিয়ে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। প্রয়োজন সার্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় গুণগত পরিবর্তন। বাজেট ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আজকের আলোচনার শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে যে ‘অর্থনীতির চালচিত্র’ কথাটি জুড়ে দেওয়া হলো, সেটা খুব যুক্তিসংগত হয়েছে। কারণ, সামগ্রিক অর্থনীতির যে টানাপোড়েন ও অস্থিরতা চলছে, তার প্রেক্ষাপটেই বাজেটকে দেখতে হবে।
অর্থনীতির বর্তমান অস্থিতিশীলতা বা ভঙ্গুরতার লক্ষণগুলো কী। অব্যাহত মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক রিজার্ভের পতন, রাজস্ব সংগ্রহের স্বল্পতা, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের স্থবিরতা, পুঁজি পাচার, ব্যাংকিং খাতের বিশৃঙ্খলা, সর্বব্যাপী দুর্নীতি ও সরকারি ব্যয়ের অনিয়ম-অপচয়, জবাবদিহিহীনতার সংস্কৃতি এবং বৈদেশিক অভ্যন্তরীণ খাতের ঋণের সুদ পরিশোধের ক্রমবর্ধমান দায়।
এ পরিস্থিতির সীমাবদ্ধতার মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবসম্মত যেমন বলা যায়, আবার যূপকাষ্ঠে বাঁধা বলির পশু বলেও মনে হতে পারে (ইংরেজিতে যাকে সেক্রিফিস্যাল ল্যাম্ব বলে), যার হাত-পা বাঁধা, নড়াচড়া করার খুব সুযোগ নেই। আমি অর্থমন্ত্রীর প্রতি কোনো ইঙ্গিত করছি না—তিনি আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সংকোচনমূলক বাজেটের, যা জিডিপির মাত্র ১৪ শতাংশ, এর কোনো বিকল্প ছিল না। যদিও এটাকে সংকট উত্তরণের একটা সাময়িক ব্যবস্থা বলা হয়েছে।
রাজস্ব-জিডিপির বর্তমানের এত নিম্নহার নিয়ে একটা উন্নয়নকামী অর্থনীতির জন্য ন্যূনতম যে আকারের বাজেট দরকার, তার জন্য অর্থের সংকুলান সম্ভব নয়।
মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার বিবেচনায় বাজেটের ঘাটতি সীমিত রাখতে হয়েছে, যার ফলে সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ব্যয়ের সংস্থান করাও কঠিন হয়ে গেছে।
এর ওপর আছে ভর্তুকি, বিশেষত, বিদ্যুৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জের বাড়তি বোঝা। আবার বাজেট ঘাটতির বড় অংশই ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে মেটাতে হবে। কারণ, বর্তমান অবস্থায় নতুন টাকা ছাপানো বিপজ্জনক। এর ফলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ সংকুচিত হবে (মাত্র ৯ শতাংশ যখন বাড়বে বলে ধরা হয়েছে)।
এই ঋণ সংকোচনের মধ্যে আবার খেলাপি ঋণ ক্রমাগত বাড়ছে বলে নতুন করে ঋণ দেওয়াও কঠিন হবে। এ অবস্থায় বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা অবাস্তব মনে হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে একটা আপাতদৃষ্টে ন্যূনতম মানানসই বাজেট দিতে গেলে কিছু জোড়াতালি, অসংগতি বা অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা তো থাকবেই। কারণ, অর্থনীতি যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে বাজেট ব্যবস্থাপনায় কোনো বিকল্পই খুব সুখকর হবে না এবং সেটা মেনে নেওয়াই ভালো।
সমস্যা হলো প্রস্তাবিত বাজেটে যদি শুধু সাময়িক অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের প্রতিফলন দেখা যেত, তাহলে কথা ছিল না (বাজেট প্রস্তাবনায় সে ধরনেরই ইঙ্গিত আছে)। কিন্তু এর সঙ্গে সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছুকাল ধরে চলা মৌলিক কিছু দুর্বলতাও প্রকাশ্যে এসেছে। যার ফলে শুধু বাজেটের আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলিয়ে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়, প্রয়োজন সার্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় গুণগত পরিবর্তন।
প্রশ্ন হলো সরকারের উচ্চতম পর্যায় থেকে সে ধরনের অঙ্গীকার কি আছে, নাকি বাজেট প্রস্তাবনায় কিছু গা-ছাড়া ধরনের আপ্তবাক্য সংযোজনই কেবল করা হয়েছে? বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো থেকেই তা স্পষ্ট হবে।
অর্থনৈতিক সংকট বলি বা অস্থিতিশীলতা বলি—কী করে এখানে এসে পৌঁছালাম? বিশ্ব অর্থনীতির একাধিক বিপর্যয় থেকে সমস্যার সূত্রপাত সন্দেহ নেই, কিন্তু শুধু সেটাই কারণ হলে সাময়িক সংকট থেকে উত্তরণ সহজ হতো। অতি নিম্ন রাজস্ব সংগ্রহের হার আমাদের অর্থনীতির বড় দুর্বলতা সত্ত্বেও এ ক্ষেত্রে আমরা কার্যকর সংস্কারে এত দিন অবহেলা করেছি। দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিয়ে ক্রমাগত বাজেট ঘাটতি মেটাতে গিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন ঋণের অর্ধেকের সমপরিমাণ ব্যয় হবে ইতিমধ্যে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধে। এতে ঋণের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ব্যাংকিং খাতের বিশৃঙ্খলা এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে অর্থনীতির এই সবচেয়ে সংবেদনশীল খাতটি এখন প্রায় নিয়ন্ত্রণহীন অরক্ষিত অবস্থায় বলা চলে। বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরিতেও প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়নি। প্রশাসনের সর্বস্তরে জবাবদিহির অভাব, অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে সরকারি ব্যয় সাশ্রয়ের বদলে ব্যাপক অপচয় হয়েছে।
অর্থনীতিতে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা যায়নি বলে এবং ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মতো আর্থিক লেনদেনের নজরদারির ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে পারিনি বলে অর্থনীতিতে অবাধে কালোটাকার সঞ্চালন ও বিদেশে পুঁজি পাচার হচ্ছে।
মূল্যস্ফীতি হ্রাসে সময়মতো পদক্ষেপ নিতে পারিনি বলে তা এখন গেড়ে বসেছে। একধরনের মূল্য প্রত্যাশা বা প্রাইস এক্সপেক্টেশন তৈরি হওয়ার ফলে এখন তা সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে—যার ভুক্তভোগী সীমিত আয়ের মানুষ।
যত দিন অর্থনীতিতে ধারা ও সূচকগুলো অনুকূল ছিল, রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি চাঙা ছিল, সেই সঙ্গে প্রবৃদ্ধিও জোরালো ছিল, তত দিন এসব অনিয়ম, অব্যবস্থা ও অপচয়ের বোঝা ঢাকা পড়ে ছিল; এসব সহ্য করার শক্তি ছিল অর্থনীতির। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই বলেই সংকট শুধু সাময়িক নয়, এর থেকে উত্তরণের একটা শক্ত দৃঢ় মধ্যমেয়াদি পথনির্দেশনার প্রয়োজন হবে। একটা কথা আছে, যে পথ ধরে এত দূর এসেছ, সেই গতিপথ পরিবর্তন না করে ঈপ্সিত গন্তব্যে যাওয়া যাবে না।
বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের মন্দার পরিস্থিতিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) এটা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পরত, কিন্তু সে ক্ষেত্রেও আমরা প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি।
১৯৯০ সালে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে প্রায় একই পর্যায়ে ছিল, এখন বাংলাদেশের এফডিআই বছরে বড় জোর দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ, ভিয়েতনামে ২০ বিলিয়ন। এমনকি সম্প্রতি ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রযুক্তি হস্তান্তরের চুক্তিও করেছে। মেগা প্রকল্পগুলোতে শুধু বৈদেশিক ঋণনির্ভর না হয়ে আমরা বিদেশ থেকে মূলধন আকৃষ্ট করতে পারলে বাজেটের ওপর ঋণের বোঝা কমানো যেত।
লক্ষ করার বিষয়, বাজেটের ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে কিছু কিছু চলমান মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। বলা হচ্ছে প্রকল্পগুলো সমাপ্তির পর্যায়ে বলে বরাদ্দ কম, আবার বাড়তি ব্যয় কমানোর কথাও বলা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো এগুলো কিসের বাড়তি ব্যয়? এর মধ্যে আবার কম বরাদ্দ হলেও নতুন অনেক মেগা প্রকল্প শুরু করার প্রস্তাব রয়েছে।
এ ধরনের প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু এগুলোর উপযুক্ত সমীক্ষা, আর্থিক মূল্যায়ন, অগ্রাধিকার নির্ণয়, ব্যয়ের সাশ্রয়, অর্থায়নের শর্ত এবং ভবিষ্যতের ঋণ পরিশোধের দায় নিয়ে প্রশ্ন আছে। লক্ষণীয়, যেকোনো প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, আবার কোনোটির জন্য ব্যয় ও সময় ক্রমাগত বাড়ানো হয়েছে।
এ নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কাজ করার সুযোগ আছে। কোন দেশ থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে ও ঠিকাদার নিয়োগ হচ্ছে, সেটাও দেখার বিষয়। কিছু দেশ (যেমন জাপান ও পশ্চিমা শিল্পোন্নত দেশ) থেকে আসা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিদেশে করা দুর্নীতি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে তেমনটি নয়—এটা একটা ক্লু হতে পারে।
বাজেটের কর প্রস্তাবের খুঁটিনাটির দিকে না গিয়ে সাধারণভাবে দু–একটি মন্তব্য করা যায়। অব্যাহত উচ্চমূল্যস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুবছরের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা সুবিবেচনাপ্রসূত প্রস্তাব মনে হয় না। আয়কর থেকে রাজস্ব সংগ্রহের তুলনায় ভ্যাটের মতো পরোক্ষ কর অনেক সহজ উপায়, কিন্তু এর প্রভাব পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর।
দুর্বল হরিণটিকেই বাঘ শিকারের জন্য বেছে নেয়—এটা হলো সে ধরনের করনীতি। কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর কর কমানো হলেও সে তুলনায় সাধারণ মানুষের ওপর জ্বালানি ও বিদ্যুৎ—এসব সেবার বাড়তি খরচের নেতিবাচক প্রভাব বেশি হবে। মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারে ভ্যাটের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরও বাড়িয়ে দেওয়াও একরকম কর সংগ্রহের সহজ উপায় মনে করা হয়েছে। এটি এখন নিত্যব্যবহার্য সেবা। এখন বাড়তি খরচের জন্য ইন্টারনেট সেবার ব্যবহার কমে গেলে রাজস্ব আয় কত দূর বা আদৌ বাড়বে কি না, তার জন্য তো সমীক্ষার প্রয়োজন।
আয়করের উচ্চতম হার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। যাঁরা সঠিক সম্পদের হিসাব দেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সারচার্জসহ এ হার আরও বেশি। ৩০ শতাংশ হার আগেও ছিল, তখন যে যুক্তিতে এ হার কমানো হয়েছিল, তা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্মরণশক্তিতে নেই। বলা হয়েছিল, যেখানে উচ্চবিত্ত করদাতাদের সিংহভাগ আয়ের সঠিক হিসাব দেন না, সেখানে কিছু সৎ করদাতা, হোক না উচ্চবিত্তের, তাঁদের ওপর উচ্চ করহার চাপিয়ে দিলে তাঁরাও আর সৎ থাকবেন না।
এর পাশাপাশি কালোটাকা বা অপ্রদর্শিত আয়কে ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে বৈধ করার প্রস্তাবিত সুবিধাকে অনেকে যথার্থই অন্যায্য ও অনৈতিক বলেছেন। তবে আমাদের অর্থনীতিতে অনৈতিকতার বিষয়ে আরও ব্যাপক পরিসরে আলোচনা দরকার। আমরা ক্রমে একটা নৈতিকতাহীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছি।
দুর্নীতি সব দেশেই আছে, কিন্তু বাংলাদেশকে যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ধরা হয়, তার একটা কারণ নাগরিকদের প্রায় যেকোনো সরকারি সেবা নিতে গেলেই দুর্নীতির শিকার হতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকারীদেরও নৈতিক দায়িত্ব আছে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা কোনো অন্যায় সুযোগ, যেমন কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই দুর্নীতিতে অংশ নেন; যদিও আমাদের আইনে ঘুষ নেওয়া অপরাধ হলেও ঘুষ দেওয়া অপরাধ নয়।
দুর্নীতি-অনিয়মের সবচেয়ে বড় উৎস হলো আমাদের দেশের ক্ষমতার রাজনীতির ধরন—যার মূল ভিত্তি হলো বিভিন্ন অনুগত স্বার্থগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যায় সুযোগ-সুবিধা বিতরণ। এর ফলে সম্পদের অসম বণ্টন বাড়ে, অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে, বিনিয়োগের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সৎ উদ্যোক্তারা বঞ্চিত হন। বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ এবং টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে অন্তত কিছু সংবেদনশীল খাতকে এসবের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায় কি না, সেটা ভেবে দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সফল অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতাও তাই বলে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
[গত সোমবার নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ যৌথভাবে আয়োজিত ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্য]