যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরের পর তাঁদের কথাবার্তা নিয়ে যেসব আলোচনা হচ্ছে, তা কৌতূহলোদ্দীপক। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রতিনিধিদল চার দিন বাংলাদেশে ছিল।
সে সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছ, রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেছে এবং দেশের সিভিল সোসাইটির কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেছে। এসব বৈঠকে আলাপ-আলোচনার বিষয়ের মধ্যে
নির্বাচন এবং মানবাধিকারের বিষয় যে গুরুত্ব পেয়েছে, তা গণমাধ্যমের খবরেই স্পষ্ট। সফরের উদ্দেশ্য যে তা-ই ছিল, এটা সবার জানাই ছিল। বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ, ইতিমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ এবং এসবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে এই সফর, সেটা সবাই জানেন ও বোঝেন।
যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর যা হয়, এ ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। ভবিষ্যতে কী ঘটবে, সবাই তার ইঙ্গিত খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব বৈঠকের লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৃষ্ট ‘কিছু বিষয় নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির’ অবসান।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এতে করে দুই পক্ষের মধ্যে ‘দূরত্ব কমেছে’ (প্রথম আলো অনলাইন, ১৩ জুলাই ২০২৩)। সরকার এবং সরকার সমর্থকেরা বিভিন্ন ভাষায় এটাও বলছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের দেওয়া কথাবার্তায় আশ্বস্ত হয়েছেন; যুক্তরাষ্ট্র চায় সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সরকার তো বলেই আসছে যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, অতএব এ নিয়ে ভিন্ন কিছু বলার সুযোগ নেই।
উজরা জেয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি অন্য মন্ত্রীদের কাছ থেকে জোরালো প্রত্যয়ের কথা শুনেছি। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গেও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে আলোচনা করেছি’ (দৈনিক বাংলা অনলাইন, ১৩ জুলাই ২০২৩)। সরকার-সমর্থকদের কাছে এর ব্যাখ্যা হচ্ছে যে এগুলো সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি সমর্থনই। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরে যা বলে আসছে, উজরা জেয়া তা থেকে ভিন্ন কিছু বলেননি।
এর আগে, ১০ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিক ফজল আনসারীর করা এক প্রশ্নের জবাবেও বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে তাঁর প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছেন। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে আমরা উভয়েই এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করি’ (বিবিসি বাংলা, ১১ জুলাই ২০২৩)। এর আগে ২৪ মে বাংলাদেশের ব্যাপারে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই প্রতিশ্রুতিকে সহায়তা করতে আমরা আজ ভিসা নীতি ঘোষণা করছি’ (সমকাল অনলাইন, ২৪ মে ২০২৩)।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে উজরা জেয়ার এই সফর থেকে কী ধরনের বার্তা পাওয়া গেল? এখানে আমরা উজরা জেয়ার লিখিত বিবৃতিতে ব্যবহৃত কয়েকটি শব্দ এবং বিষয়ের দিকে মনোযোগ দিতে পারি। লিখিত ভাষ্যে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ‘প্রয়োজনের’ কথা বলেছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে এই প্রয়োজন, ইংরেজিতে তাঁর ব্যবহৃত ‘নিড’ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ক্ষমতাসীনেরা মনোযোগী হবেন।
সরকারের এই প্রতিশ্রুতির কথা সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বারবার বলেছেন। এই বছরের জানুয়ারি মাসে সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু যখন ঢাকা সফর করেন, সেই সময়েও তা বলা হয়েছিল। একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভাষ্য ছিল—‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই বার্তা নিয়ে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’ (সমকাল অনলাইন, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩)। স্মরণ করা যেতে পারে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের আলোচনা হয়েছিল ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল, সেখানেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একই কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ঢাকায় গিয়ে বলছেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি শুনছি।’ ভালো করে লক্ষ করলেই দেখা যাবে যে তাঁরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ‘প্রতিশ্রুতি’র কথা বলছেন, কিন্তু এ কথা বলছেন না, এতে করে তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন। কূটনীতি নয়, সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন—যে বিষয়ে কেউ নিঃসন্দেহ, সেই বিষয়ে বারবার কেন প্রশ্ন করা হবে?
ফলে যাঁরা উজরা জেয়ার এসব কথাকে সরকারের জন্য স্বস্তিকর বলে ব্যাখ্যা করছেন, তাঁরা একধরনের আত্মতুষ্টি লাভ করতে পারেন; কিন্তু তার ফল ইতিবাচক হবে, এমন আশা করার কারণ নেই। এই সফরে নাগরিক সমাজের সঙ্গে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠক বাদ দিলে সব কটিই হয়েছে সরকারের সঙ্গে। সরকারের কথাবার্তায় আস্থা থাকলে বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের আচরণের ব্যাপারে আপত্তি প্রকাশ করাটাই হতো স্বাভাবিক।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যেসব বৈঠক হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি বৈঠকে উপস্থিতির তালিকা দেখলে বোঝা যাবে যে সরকার মুখে যা-ই বলুক, তারা এই সফরের গুরুত্ব বুঝতে পারছে। গুলশানে সালমান এফ রহমানের বাসভবনে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠকে উপস্থিত ব্যক্তিরা সরকারের উচ্চপর্যায়ের শুধু নন, বাংলাদেশের ক্ষমতাকেন্দ্রের সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা সুবিদিত। (প্রাসঙ্গিকভাবে আমার মনে এই প্রশ্নও উঠছে যে সরকারি প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের দাবিদার মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কেন যুক্ত হলেন)। এই বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন আগে আলাদাভাবে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন? তাঁদের আবার সম্মিলিতভাবে দেখা করার তাগিদ এবং তাৎপর্য, দুই-ই আমাদের বোঝা দরকার।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে উজরা জেয়ার এই সফর থেকে কী ধরনের বার্তা পাওয়া গেল? এখানে আমরা উজরা জেয়ার লিখিত বিবৃতিতে ব্যবহৃত কয়েকটি শব্দ এবং বিষয়ের দিকে মনোযোগ দিতে পারি। লিখিত ভাষ্যে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ‘প্রয়োজনের’ কথা বলেছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে এই প্রয়োজন, ইংরেজিতে তাঁর ব্যবহৃত ‘নিড’ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ক্ষমতাসীনেরা মনোযোগী হবেন।
এটা কেবল প্রত্যাশা নয়, প্রয়োজন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক মানবাধিকার নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় (মানবজমিন অনলাইন, ১৪ জুলাই ২০২৩)। তাঁর লিখিত ভাষ্যে উজরা জেয়া বলেছেন, ‘শক্তিশালী গণতন্ত্র এবং ভোটে সবার অংশগ্রহণের ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সমৃদ্ধি নির্ভর করছে। যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে অংশগ্রহণমূলক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাবে।’ এর অর্থ কি এই, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার জন্য এগুলো ক্রমেই অনিবার্য হয়ে উঠবে?
প্রাসঙ্গিকভাবে আমাদের স্মরণ করা দরকার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলেট গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা সফরের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ এবং অন্য যেকোনো দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওই দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা সীমিত হয়ে আসে’ (ডেইলি স্টার বাংলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। এই দুই বক্তব্য দুজনের কিন্তু এই অভিন্ন অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের। উজরা জেয়ার লিখিত বক্তব্যে এ কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে কীভাবে দাঁড়িয়েছে এবং কত অর্থ প্রদান করেছে। এটাও বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। তার অর্থ হচ্ছে, চীনের উদ্যোগে প্রত্যাবাসনের চেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক ভাবে দেখে না।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার ক্ষেত্র ব্যাপক। বাণিজ্য তার একটি অন্যতম দিক। ডেরেক শোলেট বলেছিলেন, ‘মার্কিন কোম্পানিগুলো কোনো দেশে বিনিয়োগের সময় স্বচ্ছ, আইনের শাসন, জবাবদিহি চায়।’ ফলে ভবিষ্যতে কোন ধরনের পরিস্থিতির কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা অনুমান করা দরকার।
মার্কিন এই প্রতিনিধিদলের প্রধান উজরা জেয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, তাঁরা চান রাজনৈতিক মতবিরোধ মেটাতে দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হোক, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে সম্পৃক্ত নয়। দুই পক্ষের মধ্যে সংলাপের তাগিদ এই প্রথম দেওয়া হলো তা নয়। ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি গ্রহণের পর ওই দিন ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠানে জিল্লুর রহমানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড লু নতুন ভিসা নীতি কী অর্জন করতে চায়, তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা চাই, এটি [নতুন ভিসা নীতি] বাংলাদেশে সংলাপ এবং আগামী বছরে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ—সবার প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে।’ তার অর্থ এই নয় যে তারা কোনো ধরনের ভূমিকা রাখবে না।
তাদের ভাষায় তারা ‘কার্যকর’ ভূমিকা রাখতে চায়, ২৪ মে ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, ‘আমরা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি এবং এই লক্ষ্যে “আমরা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত” (রেডি টু টেক অ্যাকশন)।’
ঢাকা সফরের সময় ডোনাল্ড লু র্যাবের আচরণে অগ্রগতি বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে র্যাবের বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্যের পর বাংলাদেশের অনেক গণমাধ্যম এবং বিশ্লেষক এই উপসংহারে পৌঁছেছিলেন যে এরপর যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবে না।
কিন্তু এরপর মে মাসে ভিসা নীতি ঘোষণা হয়েছে এবং এখন উচ্চপর্যায়ের সফর হয়েছে। যাঁরা এখন উজরা জেয়ার সফরের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, তাঁরা নিশ্চয় জানেন, কূটনীতির ভাষা ভিন্ন, তার অর্থ বুঝতে না পারলে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয়। কূটনীতির ভাষার আড়ালে কী বলা হচ্ছে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি।
আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট