
সম্ভবত এটা ১৯৬৪-৬৫ সালের কথা। স্কুলে পড়ি। হলে গিয়ে সিনেমা দেখা শুরু করেছি। তো একটা ভারতীয় বাংলা ছবি দেখলাম—মায়ামৃগ। উত্তমকুমার ছবিতে গৃহকর্মীর ভূমিকায়। এখনকার ঢাকাই ছবি হলে বোধ হয় নাম হতো ‘চাকর কেন কথা কয়’ এ-জাতীয় কিছু। ছবিটার কথা বিশেষ করে মনে আছে। কেননা ওটাই আমার দেখা বিশ্বজিৎ আর সন্ধ্যা রায়ের প্রথম ছবি। তবে কেন্দ্রীয় চরিত্রটা ছিল উত্তমকুমারের। যাহোক, সন্ধ্যা রায়ের ঠোঁটে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ‘বাক বাকুম পায়রা...’ গানটি এখনো আমার কানে লেগে আছে।
ওই ছবিটির একটি সংলাপ এখনো ভুলতে পারিনি। উত্তমকুমার বিশ্বজিৎকে বলছেন, ‘দাদাবাবু, কেউ জেনে মূর্খ আর কেউ না জেনে মূর্খ।’ তখন অতশত বুঝিনি, কারণ একটা অর্থ ধরে নিয়েছিলাম। এখন মনে হয় কথাটি ছিল বেশ ওজনদার। এর গূঢ় অর্থ আমরা কজনই-বা বুঝি।
আমরা সবাই সবটা জানি না, সবকিছু বুঝি না। আমাদের সবারই কমবেশি সীমাবদ্ধতা আছে। এক জীবনে সবকিছু জানা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরও আমরা অনেক সময় সবজান্তার ভান করি, পরম বিজ্ঞের মতো সবক দিই। আবার মাঝেমধ্যে এমন মন্তব্য করি, যা হলো অতি সরলীকৃত। যাকে বলে সুইপিং রিমার্ক। তবে সবকিছুরই ব্যতিক্রম আছে। ওই ব্যতিক্রমটা যখন ঘটে যায়, আমরা তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে তেমন গুরুত্ব দিই না। বলে দিই যে ব্যতিক্রম তো সাধারণ নিয়মে পড়ে না, সুতরাং ওটা নিয়ে আলোচনার কী আছে। কিন্তু কখনোসখনো ব্যতিক্রমও জাজ্বল্যমান উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়। তখন তাকে আর জন-আলোচনা থেকে হটিয়ে দেওয়া যায় না। সে রকম বিশিষ্টতা পাওয়া একটি উদাহরণ হলো ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন। সে কথায় পরে আসছি।
ঘটনাচক্রে আলাপ হলো ষাটের দশকের চট্টগ্রামের ডাকাবুকো ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আবদুল মোবারকের সঙ্গে। তিনি আমার বয়োজ্যেষ্ঠ এবং দীর্ঘদিন সরকারি চাকরি করে অবসরে গেছেন। পরে নির্বাচন কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পরিচয়। মুশতাক একদিন বলল, মোবারক ভাই আমার সাম্প্রতিক বইগুলো পড়েছেন এবং আমার সঙ্গে আলাপ করতে আগ্রহী। প্রথম আলোয় কলাম পড়ে মোবারক সাহেবও আমাকে একটা ই-মেইল করে সাক্ষাতের আগ্রহ জানালেন। শেষমেশ দেখা হলো। হলো জমজমাট আড্ডা। একপর্যায়ে আড্ডায় যোগ দিল আমাদের আরেক বন্ধু রায়হান ফিরদাউস। ১৯৭০-এর দশকের শুরুর বছরগুলোতে মুশতাক, রায়হান ও আমি একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস একসঙ্গে দাপিয়ে বেড়িয়েছি। অতীতের জাবরকাটায় আনন্দ আছে। আমাদের একটা বিকেল একসঙ্গে খুব ভালো কাটল।
২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে কথা উঠল। কথা হলো ভোটার টার্ন আউট নিয়ে। যেহেতু মোবারক সাহেব ওই সময় নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, সুতরাং তাঁর মন্তব্য জানতে আমার আগ্রহ হলো। কথা হলো বিনা ভোটে জেতা সদস্যদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে। উনি একটা তথ্য দিলেন, যা আমার জানা ছিল না। আমরা সচরাচর বর্তমান এবং নিকট অতীত নিয়ে এতটাই আবিষ্ট থাকি যে দূরবর্তী অতীত নিয়ে ভাবার সময় কিংবা আগ্রহ থাকে না। তিনি বললেন, ১৯২০ সালে ভারতে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৭৮ জন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় কংগ্রেস নেতা মহাত্মা গান্ধী নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফলে অনেক জায়গায় নির্বাচন হয়েছিল একতরফা। অনেক জায়গায় ভোটের দরকার পড়েনি।
১৯২০ সালের পর এ দেশে অনেকবার নির্বাচন হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকেই বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জনের বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে যাওয়াটা চোখে লাগে। কেননা, নিকট অতীতে এ রকম অভিজ্ঞতা আমাদের হয়নি। এই নির্বাচনের পটভূমি নিয়ে আলাপ-আলোচনায় আড্ডা জমে উঠল এবং আমি চিন্তার কিছু খোরাক পেলাম।
১৯৪৭ সালে আমাদের বাপ-দাদারা যখন দেশটা স্বাধীন করলেন, তারপর এ দেশে প্রাদেশিক নির্বাচন হলেও পাকিস্তানজুড়ে প্রথমবার সাধারণ নির্বাচন হলো ১৯৭০ সালে। প্রথম নির্বাচন, তার ওপর স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলনের জোয়ার—সব মিলিয়ে মানুষের আগ্রহ ও আবেগের কোনো সীমা ছিল না। ওই সময় মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) একটি অংশ নির্বাচন বর্জন করেছিল। সেই পথ ধরে আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান ন্যাশনাল লীগও নির্বাচন বর্জন করেছিল। মাওলানার ওপর তখন পিকিংপন্থী কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর আসর ছিল ভয়ানক রকমের। তখন ওরা গণসংগঠন ও নির্বাচন বর্জনের রাজনৈতিক লাইন অনুসরণ করেছিল। পিকিংপন্থী ছাত্র ইউনিয়ন ১৯৭০ সালের ডাকসু নির্বাচনও বয়কট করেছিল। তখন ওদের স্লোগান ছিল, ‘নির্বাচন না বর্জন—বর্জন বর্জন’। সত্তরের নির্বাচনের সময় তাঁরা অনেকেই স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো’ কিংবা ‘ভোটের আগে ভাত চাই’। তাঁদের বয়কটের ডাক সত্তরের নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলেনি। মাওলানা কেন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে রহস্যের জট এখনো খোলেনি।
স্বাধীন বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে দশবার। প্রথম দুটো সংসদ উর্দিধারীরা ভেঙে দিয়েছিলেন। সংসদ মেয়াদ পুরো করতে পারেনি। কিন্তু এরপর যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, তার বেশ কয়েকটায় বর্জনের হুংকার শোনা গেছে—যেমন ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯৬ (১৫ ফেব্রুয়ারি) ও ২০১৪। এসব নির্বাচনের পর যে সংসদ বসেছে, তার সব কটিই ছিল ক্ষণস্থায়ী। ২০১৪-এর ফসল এখনো সংসদে বহাল তবিয়তে টিকে আছে।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনে মূলধারার অন্যতম প্রধান দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। সংসদ টিকেছিল বছরখানেক। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে মূলধারার প্রায় সব দলই নির্বাচন বর্জন করেছিল। ওই সংসদ টিকেছিল দুই বছর। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচিত সংসদ মার্চ মাস অবধি বেঁচে ছিল। এই তিনটি নির্বাচনের পটভূমি, প্রক্রিয়া ও ফলাফল আলোচনা করলে একটা উপসংহার হয়তো বেরিয়ে আসে যে মূলধারার বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচিত সংসদ টেকসই হয় না।
শুধু অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার কারণেই কি সংসদ টেকসই হয়নি? আমার মনে হয়, এ ছাড়া একটা বড় কারণ আছে। এসব নির্বাচন ও নির্বাচিত সংসদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ছিল এবং আন্দোলন হয়েছিল। সংসদ আপনা-আপনি বিলুপ্ত হয়নি। তাদের মহাপ্রস্থানের পথে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। ১৯৮৬ সালের নির্বাচিত সংসদে আওয়ামী লীগকে জোর করে বিরোধী দলের বেঞ্চে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য যে কৌশলই নিয়ে থাকুক না কেন, তা তাদের যথেষ্ট ডিভিডেন্ড দেয়নি। ফলে এক বছর পরেই তাঁরা সবাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন এবং ওই সুযোগে রাষ্ট্রপতি এরশাদ সংসদ ভেঙে দেন।
১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি, জাসদ (রব), জাসদ (শাজাহান সিরাজ), ফ্রিডম পার্টি—এ-জাতীয় খুচরাখাচরা কিছু দল অংশ নিলেও মানুষের কাছে এটা তামাশার চেয়ে বেশি কিছু ছিল না। প্রচণ্ড গণ-আন্দোলনের ফলে এবং সেনাবাহিনী মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। তাঁর অনেক মন্ত্রী জনরোষ থেকে বাঁচতে আত্মগোপন করেছিলেন। এমনকি বিরোধী দলের নেতাও পলাতক ছিলেন বেশ কিছুদিন। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, গণ-আন্দোলনে সরকারের পতন হলে মানুষ বিরোধী দলের খোঁজ করে। তাদের নিয়ে সরকার গঠন করে। ১৯৯০-এর গণ-আন্দোলনে আমরা ইতিহাস তৈরি হতে দেখলাম—সরকারের লোকেরাও ভাগোয়াট, বিরোধী দলও লাপাত্তা।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি অংশ নেয়নি। কেননা তার আগে থেকেই তারা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। বিএনপি ও ফ্রিডম পার্টি ছাড়া মোটামুটি সব দলই এই আন্দোলনে এককাট্টা ছিল। আন্দোলনের ফলেই সংসদের আয়ু ফুরিয়ে এসেছিল। বিএনপি অবশ্য ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলে থাকে, আগের সংসদে তাদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ছিল না বিধায় নিয়ম রক্ষার জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কোনো বিকল্প ছিল না। কথাটা সর্বাংশে সত্য নয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচিত সংসদ বিরোধী দলের সমর্থন নিয়ে সংবিধান সংশোধন করতে পারত। নিয়ম রক্ষার অজুহাত তুলে জনগণের টাকা নষ্ট করে আরেকটা নির্বাচন করার দরকার ছিল না। বিরোধী দলগুলো তাদের দাবির পক্ষে গণজোয়ার তৈরি করতে না পারলে ১৫ ফেব্রুয়ারির সংসদ বহাল থাকত, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। মোদ্দা কথা হলো, গণ-আন্দোলন এমন একটা জিনিস, যা ক্ষমতাসীনদের ভিত নড়বড়ে করে দিতে পারে এবং একসময় ক্ষমতার পালাবদল ঘটিয়ে দেয়। ১৯৯৬ সালে এমনটিই ঘটেছিল।
২০১৪ সালের নির্বাচনে মূলধারার অন্যতম প্রধান দল বিএনপি এবং তার সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি। তারা নির্বাচন বয়কট করেছিল, এমনকি প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছিল। তারপরও আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনটি যথাসময়ে অনুষ্ঠান করতে পেরেছিল। অনেক আসনে ভোট হয়নি, বাকিগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল নামমাত্র। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ ওই সময় বলেছিলেন বলে শোনা যায়, ’৯৬-এর ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো এটাও এক নিয়মরক্ষার নির্বাচন। তাঁরা পরে ওই অবস্থা থেকে সরে এসেছেন। পরে তাঁরা দেখলেন, তাঁদের সংসদ টিকে গেছে। বিদেশিরা একটু গাঁইগুঁই করলেও মেনে নিয়েছে, লেনদেন অব্যাহত রেখেছে। ওই সময় অনেককেই বলতে শুনেছি, এই সরকারের আয়ু বড়জোর ছয় মাস, খুব বেশি হলে এক বছর। এসব পূর্বাভাস কোনো কাজে আসেনি। এখন প্রশ্ন হলো, বয়কটের গন্ধ থাকার কারণে আগের তিনটি নির্বাচিত সংসদ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লেও ২০১৪ সালের সংসদ কোন মন্ত্রবলে টিকে গেল। আমার সরল মন্তব্য হলো, আগের তিনবার যা দেখা গিয়েছিল, এবার তা অনুপস্থিত—অর্থাৎ সংসদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন নেই।
যাঁরা লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করেন, কথাবার্তা বলেন, তাঁরা সহজেই টের পান যে এই সংসদ নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে অস্বস্তি তো আছেই, জনমনে রয়ে গেছে বিরাট প্রশ্ন। একাধারে দুই মেয়াদে সরকারে থাকার কারণেই সরকারের কর্তাব্যক্তিদের বাড়াবাড়ি ও অসহিষ্ণু আচরণ কোনো লুকানো ব্যাপার নয়। মানুষের মধ্যে নানা কারণে অনেক ক্ষোভ জমেছে। বিরোধী দল অর্থাৎ বিএনপি এবং তার মিত্রদের ওপর সরকারি দলের লোকজন এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো নানা সময়ে নানা জায়গায় চড়াও হয়েছে। বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। এসবই সত্য। কিন্তু মুখ্য বিষয় হলো বিএনপির পক্ষে সহানুভূতির পারদ জনগণের মনে যতই ওপরে উঠুক না কেন, বিএনপি তো জনগণকে পথে নামাতে পারছে না। প্রেসক্লাবের দোতলায় কিংবা তোপখানা রোডে অথবা কাকরাইলে দলের অফিসের সামনে বা ভেতরে সাংবাদিক ডেকে কিংবা মানববন্ধন করে তারা যতই হম্বিতম্বি করুক না কেন, তাদের পক্ষে গণজোয়ার তো তৈরি হচ্ছে না। ফলে ২০১৪ সালের সংসদ প্রথম বছরটি বাদ দিলে বাকি সময়টা মোটামুটি নির্বিঘ্নেই পার করেছে। ধারণা করা যায়, এই সংসদ তার মেয়াদ পুরো করবে।
আমাদের নির্বাচনের রাজনীতির ইতিহাসে এই প্রথমবার দেখলাম, মূলধারার রাজনৈতিক পরাশক্তি নির্বাচন বর্জন করে রাজনীতিতে মুনাফা তুলতে পারল না। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে আলোচনা কিংবা বিতর্ক আছে কি না, থাকলে তার আকার ও প্রকার কী, তা আমার জানা নেই। ১৯৭৬ সালে জাসদ যখন রাষ্ট্রশক্তির উপর্যুপরি আক্রমণে ছন্নছাড়া, দিশেহারা, তখন ইংরেজি সাপ্তাহিক হলিডে একটি সম্পাদকীয় ছেপেছিল। জাসদের রাজনীতি নিয়ে সম্পাদকীয় শিরোনাম ছিল—পলিটিক্যাল হারিকিরি (রাজনৈতিক আত্মহত্যা), পরাজয় নিশ্চিত জেনে একপর্যায়ে এসে নিজের বুকে নিজেই ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার এই সনাতন জাপানি প্রথায় আত্মহত্যাকারী একধরনের সান্ত্বনা পেতেন। আত্মহত্যার মধ্যেও গৌরব খুঁজতেন। কিন্তু আমাদের এখানে কী হচ্ছে? এর জবাব বিএনপি ভালো দিতে পারবে।
মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক।
mohi2005@gmail.com