মহামারি, জনস্বাস্থ্য ও রবীন্দ্রনাথ
করোনাকালের অতিমারির সময়েও দারুণ প্রাসঙ্গিক রবীন্দ্রনাথ। শতবর্ষ আগে কলেরা, প্লেগ, ম্যালেরিয়াসহ নানা রকম মহামারিতে বাংলা যখন বিপর্যস্ত, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নকল্পে তখন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কবি। আগামীকাল রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে চোখ ফেরানো যাক তাঁর সেই অনালোচিত ভুবনে।
‘শমী যে রাত্রে চলে গেল তার পরের রাত্রে রেলে আস্তে আস্তে দেখলুম জ্যোৎস্নায় আকাশ ভেসে যাচ্ছে, কোথাও কিছু কম পড়ছে তার লক্ষণ নেই। মন বললে, পড়ে নি সমস্তর মধ্যে সবই গেছে, আমিও তার মধ্যে। সমস্তের জন্যে আমার কাজও বাকি রইল।’ ১৯০৭ সালে মহামারি কলেরায় কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথকে হারানোর পর এভাবেই শোককে শক্তির ভাষায় রূপান্তর করে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মহামারির প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছিল তাঁর ব্যক্তিজীবনে ও স্রষ্টাজীবনে। তাঁর চিঠিপত্র, প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, উপন্যাসে প্রাসঙ্গিকভাবে উঠে এসেছে ‘মহামারি’। এর বাইরে একজন সক্রিয় জনস্বাস্থ্যকর্মী হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। সাম্প্রতিক করোনা সংকটে তাই লড়াইয়ের প্রেরণা হতে পারেন রবীন্দ্রনাথ।
১৮৯৮ থেকে ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ভারতে প্লেগ বিরাট আকার ধারণ করে। কলকাতায় এর প্রভাব মারাত্মক হয়ে ওঠে। আতঙ্কের নানা খবরে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কলকাতায়। ১৮৯৮-এর ৪ মে অমৃতবাজার পত্রিকায় প্রকাশ পায় এমনই একটি প্রতিবেদন, ‘আতঙ্কের রূপ অদৃষ্টপূর্ব। আর কখনো কলকাতার বিপুল জনসংখ্যা এইরকম প্রবলভাবে আন্দোলিত হয়নি। যেসব জেনানার মুখ “সূর্যও দেখেনি”, তাঁরাও শহরের পথের উপর দিয়ে দৌড়েছেন, বা ট্রামে-চড়ে পালাতে চেয়েছেন।...গত কয়েকদিনের বিপুলসংখ্যক মানুষের পলায়ন, সেইসঙ্গে দোকানপাট বন্ধ এবং পথে গাড়ি-ঘোড়ার অনুপস্থিতি সব মিলিয়ে কলকাতা পরিত্যক্ত নগরীর চেহারা ধরেছিল।’
প্লেগ ঠেকাতে ব্রিটিশ সরকার টিকা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু তীব্র ইংরেজ-বিদ্বেষ, গুজব, রোগ-ভীতি, পর্দানশিন সাধারণের অন্দরমহলে বাইরের লোকের প্রবেশ ইত্যাদি নানা কারণে সাধারণ মানুষ খেপে উঠেছিল। এমনকি রামকৃষ্ণ মিশন থেকে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হলে মঠের সন্ন্যাসীদের ওপরে আক্রমণও হয়। স্বামী বিবেকানন্দ যেদিন দার্জিলিং থেকে ব্যাগপত্র নিয়ে কলকাতায় আসেন, রাস্তার মানুষ তাঁর প্রতিও মারমুখী হয়ে ওঠে। স্বামীজির ব্যাগে নাকি প্লেগের টিকা আছে। অবশেষে হাত জোড় করে স্বামীজিকে বলতে হয় যে তিনি ফকির মানুষ, বিদেশ থেকে ফিরছেন।
এই বাস্তবতায় কলকাতার নাগরিকদের সচেতন করতে রবীন্দ্রনাথও উদ্যোগী হয়েছিলেন। ঠাকুরবাড়ির প্রায় সব সদস্যই তাতে অংশ নেন। ক্যালকাটা নোটস–এ ভগিনি নিবেদিতা লিখেছেন, ‘কিছু মহৎ হিন্দু পরিবার বিশেষত ঠাকুরবাড়ি গণউত্তেজনা প্রশমনে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছিল।’ ঠাকুরবাড়ি যখন প্লেগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, সে সময়েই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুকন্যা প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
শুধু প্লেগ নয়, কলেরা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মহামারিতেও রবীন্দ্রনাথ সক্রিয় ভূমিকা নেন। ১৯১৫ সালে বাংলায় কলেরা মারাত্মক আকার নেয়। এর কয়েক বছর পরে যখন ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির আকার নেয়, তখন রবীন্দ্রনাথ কবিরাজের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। শান্তিনিকেতনে এই ফ্লু যাতে না ছড়াতে পারে, সে জন্য তিনি ‘পঞ্চতিক্ত’ পাচন খাইয়েছিলেন প্রত্যেককে। বন্ধু জগদীশচন্দ্রকে এই পাচনের কথা জানিয়ে তিনি একটি পত্রে লিখেছিলেন, ‘বৌমার খুব কঠিন রকম ন্যুমোনিয়া হয়েছিল। অনেক দিন লড়াই করে কাল থেকে ভাল বোধ হচ্ছে।...কিন্তু ছেলেদের মধ্যে একটিরও ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়নি। আমার বিশ্বাস, তার কারণ, আমি ওদের বরাবর পঞ্চতিক্ত পাঁচন খাইয়ে আস্ছি।...আমার এখানে প্রায় দুশো লোক, অথচ হাসপাতাল প্রায়ই শূন্য পড়ে আছে এমন কখনও হয় না—তাই মনে ভাবচি, এটা নিশ্চয়ই পাঁচনের গুণে হয়েচে।’ এই পাচন ছিল নিম, গুলঞ্চ, বাসক, পলতা ও কন্টিকারির মিশ্রণ।
১৯২৯ সালে এক চিঠিতে তিনি প্রশান্ত মহলানবীশকে লিখেছিলেন, ‘তুমি তো জান আমি চিকিৎসাবায়ুগ্রস্ত।’ বহু ডাক্তারি বই তিনি খুঁটিয়ে পড়েছেন, আর নিজের ওপরে ও আত্মীয়-বন্ধুর ওপরে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি করা তাঁর প্রায় নেশাই ছিল। শান্তিনিকেতনের ছাত্র ও গ্রামের গরিব মানুষদের ওপরেও নিয়মিতভাবে ডাক্তারি করেছেন এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে তাদের সচেতন করেছেন।
ব্রিটিশ শাসনেই প্রথম আধুনিক অর্থে জনস্বাস্থ্যের ভিত্তি স্থাপিত হয়। কিন্তু সত্যিকারের ‘জন’কে যথাসম্ভব দূরে সরিয়ে রেখে গড়ে তোলা হয় সেই ‘জনস্বাস্থ্য’। ভারতের নাগরিক তখনো কেউ ছিল না, ছিল মহারানির দুর্ভাগা প্রজা। এই ‘জনস্বাস্থ্যে’ তারা ছিল বহিরাগত। শান্তিনিকেতনে, বিশেষ করে শ্রীনিকেতনে, রবীন্দ্রনাথ পল্লিগঠনের যে কাজ হাতে নিয়েছিলেন, তার মধ্যে তাঁর স্বাস্থ্যবিষয়ক, বিশেষত জনস্বাস্থ্যবিষয়ক চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর পল্লি উন্নয়নের মডেলে স্বাস্থ্য উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছিল। পরিকল্পনার একটা মৌলিক এলাকা ছিল স্বাস্থ্য। জনস্বাস্থ্য কথাটা তখনো এমন চালু হয়নি, হলে হয়তো রবীন্দ্রনাথ ওই কথাটাই ব্যবহার করতেন। তিনি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কাজের যে জায়গাগুলো তৈরি করেছিলেন, সেগুলোর মধ্যে ছিল ম্যালেরিয়া বিতাড়ন, স্যানিটারি ক্ষেত্রে উন্নতি, প্রসব (মা ও শিশুর যত্ন) ও কুষ্ঠরোগের বিরুদ্ধে কার্যক্রম। প্রশিক্ষণে ছিল ধাত্রী প্রশিক্ষণ।
রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন, মহামারি-পীড়িত গ্রামকে বাঁচাতে শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় কাজ হবে না। তাই ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনের কাছে ম্যালেরিয়াগ্রস্ত জনপদে পথে নামলেন তিনি, ধারাবাহিক প্রচেষ্টার জোরে গ্রামবাসীর মনে গেঁথে দিলেন সাহস ও বিশ্বাস। ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, দেশি-বিদেশি ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে পল্লিতে পল্লিতে খোলা হলো সেবাকেন্দ্র। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত গ্রামকে সুস্থ করতে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী হলেন দক্ষ জীবাণু বিশেষজ্ঞ, দ্য সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া সোসাইটির সেক্রেটারি গোপালচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও আমেরিকার রেকফেলার ফাউন্ডেশনের ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় পরিদর্শক ডাক্তার জে এফ কেন্ড্রিক। অ্যান্টি–ম্যালেরিয়া সোসাইটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘গোপালবাবু যে কাজে প্রবৃত্ত হয়েছেন, তাতে লোকে এই কথা বুঝতে পারবে যে, পাশের লোকের বাড়ির ডোবায় যে মশা জন্মায়, তারা বিনা পক্ষপাতে আমারও রক্ত শোষণ করে, অতএব তার ডোবায় সংস্কার করা আমারও কাজ।’
নির্বাচিত যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই সময়ের করোনাযুদ্ধে সক্রিয় কর্মীরা রবীন্দ্রভাবনারই মূর্ত রূপ যেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, বাইরে থেকে মানুষের প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটানো যায় না, বরং নিজের সমস্যাকে চিনতে পারার চেতনা তাদের মধ্যে জাগিয়ে তুললে সংক্রমণ সম্পর্কে অশিক্ষিত, দৈববিশ্বাসী গ্রামগুলো সচেতন হবে। গ্রামীণ জনপদে এই গণচেতনার জাগরণ ও বিস্তারে সফল হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯২৯ সালে শ্রীনিকেতনের আশপাশের ১১৪টি গ্রামে ব্রতী বালকদের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ। জিতেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রধান চিকিৎসক। তাঁর উদ্যোগে গ্রামের ৬ হাজার ৭৬০ জন মানুষ সে বছর ওষুধ নিতে এসেছিলেন। ব্রতী বালকদের নিয়ে তিনি আর তাঁর সহযোগীরা গ্রামে গ্রামে গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে মানলে রোগের প্রকোপ কমবে, তা হাতে ধরে গ্রামবাসীকে বুঝিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যেকোনো সময়ে যেকোনো রোগ মহামারির আকার নিতে পারে। সহজ পাঠ–এ রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘আজ মঙ্গলবার। জঙ্গল সাফ করার দিন।’ এটি শুধু শিশুপাঠ্য বইয়ের কথা নয়, বাস্তব জীবনেও তাঁর কাছে বিষয়টির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।
শান্তিনিকেতনে এসে তাঁর কাজ দেখে মুগ্ধ হন বিশ্ব ম্যালেরিয়া নিবারণে সক্রিয় মার্কিন ডাক্তার জে এফ কেন্ড্রিক। সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে পরে তাঁর কাছে ‘মডেল’ হয়ে উঠেছিল রবীন্দ্রনাথের ভাবনা। প্রত্যন্ত গ্রামীণ স্তরে বেসরকারি উদ্যোগে মহামারি প্রতিরোধে রবীন্দ্রনাথ স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর জোর দিয়েছিলেন, সক্রিয় ছিলেন বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মী সংগ্রহেও। শান্তিনিকেতনের চার পাশে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কাজ করেছিলেন লেনার্ড এলমহার্স্ট, ডাক্তার হ্যারি টিম্বার্স প্রমুখ। নিজেদের শ্রম ও অর্থ বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও অর্থ সংগ্রহ করে রবীন্দ্রনাথের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা।
১৯৭৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আলমা-আটায় এক সম্মেলনে ঘোষণা করে, ‘জনগণের নিজস্ব স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিকল্পনা ও রূপায়ণে তাদের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে অংশগ্রহণের অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে।’ রবীন্দ্রনাথও ‘পল্লীর উন্নতি’ প্রবন্ধে বলেছিলেন,‘আজ এই কথা পল্লীকে বুঝতেই হবে যে, তোমাদের অন্নদান জলদান বিদ্যাদান স্বাস্থ্যদান কেউ করবে না। ভিক্ষার উপরে তোমাদের কল্যাণ নির্ভর করবে এতবড়ো অভিশাপ তোমাদের উপর যেন না থাকে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা ও রবীন্দ্রনাথের বক্তব্যের মর্মার্থ অভিন্ন। ভিক্ষার ওপর জনস্বাস্থ্য নির্ভর করবে না। জনস্বাস্থ্য জনগণের অধিকার। জনস্বাস্থ্য নিয়ে তাঁর চিন্তার মূল জায়গাটাই ছিল ‘জন’–এর শিক্ষা। এমন শিক্ষা যা মানুষকে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে, নিজের ভালো-মন্দ নিজে বুঝে নিতে সাহায্য করে।
করোনা মহামারির মধ্যে অর্থনীতি সংকুচিত হলেও বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে। সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে (প্রথম আলো, ২৭ এপ্রিল)। জনস্বাস্থ্যের জন্য এ প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিস্ময়কর লাগে ভাবতে যে সামরিক ব্যয়ের সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের উন্নতির ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক রবীন্দ্রনাথ শতবছর আগেই দেখিয়ে গেছেন। ‘ভারতবর্ষে সমবায়ের বিশিষ্টতা’ প্রবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, ‘ডেনমার্কের একটি মস্ত সুবিধা এই যে, সে দেশ রণসজ্জার বিপুল ভারে পীড়িত নয়। তার সমস্ত অর্থই প্রজার বিচিত্র কল্যাণের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে নিযুক্ত হতে পারে। প্রজার শিক্ষা স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সম্পদের জন্যও আমাদের রাজস্বের ভারমোচন আমাদের ইচ্ছাধীন নয়।’
গায়ের জোরে আইন করে বাইরে থেকে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করার প্রক্রিয়া ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। আজকের স্বীকৃত পদ্ধতি হলো সমাজের মধ্য থেকে মানুষের চিন্তাপ্রক্রিয়ার মধ্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে, সামাজিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো। রবীন্দ্রনাথের জনস্বাস্থ্য ভাবনার এটিই মূল কথা। বিদ্যমান মহামারি করোনা মোকাবিলায় সামাজিক প্রচেষ্টাকে জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে সমাজদেহকে সক্রিয় অংশীদার করার রাবীন্দ্রিক প্রয়াসটি আজ তাত্ত্বিকভাবে পাশ্চাত্য মেডিসিনের তথা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্বীকৃত দর্শন।