পঁচাত্তরের অস্থির সময়: ইতিহাসের খসড়া

‘পঁচাত্তরের অস্থির সময়: ৩ থেকে ৭ নভেম্বরের অকথিত ইতিহাস’ বইয়ের প্রচ্ছদ

১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অদ্ভুত, নাটকীয় ও উত্তেজনাকর সময়। এ সময়ে সংঘটিত সহিংস ঘটনাবলির উত্তাপ বা আঁচ দেশের মানুষ অনুভব করেছে বটে, কিন্তু এর কার্যকারণ সম্পর্কে তারা ছিল প্রায় অন্ধকারে। এই কদিনে সেনানিবাস, বঙ্গভবন, কেন্দ্রীয় কারাগার, বিমানঘাঁটিসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, গ্রেপ্তার, পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও দেশত্যাগের মতো যে ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটে গেল, তার কুশীলব কে বা কারা, তাদের উদ্দেশ্য ও অভীষ্ট কী, সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল না। যেটুকু ছিল, তা-ও অস্পষ্ট। এমনকি ওই সময় অন্তত দিন দুয়েক সরকারি বক্তব্য প্রচারের প্রধান মাধ্যম বেতারকেন্দ্রও ছিল নিশ্চুপ। ফলে আতঙ্কিত নাগরিকদের মধ্যে প্রকৃত তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছিল গুজব ও বিভ্রান্তি। সেই অস্পষ্টতা বা বিভ্রান্তি এখনো পুরোপুরি কেটেছে বলে মনে হয় না। সেদিক থেকে মতিউর রহমান সম্পাদিত ‘পঁচাত্তরের অস্থির সময়: ৩ থেকে ৭ নভেম্বরের অকথিত ইতিহাস’ বইটি ভ্রান্তিমোচনের প্রকৃত প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হবে।

কালের কুজ্ঝটিকা সরিয়ে প্রকৃত তথ্য ও সত্যকে বের করে আনার কাজে সাংবাদিক ও সম্পাদক মতিউর রহমান ব্রতী হয়েছিলেন নব্বইয়ের দশকের শেষ দিক থেকে। তথ্য ও দলিল সংগ্রহের পেছনে দীর্ঘ সময় ও শ্রম ব্যয় করেছেন তিনি, পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ও মতামত যুক্ত করে এসব ঘটনার নানা মাত্রা তুলে ধরেছেন। ভোরের কাগজের সম্পাদক থাকাকালে তিনি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে এই ঘটনাবলির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের স্মৃতিচারণা প্রকাশ করেছেন। তবে এসব ঘটনা সম্পর্কে সম্পৃক্ত সবার দৃষ্টিভঙ্গি যেমন এক ছিল না, তেমনি তাঁদের ব্যাখ্যা ও বয়ানও অভিন্ন নয়। যেমন কর্নেল শাফায়াত জামিল বীর বিক্রম তাঁর লেখায় ১৫ আগস্ট সপরিবার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত উচ্ছৃঙ্খল কিছু অফিসারকে শায়েস্তা করার যথার্থ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করেন ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানকে। তিনি লিখেছেন, ‘এই বর্বর গোষ্ঠীকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আমরা উত্খাত করি ’৭৫ সালের ৩ নভেম্বর।’ ৭ নভেম্বরের কথিত সিপাহি বিপ্লবকে তিনি চক্রান্ত ও হঠকারিতার বেশি কিছু ভাবতে পারেননি। তাঁর মতে, ‘মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি সেনানায়ক খালেদ মোশাররফ এবং বীর সেনানী কর্নেল হুদা চক্রান্তের শিকার হয়ে ৭ নভেম্বর নির্মমভাবে নিহত হন। এঁদের আত্মত্যাগেই জাতি একদল খুনির হাতে জিম্মি হয়ে থাকা অবস্থা থেকে মুক্তি পায়। এদিকে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হায়দার, আরও ১০-১২ জন অফিসার (একজন মহিলা ডাক্তারসহ) এবং একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী নিহত হন ৭ তারিখ এবং তত্পরবর্তী কয়েক দিনে।’

 ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন কর্নেল শাফায়াত জামিল বীর বিক্রম। অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেছেন:

 ক. সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

 খ. ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করা।

 গ. সংবিধানবহির্ভূত অবৈধ সরকারের অপসারণ, এবং

 ঘ. ৬ মাসের মধ্যে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির অধীনে গঠিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।

 শাফায়াত জামিলের বর্ণনা ও ব্যাখ্যার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায় ক্যাপ্টেন হুমায়ুন কবির বীর প্রতীকের বক্তব্য। তিনিও ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থান এবং এর পুরোধা খালেদ মোশাররফের উদ্যোগকে যথার্থ বলে উল্লেখ করেছেন। এর পেছনে ‘ভারতীয় মদদের’ অভিযোগকে নাকচ করেছেন তিনি।

এই গ্রন্থের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য উভয় ধরনের বক্তব্য হাজির করে পাঠকের হাতেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়নের ভার তুলে দেওয়া। সম্পাদক মতিউর রহমান স্মৃতিচারণার জন্য যেমন ভিন্নমতাবলম্বীদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তেমনি মতামত হিসেবেও ছেপেছেন ভিন্নমত ও আদর্শের লেখকদের লেখা। যেমন নভেম্বরের মূল ঘটনা অবিকৃত রেখেও মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি ও মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক ঘটনাবলির মূল্যায়ন করেছেন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। সেই তুলনায় আসিফ রশীদ, মিজানুর রহমান খান ও আব্দুল কাইয়ুমের লেখায় সাংবাদিকের নির্মোহ দৃষ্টি ও নিরপেক্ষ অবস্থান লক্ষণীয়। তথ্য-উপাত্ত ও দলিলের ভিত্তিতে তাঁরা ঘটনা পরম্পরা তুলে ধরেছেন।

 অন্যদিকে বিপ্লবী ‘সৈনিক সংস্থা’র সভাপতি নায়েব সুবেদার মাহবুবুর রহমান ও কর্নেল তাহেরের বড় ভাই আবু ইউসুফ খান বীর বিক্রমের লেখায় পাওয়া যায় ভিন্ন ভাষ্য। কথিত সিপাহি–জনতার বিপ্লবের সামনের সারির নেতা ও সংগঠক ছিলেন এই দুজন। সেনাবাহিনীর ভেতর সিপাহিদের গোপন সংগঠন গড়ে তোলার কারণ মাহবুবুর রহমান ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর যে সামরিক বাহিনী গড়ে ওঠে, তার ওপর আওয়ামী লীগ সন্তুষ্ট ছিল না বলে প্রচার ছিল। এমনও প্রচার ছিল যে ভারত কিছুতেই চায় না এ দেশে একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে উঠুক। যদি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে ওঠে, তাহলে ভারত বাংলাদেশের ওপর কোনো কর্তৃত্ব করতে পারবে না।’ বোঝা গেল, ভারতবিরোধী মনোভাবাপন্ন এবং আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষুব্ধ সৈনিকদের গোপনে দলে টেনে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা হয়েছিল। রাজনৈতিক সংগঠন জাসদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল, কারণ মাহবুবুর রহমানের ভাষায়, ‘সিরাজ সিকদারকে বন্দী অবস্থায় মারার পর সে সময় একমাত্র দল জাসদ, যারা আওয়ামী লীগ ও ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলত। আমরা মনে মনে ভাবতে লাগলাম, জাসদই বুঝি একমাত্র সঠিক দল।’

 খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন বলে ধরে নিয়েছিলেন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ—এটা মাহবুবুর রহমানের ভাষ্যে আমরা জানতে পারি। এতে ভারতীয় ইন্ধনের সূত্র সন্ধানও করেছিলেন তাঁরা।

 আবু ইউসুফ খানের লেখায় ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানে কর্নেল তাহেরের ভূমিকা, সিরাজুল আলম খান, হাসানুল হক ইনুসহ জাসদ নেতাদের তত্পরতা ইত্যাদি যেমন বর্ণিত হয়েছে, তেমনি ক্যান্টনমেন্টে আটক জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে কর্নেল তাহেরের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর মতে, মোশতাককে সরকারপ্রধান হিসেবে মানতে রাজি ছিলেন না তাহের। ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ তত্কালীন রাষ্ট্রপতি মোশতাককে সরিয়ে বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। এই ব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রেখে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক করে তিন মাসের মধ্যে একটি ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের’ প্রস্তাব করেছিলেন তিনি। তখন পর্যন্ত কর্নেল তাহেরের একটা প্রভাব ছিল জিয়াউর রহমানসহ অন্যদের মধ্যে। কিন্তু সেটা অটুট রইল না। আবু ইউসুফ খান লিখছেন, ‘...অথচ পরমুহূর্তে আমরা এ জন্য যাকে এক্সপোজ করলাম, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন যিনি, সেই জিয়াউর রহমানই আর আমাদের সঙ্গে থাকলেন না। এটাই আমাদের মূল ব্যর্থতা।’

 ৩ থেকে ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলির সঙ্গে সম্পৃক্তদের স্মৃতিচারণায় যে বিষয়টি আমাদের সামনে উঠে আসে তা হলো, এঁদের কেউ মনে করেন, ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের ফলে হত্যাকারীদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করা হয়েছে, আবার কেউ মনে করেন, খালেদ মোশাররফ ছিলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তিনি নিজের পদোন্নতি ও অন্য কোনো সুযোগের সন্ধানে ভারতের সহায়তায় এই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিলেন। ৭ নভেম্বরের ক্ষেত্রেও কেউ একে সিপাহি বিপ্লব বলে আখ্যায়িত করেছেন, আবার কেউ চূড়ান্ত হঠকারী উদ্যোগ ও সেনাবাহিনীর ভেতর চরম বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস মনে করেছেন।

 এই গ্রন্থের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য উভয় ধরনের বক্তব্য হাজির করে পাঠকের হাতেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়নের ভার তুলে দেওয়া। সম্পাদক মতিউর রহমান স্মৃতিচারণার জন্য যেমন ভিন্নমতাবলম্বীদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তেমনি মতামত হিসেবেও ছেপেছেন ভিন্নমত ও আদর্শের লেখকদের লেখা। যেমন নভেম্বরের মূল ঘটনা অবিকৃত রেখেও মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি ও মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক ঘটনাবলির মূল্যায়ন করেছেন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। সেই তুলনায় আসিফ রশীদ, মিজানুর রহমান খান ও আব্দুল কাইয়ুমের লেখায় সাংবাদিকের নির্মোহ দৃষ্টি ও নিরপেক্ষ অবস্থান লক্ষণীয়। তথ্য-উপাত্ত ও দলিলের ভিত্তিতে তাঁরা ঘটনা পরম্পরা তুলে ধরেছেন।

 জেল–হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কারাগারের কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন, প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানকারীর জবানবন্দি ইত্যাদি নিয়ে এই সংকলনের ‘দলিল’ অংশটি সেই নির্মম খননকার্যের মতো, যা তুলে আনে হাড়গোড়-কঙ্কালসদৃশ বাস্তবতা, পাঠককে বিমর্ষ করে এবং দাঁড় করায় কঠিন সত্যের সামনে।

এ গ্রন্থের শেষ পর্বে আছে ‘৩ থেকে ৭ নভেম্বর: পেছন ফিরে দেখা’ শিরোনামের একটি মুক্ত আলোচনার অনুলিখন। এই মুক্ত আলোচনার আয়োজন ও সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন ‘ভোরের কাগজ’–এর তৎকালীন সম্পাদক মতিউর রহমান । এখানে আলোচক নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নানা মতাবলম্বীর সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন তিনি। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা, আনিসুজ্জামান, মেজর জে মনজুর রশীদ খান ও মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ শিক্ষক বুদ্ধিজীবী, সমরবিদের মধ্যে শেষোক্ত জন ছাড়া বাকি কেউ সরাসরি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তবে তাঁদের রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আদর্শ সম্পর্কে আমরা অবগত। তাঁদের পর্যবেক্ষণ ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে এই মুক্ত আলোচনা হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, চারটি ভিন্ন আদর্শের শক্তি এই লড়াইয়ে যুক্ত ছিল। যাঁরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছিলেন, তাঁরা কেউ আদর্শনিরপেক্ষ ছিলেন না। তাঁদের মধ্যে আদর্শিক পার্থক্য ছিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খন্দকার মোশতাক, খালেদ মোশাররফ, আবু তাহের ও জিয়াউর রহমানের মধ্যে রাষ্ট্রের চরিত্র কী হবে, সে সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী মত ছিল। এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। অন্য বক্তারাও তাঁদের মতামত তুলে ধরেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত আনিসুজ্জামান যেমন বলেছিলেন, ‘আমার একান্ত দুঃখ এই যে পাঁচ দিনের ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা কয়েকজন বড় মুক্তিযোদ্ধাকে হারালাম, যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বেও শূন্যতার সৃষ্টি হলো। অবশ্য তার চেয়ে অনেক বেশি শূন্যতার সৃষ্টি হলো রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। এটি একটি বড় ধরনের ক্ষতি সারা দেশের জন্য।’ একই কথা একটি দীর্ঘশ্বাসের মতো প্রতিধ্বনিত হয়েছে অন্যদের আলোচনায়ও। উপসংহার টানতে গিয়ে সঞ্চালক মতিউর রহমান বলেছেন, ‘আসলে অতীতের ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের একটি সাধারণ সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। তা না হলে আমরা তো আর এগোতে পারছি না।’ এই কথাটিই হয়তো ‘পঁচাত্তরের অস্থির সময়: ৩ থেকে ৭ নভেম্বরের অকথিত ইতিহাস’ গ্রন্থের মূল সুর।

 ইতিহাস সম্পর্কে সমঝোতায় পৌঁছানো আমাদের এখনো হয়নি। কিন্তু সেই চেষ্টা থেকে বিরত থাকার উপায় নেই। এই গ্রন্থ ইতিহাসের খসড়া হিসেবে অনুসন্ধিত্সু পাঠক ও গবেষকদের কাছে সমাদৃত হবে বলে ধারণা করি।

 পঁচাত্তরের অস্থির সময়: ৩ থেকে ৭ নভেম্বরের অকথিত ইতিহাস

 সম্পাদক: মতিউর রহমান

 প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২৪

 প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা

 প্রচ্ছদ: আনিসুজ্জামান সোহেল

 ২১৬ পৃষ্ঠা

দাম: ৫০০ টাকা।