ঋত্বিক, নাকি সত্যজিৎ?
২ মে চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্ম দিন গেল, একশ বছর। সে উদ্দেশ্যেই এই লেখার অবতারণা করছি—
এ তর্কটা পুরোনো। কে বড় চলচ্চিত্রকার—ঋত্বিক, নাকি সত্যজিৎ? জানি বিষয়টা অনেকটা আপেলের সঙ্গে কমলা অথবা কমলার সঙ্গে আপেলের তুলনা দেওয়ার মতোই। তারপরও বাঙালি জাতি তর্ক করতে ভালোবাসে। আর সেই তর্কের বিষয় যদি হয় ঋত্বিক এবং সত্যজিৎ, তাহলে তো কথাই নেই। চলুন তর্কে নেমে পড়ি।
ঋত্বিক ও সত্যজিৎ—দুই চলচ্চিত্রকার আমাদের উপমহাদেশের মহামূল্যবান সম্পদ। কে ছোট আর কে বড়, সে উচ্চতা মাপার মতো বাটখারা আমার হাতে নেই। আর সেটি সম্ভব নয়। রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে সুভাষকে আমরা না মানলেও ভারতের স্বাধীনতার জন্য তাঁর ত্যাগকে আমরা আমাদের আত্মায় লালন করি। ঋত্বিক আর সত্যজিৎ দুজনই অনেক বড় মাপের চলচ্চিত্রকার। তাঁদের এই বড়ত্ব শুধু বাংলা অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দুনিয়াজোড়া চলচ্চিত্রখ্যাতি তাঁদের। তারপরও আগেই বলেছি, আমরা তর্ক ভালোবাসি আর সেই তর্কের বিষয় যদি হয় ঋত্বিক, নাকি সত্যজিৎ—তাহলে তর্ক জারি থাকবে! মনে পড়ে এই বিষয় নিয়েই একটি তর্কসন্ধ্যা পার করে দিয়েছিলাম। সব সময় তর্ক হতো চলচ্চিত্র নির্মাতা এনায়েত করিম বাবুল এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা অনিন্দ আতিক ঝন্টুর সঙ্গে। বলে নেওয়া ভালো, তাঁরা দুজনেই ঋত্বিকের অন্ধ ভক্ত। আর আমি একা একাই সত্যজিতের পক্ষ নিয়ে কামান দাগাই। সাল-তারিখ মনে নেই। নিউইয়র্কের মেঘনা শপিং মলের দোতলায় বাবুল ভাইয়ের ডেরায় ঠিক এমনই একটি তর্ককে ঘিরে আমরা গোটা রাত পার করে দিয়েছিলাম!
বলার অপেক্ষা রাখে না পশ্চিমা বিশ্বে সত্যজিৎ রায়ের নাম-ডাক অনেক। যাঁরা সিনেমা দেখেন, তাঁরা মোটামুটি সত্যজিৎকে চেনেন। সত্যজিতের সিনেমা দিয়ে ভারতের মানুষকে তাঁরা বুঝতে চান। কবুল করতে অসুবিধা নেই, সত্যজিতের চলচ্চিত্রে যে সমাজচিত্রটি ভেসে ওঠে, সেটি অনেকটাই রিফাইনড এবং ইউরোপীয় জীবনচিত্র দিয়ে আঁকা ছবির মতোই। সত্যজিতের ছবিতে আছে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তদের গল্প। তবে সে গল্পটিও তাঁর সিনেমায় দেখিয়েছেন শিল্পের চোখ দিয়ে। সত্যজিৎ নিজেও তাঁর 'আওয়ার ফিল্মস, দেয়ার ফিল্মস' গ্রন্থে পশ্চিমা বিশ্বের সিনেমাকে সামনে তুলে ধরেছেন এবং তিনি পশ্চিম থেকে সিনেমার যেসব মালমসলা আত্মস্থ করেছেন, তা-ও কবুল করেছেন, যে কারণে সত্যজিতের হিরো কুরোসাওয়া, ফেলিনি—তাঁরা সবাই। অন্যদিকে ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে পশ্চিমাদের মাঝে সত্যজিতের মতো হইচই নেই। সত্যজিতের তুলনায় ঋত্বিকের নাম পশ্চিমা বিশ্বে মৃদ কণ্ঠে উচ্চারিত হয়। কথা হলো পশ্চিমের দুনিয়া কাকে হিরো বানাল আর কাকে বানাল না, তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানো খুব জরুরি না। আমাদের আত্মায় কার চলচ্চিত্র বাস করে, সেটাই আসল কথা? ঋত্বিক নাকি সত্যজিৎ?
একজনের সঙ্গে এরকম তুলনা খুব সমীচিন নয়। কিন্তু তারপরও সত্যজিতের প্রসঙ্গ এলে ঋত্বিক ঘটক আসবেই। যদি বলি সত্যজিতের 'পথের পাঁচালী' একটা মাস্টারপিস, সঙ্গে সঙ্গেই ঋত্বিক-ভক্তরা তেড়ে আসবেন, ঋত্বিকের 'সুবর্ণরেখা' কম কিসে? অতএব তখন সেই আলোচনায় অটোমেটিক্যালি দুটো দল তৈরি হয়েই যায়। বলার অপেক্ষা রাখে না যে দুটো পক্ষই তখন তাদের যুক্তি আর তর্ক দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাদের ক্ষেত্রেও দুটো দল হয়ে গেল। আগেই বলেছি, আমি সব সময় সত্যজিতের পক্ষ নিই। এবারও তা-ই। বাবুল ভাই আর ঝন্টু ঋত্বিক ছাড়া জীবনে আর কিছুই যেন বোঝেন না। তাঁদের যুক্তি হলো ঋত্বিকের সামনে সত্যজিৎ নস্যি। ঋত্বিকের মাঝে তাঁরা চলচ্চিত্র এবং দেশকে খুজে পান। তাঁর 'নাগরিক', 'অযান্ত্রিক', 'কোমলগান্ধার', 'সুবর্ণরেখা', 'যুক্তি, তক্কো আর গপ্পো' অথবা 'তিতাস একটি নদীর নাম' বা 'মেঘে ঢাকা তারাসহ তাঁর প্রতিটা সিনেমাতেই মানুষ, মানুষের আর্তি, জয়জয়কার, দুঃখ এবং একই সঙ্গে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, নির্যতিত মানুষের চিৎকারও দেখতে পান। তাঁদের ভাষায় ঋত্বিক আপোষহীন, দেশকে ভালোবেসে তিনি শিল্পের জন্যে নিজের গোটা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁরা মনে করেন, ঋত্বিক প্রতিষ্ঠার ইঁদুরদৌড়ে নিজেকে কখনো অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেননি। নিজের মতো করে তাঁর কাজটি করে গেছেন। দেশভাগ নিয়ে একমাত্র তিনিই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। সত্যজিৎ করেননি। সত্যজিৎ অনেক বেশি আপোষকামী। ইউরোপের স্বীকৃতির দিকেই তার ইগল চোখ ছিল সব সময় নিবদ্ধ।
সত্যজিতের সিনেমা নিয়ে আমি নিজেকে পরিষ্কার করে দাঁড় করাতে চাই। এ কথা সত্য যে আমরা মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালিরা বেড়ে উঠেছি পশ্চিমের চিন্তা, রোমান্টিকতা, চলাফেরা, কথাবার্তা, আদব-কায়দা—এসব ধারণ করে। এ কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না যে আমাদের চিন্তা ও মননে সুস্পষ্টভাবে পশ্চিমা সংস্কৃতির একটি প্রভাব আছে। সাহিত্যে যেভাবে রবীন্দ্রনাথ, ঠিক একইভাবে চলচ্চিত্রেও সত্যজিৎ রায় বাঙালির অন্তর্গত ভাবনায় সে চিন্তাটি বুনে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। আরেকটা বিষয় হলো তাঁর 'মেকিং'। অভিনয়, সংগীত, চিত্রনাট্য, সংলাপ, কোনটাকে বাদ দেওয়া যায়? সিনেমার এই সব শিল্পকে তিনি যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সত্যজিৎ রায় খুব যথাযথ এবং সাবলীলভাবে শিল্পের নানা মাধ্যমগুলোকে তাঁর সিনেমায় যেভাবে ব্যবহার করেছিলেন, ঋত্বিক তা করেননি। যথাযথ শিল্প উপাদানের অনুপস্থিতিতে একটি কবিতা যেমন স্লোগানে পরিণত হয়, ঠিক একই কথা সিনেমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমার কেন জানি মনে হয় ঋত্বিক তাঁর সিনেমায় শিল্প উপাদান (কয়েকটি ছাড়া) ব্যবহারে তেমন যত্নশীল ছিলেন না। কেন জানি মনে হয়, এ বিষয়ে তিনি আরেকটু যত্নবান হলে তাঁর সিনেমাগুলো আরও বেশি শৈল্পিক হতে পারত। জানি অনেকেই বলবেন শিল্প মানেই কি 'রিফাইন্ড' কোনো কিছু? আমাদের জীবন কি এর বাইরে নয়? আর জীবনের বাইরে কি চলচ্চিত্র? জানি এই প্রশ্নগুলো করবেন ঋত্বিক-ভক্তরা সবাই। তারপর আমার মনে হলো আমাদের জীবনের ঘটনাই শৈল্পিকভাবে যখন উপস্থাপিত হয়, তখন সেটি হয়ে ওঠে সেরা সিনেমা। শিল্প ছাড়া কি তা চলে? কাঁচামালকে একটু ঘষামাজা করলেই তো সেটি চিকচিক করে উঠবে? এবার বাবুল ভাই আর ঝন্টু দুজনই মারমুখো হয়ে গেলেন! আমাকে আর এগোতে দিলেন না। বাবুল ভাই একরকম খেঁকিয়ে উঠলেন।
'শুনেন, ঋত্বিক হইল আমাদের গুরু। বুঝলেন। কথাবার্তা সামলায়ে কন। শুনেন, আপনার কি তাহলে মনে হয় যে ঋত্বিক সিনেমার শিল্প কী জিনিস, সেটা বুঝেন না। ইউরোপীয়রা যেভাবে সিনেমায় শিল্পরস তৈরি করেছে, সেটাই কি একমাত্র ফর্ম? ফেলিনির “এইট অ্যান্ড হাফ”, অথবা আন্দ্রেই তারাকোভস্কির “মিরর” অনেকেই এক বসায় দেখতে পারেন না। তার মানে কি এই দাঁড়ায় যে তারাকোভস্কি ভালো চলচ্চিত্রকার নন? ফেলিনি সিনেমা বানাতে জানেন না?'
আমি এখানে সংখ্যালঘিষ্ঠ। তাই মিঁউ মিঁউ করেই বললাম, আমার বক্তব্য সেটি নয়। তাঁরা সবাই অবশ্যই উঁচুদরের সিনেমা বানান, কিন্তু শিল্পরস' তো আরেক বিষয়! এখানে খামাখা ইউরোপ অথবা আমেরিকা আনার প্রয়োজন কী? শিল্পরস ছাড়া সিনেমা কীভাবে তৈরি হতে পারে? ঋত্বিকের 'অযান্ত্রিক'-এর কথাই ধরেন? গাড়িটা নষ্ট হয়ে গেল। বাবু বললেন, 'আমরা এখন যাব কী করে?' কিন্তু তাঁর সেই ডায়ালগে যে পরিমান মেলোড্রামা ছিল, আমরা কি জীবনে সেই মেলোড্রামা ব্যবহার করি? আমার কাছে মনে হয়েছে তাঁর সিনেমায় মেলোড্রামা খুব বেশি পরিমাণে উপস্থিত, যে কারণে অনেক সময় চরিত্রটি খুব স্বাভাবিক লাগে না। চরিত্রের কেথায় যেন একটা ধাক্কা খাই। তার 'যুক্তি, তক্কো আর গপ্পো'র কথাই যদি বলি...
আরে রাখেন তাঁর 'যুক্তি, তক্কো আর গপ্পো'। আমাকে মাঝপথে থামিয়ে ঝন্টু গলায় মাফলার প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে আলোচনায় যোগ দেয়। বোঝা যাচ্ছে এবার সে আক্রমণ করতে পুরোপুরিই প্রস্তুত! আমিও সেটি হজম করতে বুক পেতে দাঁড়িয়ে যাই।
ঝন্টু বলতে শুরু করে, 'মেলোড্রামাও তো আমাদের জীবনের বিশাল একটা অংশ। আমি, আপনি আমরা সবাই মেলোড্রামাকে আমাদের চরিত্রের আসনে বসাই না? মেলোড্রামা খারাপ কিছু না। সমস্যা হলো আপনারা চলচ্চিত্রে্য নির্দিষ্ট একটা ফরম্যাট থেকে এখনো বাইর হইতে পারলেন না। সবাই কেন সত্যজিতের মতো সিনেমা বানাবে? সবাই কেন কুরোসাওয়া হবে?'
আমি বললাম, 'আরে ভাই, সিনেমা তো একটা শিল্প। আমি ঋত্বিকের সিনেমায় শিল্প উপাদানের কথাই বলছি। একটা চরিত্র, সেটি আমাদের আত্মায় কতটুকু বাস্তবভাবে গাঁথতে পারছে অথবা একটা চরিত্র কতটুকু আমাদেরকে দোলা দিচ্ছে, সেটা কোনো বিষয় নয়? ধরা যাক 'পথের পাঁচালী'র অপু অথবা দুর্গার চরিত্র। অথবা চারুলতা! 'মহানগর' নিয়েই বলি! আমার কাছে মনে হয়েছে মহানগর সত্যজিৎ রায়ের এক অনন্য সৃষ্টি। এক মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনের রূঢ় বাস্তবতাগুলোকে অত্যন্ত নিপুণ আঁচড়ে সত্যজিৎ তাঁর চলচ্চিত্রে তুলে এনেছেন। ষাটের দশকে বাঙালি মধ্যবিত্তের জীবনে সৃষ্ট নানা জটিলতা এবং তাদের মানসিক জগতের পরিবর্তন সত্যজিৎ রায় 'মহানগর'-এ রূপায়িত করেছেন। বাঙালির সামাজিক সংকটপূর্ণ মুহূর্তগুলো কত অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে তিনি চিত্রিত করেছেন! আহা! কী সেই করুণ দৃশ্য! পারিবারিক এবং অর্থনৈতিক তীব্র চাপের মাঝেও নিজের সততা ও আত্মমর্যাদার শক্তিতে শক্তময়ী এক নারী সম্মান বাঁচাতে তার চাকরি ছেড়েছে। স্বামীর চাকরি নেই, এ অবস্থায় সে নিজের চাকরি ছেড়েছে। অসহায় পরিবারটির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত! আরতির কাছে মনে হয়েছে সে হয়তো চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে ভুল করেছে। কিন্তু তার স্বামী তাকে সাহস দেয়। সুব্রত বলে ওঠে,'তুমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছ, সেটা কি ভুল? তুমি যা করেছ, আমি তা করতে পারতাম না। আমার সাহসে কুলোত না।
'রোজগারের তাগিদে আমরা ভিতু হয়ে গেছি, আরতি। কিন্তু তুমি তো হওনি। এটা কি কম হলো?'
এই চরিত্রগুলো রায়ের সৃষ্টি। বাংলা সিনেমা যত দিন আছে, তত দিন এই চরিত্রগুলো ঘুরে ফিরে বাঙালির চিন্তা আর মননে থাকবেই। ঋত্বিক এমন কোনো চরিত্র তৈরি করে যেতে পেরেছে কী?
এবার বাবুল ভাই মুখ খুললেন, 'ঋত্বিককে বুঝতে হলে মানুষের অন্তরাত্মায় যে প্রতিনিয়ত কান্নার সুরটা বাজে, সেটি আপনার ধরতে হবে। ঋত্বিক সেই আর্তনাদটি শুনতে পেয়েছিলেন। আর সে কারণে তিনি চলচ্চিত্র সংলাপের ক্ষেত্রে অনেক সাহসী ছিলেন। তাঁর “যুক্তি, তক্কো আর গপ্পো”র কথাই ধরি। দেশভাগ নিয়ে এমন অসাধারণ চলচ্চিত্র আর কোথায় পাবেন? ঋত্বিক কখনোই কোনো চরিত্র তৈরি করে বাহবা কুড়ানোর চেষ্টা করতেন না। জানেন তো তিনি বলেছিলেন, “আজ যদি চলচ্চিত্রের চাইতে আরও বেশি কোনো শক্তিশালী মাধ্যমের আবির্ভাব ঘটে, চলচ্চিত্রকে লাথি মেরে চলে যাব। আমি মশাই চলচ্চিত্রের প্রেমে পড়িনি।” এই কথা ভূভারতে একমাত্র ঋত্বিকের পক্ষেই বলা সম্ভব।'
জানি ঋত্বিক আর সত্যজিৎকে নিয়ে এই তর্ক কখনোই শেষ হবে না। শুধু এটাই জানি 'ঋত্বিক আর সত্যজিৎ দুজনই দুই ঘরানার চলচ্চিত্র নির্মাতা। সত্যজিৎ তাঁর কাজ করেছেন আর ঋত্বিক করেছেন তাঁর কাজ। মৃণাল সেন তাঁর মতো করে সিনেমা তৈরি করছেন, তারেক মাসুদ তাঁর কাজটি করে গেছেন। দর্শক কাকে তাঁর বুকে স্থান দেবেন, সেটি তাঁর ব্যাপার!
করোনারি এ গৃহবন্দি সময়ে প্রিয় চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা দিয়েই দিন রাত পার করে দেওয়া যায়। আর আমি ঋত্বিকের 'অযান্ত্রিক' দেখারও চেষ্টা ইচ্ছা রাখি।