২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ফাহিম সালেহর হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে মানববন্ধন

বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্কের উদ্যোগে ফাহিম সালেহ হত্যার  বিচারের দাবিতে জ্যাকসন হাইটসে মানববন্ধন
বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্কের উদ্যোগে ফাহিম সালেহ হত্যার বিচারের দাবিতে জ্যাকসন হাইটসে মানববন্ধন

বাংলাদেশের পাঠাও কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা, মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহর নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের দাবিতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্কের উদ্যোগে ও প্রবাসের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ও মূলধারা সংগঠন বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটিসহ প্রায় ২০টি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের উদ্যোগে ২৫ জুলাই বিকেলে ডাইভার্সিটি প্লাজায় এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। মহামারি কোভিড-১৯ মহামারি ও প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে কমিউনিটির সচেতন নাগরিকেরা প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী সায়েম শাহরিয়ার। ফাহিম সালেহর খুনিকে ফার্স্ট ডিগ্রি (প্রথম মাত্রার) খুন হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া ব্রুকলিন বরো প্রেসিডেন্ট এরিক অ্যাডামস এই প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের এই দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি । ফাহিম সালেহ একজন মেধাবী মানুষ । তাকে যেভাবে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে, এই সভ্যসমাজে তা মেনে নেওয়া যায় না। আইনের ফাঁক–ফোকর দিয়ে যাতে অপরাধী পার পেয়ে না যায়, এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে । খুনি যে বর্ণের হোক, সে খুনি, সে অপরাধী । আমার পক্ষে যা করা দরকার, আমি তা করব । এরিকের বক্তব্যের সময় উপস্থিত সবাই ন্যায় বিচারের দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান দেন।
প্রতিবাদ সভার প্রধান আয়োজক ও আহ্বায়ক বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্কের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ আল আমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন অ্যাসেম্বলি মেম্বার প্রার্থী মেরি জোবাইদা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল মুকিত চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার, বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটির সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আমীন মেহেদী, হিস্পানিক ও ল্যাটিনো কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ক্রিস্টোফার এসপিনোজা, মুসলিম এন্ট্রাপ্রেনিউর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল রহমান, ট্রান্সফোটেক একাডেমির সিইও শেখ গালিব রহমান, নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি আহনাফ আলম, এনওয়াইপিডি অক্সিলিয়ারি অফিসার ও বৃহত্তর খুলনা সমিতির উপদেষ্টা সৈয়দ এনায়েত আলী, ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের সাবেক ম্যানেজার ও বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অফ আমেরিকার সহসভাপতি ওয়াহিদ কাজী এলিন, পদ্মা ইয়েলো সোসাইটি ইউএসএর সভাপতি শেখ মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শেখ হাসান আলী, বৃহত্তর খুলনা সমিতির সহসভাপতি শেখ নওশাদ আখ্তার, মেম্বার সেক্রেটারি শেখ সেকেন্দার আলী, বিল্ডিং আওয়ার মুভমেন্ট আহ্বায়ক ফাহাদ সোলাইমান, নবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মিলন মোল্লা, ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম খান, গুলশান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সাইদ ইদ্রীস, আবু হুরায়রা মসজিদের সাধারণ সম্পাদক নবী হোসেন, শিল্পকলা একাডেমির সভানেত্রী ও বাংলাদেশ সোসাইটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায় চৌধুরী, মূলধারা ও নিউইয়র্ক ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্সের নেতা মোহাম্মদ টিপু সুলতান, সাংবাদিক ও কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট রিমন ইসলাম।
বক্তারা ফাহিম সালেহর নির্মম, বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান। এই হত্যাকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে সবাই দাবি করেন। সভায় বলা হয়, হত্যাকারীকে একজন ঠান্ডা মাথার খুনি বলে তার বিরুদ্ধে প্রথম মাত্রার অভিযোগ আনার জোরালো দাবি জানিয়ে শিগগিরই একটি মেমোরেন্ডাম নির্বাচিত অফিশিয়ালদের কাছে পাঠানো হবে। হত্যাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার হীন চেষ্টা না করতে বিচার বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
সভা শেষে ফাহিম সালের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের ইমাম দোয়া করেন। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটির সিনিয়র সহসভাপতি ও কুবা মসজিদের সভাপতি সেলিম খান, সহসভাপতি আমিন রহমান, কার্যকরী সদস্য ফয়েজ উল্লা, বিক্রমপুর মুন্সিগঞ্জ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা নাজমুল আলম, মোস্তফা আহমেদ, শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তারাসহ সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট রাইহান মেহেদী, নামিরা মেহেদী, সাজিদ মিলন, মাহমুদুল, মুরাদ প্রমুখ।