আমেরিকায় ধেয়ে আসছে ভয়ংকর ধূলিমেঘ
আমেরিকার দিকে বিশাল আকারের ভয়ংকর ধূলিমেঘ ধেয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের আকাশে অবস্থান নেওয়া বিশাল ধূলিমেঘের এমন আকার গত ৫০ বছরে দেখা যায়নি। বিপজ্জনক সাহারা ধূলিমেঘের উপস্থিতি সংশ্লিষ্ট এলাকার বায়ুমণ্ডলে বায়ুমানের অবনতি ঘটাতে পারে। এ কারণে সবাইকে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পুয়ের্তো রিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পাবলো মেন্ডেজ লেজারো বলেন, এ অঞ্চলের জনগণ গত ৫০ বছর এ ধরনের বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের কিছু দেশের বর্তমান অবস্থা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের শ্বাসযন্ত্রের এ লড়াইয়ে ধূলিমেঘের উপস্থিতি আরও বড় উদ্বেগের কারণ।
পাবলো মেন্ডেজ লেজারো বলেন, সাহারা ধূলিমেঘের অবস্থান নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা জরুরি। তা না হলে একসময় স্বাস্থ্যবান মানুষের জন্যও এটা হুমকি হতে পারে। এই ধূলিমেঘের কারণে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ অ্যান্টিগুয়ার নিম্ন এলাকা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পরিষ্কারভাবে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। কিছু কিছু এলাকার জনগণকে এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে দুটি মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
পুয়ের্তো রিকোর রাজধানী সান হুয়ানের জাতীয় আবহাওয়া পরিদপ্তরের প্রধান হুজে আলমো বলেন, ২৩ ও ২৪ জুন আমেরিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আকাশে এই ধূলিমেঘ দেখা দিতে পারে। এই মুহূর্তে পুয়ের্তো রিকোর প্রধান বিমানবন্দরের পাঁচ থেকে আট মাইলের মধ্যে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।
ধূলিযুক্ত ও শুকনো এই ধূলিমেঘ সাহারা মরুভূমি থেকে উৎপন্ন হওয়ায় বিজ্ঞানীরা একে ধূলিমেঘ বলছেন। এই ধূলিমেঘ উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে চার-পাঁচ দিনের মধ্যে প্রবেশ করে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত আমেরিকার আকাশে চূড়ান্তভাবে অবস্থান নেবে।
আমেরিকার সামুদ্রিক ও পরিবেশ রক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের অভিমত, এই ধূলিমেঘের স্তর আমেরিকার বায়ুমণ্ডলে দুই মাইল ঘনত্বে বিচরণ করবে।