হার মানলেন ট্রাম্প, ফেডারেল চাকা সচল হলো
রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ফেডারেল সরকারের চাকা আবার সচল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাজেট ইস্যুতে বিতর্কের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক ৩৫ দিন বন্ধ ছিল ফেডারেল সরকারের একাংশের কাজকর্ম (শাটডাউন)। অর্থ বরাদ্দ না পেয়ে ফেডারেল সরকারের আট লাখ কর্মী বিনা বেতনে দিন যাপন করেছেন। এ নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছেন ফেডারেল কর্মীরা।
আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, সাময়িকভাবে শাটডাউন খুলে দিতে রাজি হয়েছেন ট্রাম্প। তিন সপ্তাহের জন্য অর্থ বরাদ্দে তিনি রাজি হয়েছেন। তবে যে ইস্যুতে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে ট্রাম্পের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, সেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে দাবিমতো অর্থ পাননি তিনি।
এর আগে রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট দেয়াল নির্মাণে ৫৭০ কোটি ডলার না পেলে কোনো ধরনের বাজেট নথিতে সই করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বিষয়টি তাঁর নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল। তবে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানান।
গতকাল শুক্রবার কংগ্রেসে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে সাময়িকভাবে শাটডাউন শেষ করতে একটি বিল পাস করে।
কংগ্রেসের এই ভোটের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্রাম্প টুইট করেন, শাটডাউনের কারণে চরম ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি এতে সম্মতি দিয়েছেন। এটাকে ছাড় দেওয়া বলা যায় না।
রোজ গার্ডেনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, শাটডাউনের সমাপ্তি টানতে এ চুক্তি ঘোষণা করতে পেরে তিনি খুব গর্ব বোধ করছেন। ফেডারেল সরকারকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। রাজনৈতিক বাদানুবাদে ফেডারেল কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি ফেডারেল কর্মীদের ‘অত্যন্ত দেশপ্রেমিক’ উল্লেখ করে বলেন, বকেয়া সব অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, এই ‘শক্তিশালী বিকল্প ব্যবস্থা’ নেওয়ার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে সামরিক খাতের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেয়াল নির্মাণ করতে পারতেন, তবে সেটা করলে তিনি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তেন।
এরপরও ট্রাম্প বলেছেন, ‘একটি শক্তিশালী দেয়াল বা ইস্পাতের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা ছাড়া আমাদের কাছে সত্যিই বিকল্প কোনো পথ নেই। যদি আমরা কংগ্রেসের কাছ থেকে সাড়া না পাই, তাহলে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার শাটডাউন শুরু হবে। অথবা আইন ও সংবিধানের আলোকে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা প্রয়োগ করব আমি।’