দ্রুত সময়ে এবং স্বল্প ব্যয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর রূপরেখা

কোভিড-১৯–এর কারণে মার্চের মাঝামাঝি থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। ভাইরাসটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে।

শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রক্রিয়াকে চলমান রাখার জন্য তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে সংযুক্ত করার বিকল্প নেই। সে জন্য স্বল্প মেয়াদে হলেও অতি দ্রুততার সঙ্গে এখনই একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গত ২৮ মে দৈনিক প্রথম আলোর নাগরিক সংবাদের মতামতে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সম্ভাব্যতা’ শিরোনামে প্রকাশিত আমার প্রবন্ধে সম্ভাব্য সমস্যাবলি এবং সেগুলো থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোকপাত করেছিলাম। প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য স্বল্প সময়ে দ্রুততার সঙ্গে এবং স্বল্প ব্যয়ে কীভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা ও চলমান রাখা যায়, তার একটি রূপরেখা প্রণয়ন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ইতিমধ্যে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার সপক্ষে মত প্রদান করেছেন এবং তা চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দ্রুত সময়ে এবং স্বল্প ব্যয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার আগে মূলত চারটি পক্ষ বা বিষয়ের প্রতি যথা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রযুক্তি এবং পরীক্ষা পদ্ধতির প্রতি দৃষ্টিপাত করতে হবে। আলোচনার সুবিধার্থে নিম্নে প্রতিটি বিষয়ের ওপর আলাদাভাবে আলোকপাত করা হলো।

শিক্ষক
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য শিক্ষকদের আপাতত গুগল ক্লাসরুম অথবা মাইক্রোসফট জুম এবং পাওয়ার পয়েন্টের ব্যবহার সম্পর্কে জানলেই চলবে। গুগল ক্লাসরুম বা জুমের সঠিক ব্যবহার জানার জন্য শিক্ষকদের স্বল্প মেয়াদে প্রশিক্ষণ দিলেই হবে। যাঁরা পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না, তাঁরা জুম এবং এক্সটারনাল ওয়েব ক্যামেরা বা ডকুমেন্ট ক্যামেরার সাহায্যে হোয়াইট বোর্ড কিংবা কাগজে লিখে লিখেও সংশ্লিষ্ট বিষয় ব্যাখ্যা করতে পারবেন।

শিক্ষকেরা ইচ্ছে করলে বাড়ি থেকেও ক্লাস নিতে পারেন অথবা অফিসে এসে নিয়মিত অফিস আওয়ারেও ক্লাস নিতে পারেন। এ জন্য বাড়িতে বা অফিসে বিশেষত ক্লাসরুমে ইন্টারনেট সংযোগ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

তত্ত্বীয় এবং ব্যবহারিক উভয় ক্লাসের জন্য শিক্ষকদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হতে পারে। ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য শিক্ষকেরা ক্লাসের রূপরেখা পরিবর্তন করে ভিডিও ও স্লাইড প্রদর্শন করতে পারেন। সাময়িকভাবে প্রতিটি ব্যবহারিক ক্লাসকে শনাক্তকরণ (আইডেন্টিফিকেশন) ও প্রাক্কলনের (এস্টিমেশন) মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন। পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীরা রিপোর্ট তৈরি করে জমা প্রদান করলে তা মূল্যায়ন করতে পারেন।

শিক্ষার্থী
যদিও ফেস-টু-ফেস শিক্ষা কার্যক্রমের বিকল্প নেই, তথাপি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য অতিদ্রুত তাদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। উপরন্তু যেকোনো শিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি চলমান না রাখা গেলে শিক্ষার্থীদের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে এবং অবসাদ গ্রাস করার আশঙ্কা থাকে।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অনেক শিক্ষার্থীর কাছে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ, অনেকেই ইন্টারনেট বা ল্যাপটপ ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। তবে এটিকে তারা একটি সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে পারে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে যারা কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ, তাদের দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে; পাশাপাশি যারা অদক্ষ, তারাও দক্ষতা লাভ করার সুযোগ পাবে।

প্রযুক্তি
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন একটি ল্যাপটপ (বা ডেস্কটপ) কম্পিউটার, ইন্টারনেট মডেম, একটি এক্সটারনাল ওয়েব ক্যামেরা (পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজে), নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ আর নিরবচ্ছিন্ন স্বল্প মূল্যের ইন্টারনেট পরিষেবা।

অনেকের মতে কম্পিউটারের পরিবর্তে একটি স্মার্টফোন থাকলেই হবে। কিন্তু স্মার্টফোন শুধু ক্লাসে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেই সহায়ক হতে পারে অ্যাসাইনমেন্ট, হোমওয়ার্ক ইত্যাদির জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার। উপরন্তু, যেখানে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা কম্পোজ করা প্রয়োজন হবে কিংবা ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশনের সমাধান করতে হবে, সেখানে স্মার্টফোন কতটুকু কাজে লাগবে, তা বিবেচনায় রাখতে হবে।

বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে জানা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুমানিক ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে প্রস্তুত। আশা করা যায় তাদের স্মার্টফোনের পাশাপাশি একটি কম্পিউটারও রয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে কীভাবে একটি কম্পিউটার সরবরাহ করা যায়, তা চিন্তার বিষয়। জানা যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা আনুমানিক ৮ লাখ। আট লাখের ৩০ শতাংশ হলো আনুমানিক ২ লাখ ৫০ হাজার।

আনুমানিক ২ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে নিম্নলিখিত উপায়ে একটি কম্পিউটার সরবরাহ করা যেতে পারে—

প্রথমত, বিনা মূল্যে সরবরাহ করা যেতে পারে। ২ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে যদি ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমভাবে বণ্টন করা হয়, তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে আনুমানিক ৪ হাজার ৮০০। ৪ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীকে গড়ে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি কম্পিউটার এবং সঙ্গে একটি ইন্টারনেট মডেম ও ওয়েব ক্যামেরা সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হবে আনুমানিক ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য নগণ্য।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্টসংখ্যক ল্যাপটপ, ওয়েব ক্যামেরা ও ইন্টারনেট মডেম কিনতে পারে, যেগুলো ভ্যাট মুক্ত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভান্ডারে জমা রাখবে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভাগীয় চেয়ারম্যান/প্রধানের সুপারিশক্রমে তারা নিজেদের নামে উপকরণসমূহ ইস্যু করতে পারবে।

শর্ত থাকে, শিক্ষার্থীরা যে অবস্থায় যে উপকরণ গ্রহণ করবে, ঠিক সেই অবস্থাতেই ফেরত দিতে হবে। সেই অবস্থায় ফেরত না দিলে মেরামত বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে তাদের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে না। যেহেতু সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কাজ সময়সাপেক্ষ, সেহেতু দ্বিতীয় উপায়ে ল্যাপটপ সংগ্রহ বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।

দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীদের বিনা সুদে ঋণসুবিধা দেওয়া যেতে পারে। ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা একজন শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে ২৪ মাসের জন্য দিলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ টাকা করে কিস্তি দিতে হবে।

যাদের একটি কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য নেই, তারা কীভাবে এই অর্থ পরিশোধ করবে? বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে অবস্থান করছে, যার ফলে তাদের খাওয়া খরচ বাদে মেস ভাড়াসহ যাতায়াত ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। সেই সঞ্চয় থেকেই শিক্ষার্থীরা তাদের কিস্তি পরিশোধ করতে পারে।

নিজের বা অভিভাবকের কষ্টে অর্জিত আয় থেকে ক্রয়কৃত কম্পিউটার ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী যে আনন্দ লাভ করবে, বিনা মূল্যেরটি ব্যবহারে কখনই অতটা আনন্দ লাভ করবে না। অধিকন্তু এই সুযোগে একজন শিক্ষার্থী একটি কম্পিউটারেরও মালিকানা লাভ করবে, যেটি ভবিষ্যতে বিভিন্ন কাজে লাগবে।

তবে ঋণ প্রদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করবে। কোনো শিক্ষার্থী যদি নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ না করে, তাহলে সে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং প্রয়োজনে তার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে না।

এরপর আসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা। নিরবচ্ছিন্ন বিষয়টি দীর্ঘ মেয়াদে বিবেচনায় আনতে হবে। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে যুগান্তকারী সফলতা অর্জন করেছি, তবু কিছু লোডশেডিং রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের ক্লাসসমূহ ভিডিও ধারণপূর্বক ওয়েবসাইটে আপলোড করে রাখতে হবে, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন অনুসারে পরেও দেখতে পারে।

তারপর স্বল্পমূল্যের ইন্টারনেট পরিষেবা। ধন্যবাদ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে। মিডিয়া মারফত জানতে পেরেছি, তিনি ইতিমধ্যে মাননীয় অর্থমন্ত্রী, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং বিটিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কীভাবে শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করা যায়।

এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের তাদের প্রাতিষ্ঠানিক এবং ভেরিফায়েড ই–মেইলের মাধ্যমে লগইন করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তবে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষার্থীরা যেন শুধু জুম বা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট এবং তাদের ই–মেইলে লগইন করতে পারে। কোনোভাবেই যেন স্বল্পমূল্যের সুযোগ নিয়ে সেটি অন্য কোনো কাজে ব্যবহৃত হতে না পারে।

বর্তমানে গ্রামীণফোনের ৩০ দিন মেয়াদি ৮ জিবি ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ভ্যাটসহ ৩৯৯ টাকা দিতে হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্যাটমুক্ত এই রেট হতে পারে ১০০ টাকা মাত্র। আশা করা যায় ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এ ক্ষেত্রে মানবিক ভূমিকা পালন করবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আলোচনায় এসেছে শুধু ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে এবং পরীক্ষা পরে গ্রহণ করা হবে। এটি হলে পুরো প্রক্রিয়াটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হবে। সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব হলো, পরীক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এনে তা পরিচালনা করা। এর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ বোর্ড অব স্টাডিজের অনলাইন সভা আহ্বান করতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের অনলাইন সভা আহ্বান করে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

পরীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে সেফ ওয়েব ব্রাউজার নামক একটি সফটওয়্যারের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটি বাস্তবসম্মত হবে না। কারণ, এর জন্য প্রয়োজন হবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ আর শিক্ষার্থীদের অনৈতিক উপায় অবলম্বন থেকে বিরত রাখার জন্য কঠিন নজরদারি।
কুইজ পরীক্ষার পরিবর্তে বিভিন্ন টপিকের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান করা যেতে পারে অথবা লিখিত কুইজ পরীক্ষার পরিবর্তে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে। মিড-সেমিস্টার পরীক্ষায় যেহেতু বেশি নাম্বার থাকে, সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জুম এবং এক্সটারনাল ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করে পরীক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে। একই পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে ফাইনাল পরীক্ষার ক্ষেত্রেও।

পরিশেষে
নানামুখী প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে চলমান রাখার জন্য অতিদ্রুত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, কোনো শিক্ষার্থীই যেন বৈষম্যের শিকার না হয়। তার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়কেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।

পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার বিশেষত শিক্ষা, অর্থ, ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে একযোগে কাজ করতে হবে। আশা করা যায়, শিক্ষার্থীদের হাতে দ্রুততম সময়ে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলেই আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটির পরপরই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।


*লেখক: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর। [email protected]