মাঝেমধ্যে বুকে ব্যথা, ভাবলেন হূদেরাগ। গেলেন চিকিৎসকের কাছে। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও হূদ্যন্ত্রে কোনো রোগের প্রমাণ মিলল না। অনেকে এসব রোগীকে কটূক্তি বা অবহেলা করেন। বলেন, এসব হলো ভান। অনেকে ভাবেন, এটি এতই জটিল রোগ যে, কোনো চিকিৎসক ধরতে পারছেন না বা পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না। কেউ কেউ হতাশ হয়ে ওঝা-কবিরাজের কাছে গিয়ে অপচিকিৎসার শিকার হন। এ ক্ষেত্রে রোগটা শারীরিক নয়, মানসিক।
এমন সমস্যায় মানসিক চাপের কারণে শারীরিক রোগের উপসর্গ-লক্ষণ দেখা দেয়। মানুষ যখন মানসিক চাপ বা দ্বন্দ্বের কথা মুখে প্রকাশ করতে পারে না অথবা প্রকাশ করেও যথাযথ প্রতিকার পায় না, তখন তার অজান্তেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রশমনের উপায় খুঁজে নেয়, প্রকাশ পায় শারীরিক উপসর্গ। পরীক্ষা, পারিবারিক অশান্তি, কর্মক্ষেত্রের সমস্যা, সামাজিক অশান্তি, চাওয়া-পাওয়ার অমিল প্রভৃতি দ্বন্দ্ব ও চাপ থেকে এ রোগ দেখা দিতে পারে।
এ ধরনের সমস্যায় সাধারণত সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিং বেশি উপযোগী।
রোগী ও রোগীর আত্মীয়স্বজনকেও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ মেনে চলতে হবে। রোগীকে অবহেলা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা উপহাস করা যাবে না। উপসর্গের চেয়ে বরং নেপথ্যের চাপ কমানোর ব্যাপারে বেশি মনোযোগী হতে হবে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।