মধুতে আছে ১৮১ উপকারী ভেষজ
সেই প্রাচীনকাল থেকে ঠান্ডা-কাশি সারাতে কবিরাজ-বদ্যিরা মধু ব্যবহার করে আসছেন। আমাদের দেশে শিশুদের ঠান্ডা লাগলে মধু, তুলসীর রস, আদার রস ইত্যাদির মিশ্রণ একটি উপকারী ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হয়। কিন্তু আসলেই মধু কাশি কমাতে সহায়ক কি না তা নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা কখনো করা হয়নি।
২০১২ সালে এ নিয়ে একটি বৃহৎ গবেষণার পর সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকান পেডিয়াট্রিক সোসাইটি শিশুদের কাশি প্রশমনে মধু ব্যবহার করার পক্ষে মত দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মধুতে অন্তত ১৮১ রকমের উপকারী ভেষজ উপাদান রয়েছে। এর অনেকগুলোই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও জীবাণুরোধী বলে সংক্রমণ ঠেকাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মধু গেলার পর পরই গলা ও শ্বাসতন্ত্রের ঝিল্লির ওপর একটি জীবাণুরোধী আবরণ তৈরি করে। এতে জীবাণুর আক্রমণ থেকে ঝিল্লি বাঁচে। তাছাড়া গলার অনুভূতিবাহক স্নায়ুর কাজকর্মের ওপরও প্রভাব বিস্তার করে, ফলে খুসখুসে কাশি ও অস্বস্তিভাব থেকে রেহাই দেয়। জীবাণুরোধক উপাদান থাকার জন্য অনেক আগে থেকেই শল্য চিকিৎসকেরা ঘা বা ক্ষতস্থানের ড্রেসিংয়ে মধু ব্যবহার করে আসছেন। তবে কাশি প্রশমনে মধু ব্যবহার করার সময় দুটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। এক. এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য এই পরামর্শ প্রণিধানযোগ্য নয়; দুই. মধু ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা হলে এ থেকে বটুলিনাম বিষক্রিয়া হতে পারে। এবিসি হেলথ।