বাদাম কেন খাবেন?
খাবারের সঙ্গে বাদাম যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। বাদাম হচ্ছে শক্তি, প্রোটিন ও ভালো চর্বির উৎস। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত বাদাম রাখা দরকার। অনেক ধরনের বাদাম পাওয়া যায়। এর মধ্যে চিনাবাদাম, আখরোট, কাজু ও পেস্তাবাদাম খেতে পারেন। সুস্থ থাকতে খাবারের সঙ্গে নানাভাবে বাদাম যুক্ত করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বাদাম নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন। তাঁরা বলছেন, খাবারের সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক থেকে দূরে থাকা যায়। খাবারের পরপর রক্তে লিপিড ও ট্রাইগ্লিসারাইডসের মতো একধরনের চর্বি রক্তে বেড়ে যায়, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও যদি তিন আউন্স পরিমাণ বাদাম খাওয়া যায় রক্তে লিপিড বাড়ার হার কমে। খাবারের সঙ্গে চিনাবাদাম খেলে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত ট্রাইগ্লিসারাইডস স্তর কমতে দেখা যায়।
‘নিউট্রিশন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত নিবন্ধ।
গবেষক পেনি-ক্রিস এথারটন বলেন, খাবারের পর ধমনি কিছুটা দৃঢ় হয়ে যায়। কিন্তু খাবারের সঙ্গে বাদাম যুক্ত করলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
বাদামের যত গুণ
কাঠবাদামে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় শরীরের হাড়গুলোকে শক্ত ও মজবুত করে। শরীরের কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে কাঠবাদাম। এতে চর্বির পরিমাণ কম। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন আছে। হৃদ্রোগ যাঁদের আছে, তাঁরা এ থেকে উপকার পাবেন।
কাজুবাদামে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক আছে। কাজুবাদাম শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
পেস্তাবাদামে প্রচুর পরিমাণে চর্বি আছে, এটি শক্তি জোগায়। এতে পটাশিয়াম, আয়রন, কপার, জিংক ইত্যাদি আছে। এ ছাড়া বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।
চিনাবাদামে প্রোটিন বেশি থাকায় এটি হৃদ্রোগীদের জন্য উপকারী। শরীরে রক্ত চলাচল সাহায্য করে।
আখরোটে ওমেগা-৩ ও ৬ বিদ্যমান আছে। কিন্তু কোলেস্টেরল নেই। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।