জলবসন্ত নিয়ে পাঁচ প্রশ্ন

১: জলবসন্ত হলে ডিম, মাছ ইত্যাদি খাওয়া কি নিষেধ?জলবসন্ত বা চিকেন পক্স একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এতে ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে এবং এগুলো খুব চুলকায়। এই চুলকানির সঙ্গে খাবারের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেকে মাছ খেতে নিষেধ করে থাকেন। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং অপুষ্টি এই রোগের জটিলতা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শিশুকে সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। বিশেষ করে, বেশি করে তরল খাবার এবং আমিষজাতীয় খাদ্য; যেমন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি।২: প্রথম কয়েক দিন নাকি গোসল করতে নেই?এ রোগের সবচেয়ে বেশি জটিলতা হলো ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। প্রতিদিন পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করা উচিত। এ ছাড়া বেশির ভাগ শিশু চুলকানির কারণে নখ দিয়ে ত্বক চুলকায়। এতে ফুসকুড়ি ফেটে যায় এবং এর ভেতরে যে ভাইরাসগুলো আছে, তা বেরিয়ে পড়ে নতুন করে আক্রমণ করে। রোজ গোসল করলে এই আক্রমণের তীব্রতা কমে। গোসলের পানিতে অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। এতে ত্বকে জ্বালা হতে পারে।৩: কত দিন শিশুকে আলাদা রাখতে হবে?বসন্ত ত্বকে দেখা দেওয়ার দু-তিন দিন আগে থেকেই আসলে ছড়াতে শুরু করে। রোগের প্রকাশের পর অন্তত দুই সপ্তাহ শিশুকে স্কুলে বা বাইরে না যেতে দিয়ে বাড়িতে নিজের ঘরে রাখতে হবে। অন্য শিশুদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখুন। অনেক মা স্কুল কামাই হচ্ছে ভেবে অস্থির হয়ে পড়েন। মনে রাখবেন, কেবল অন্যদের জন্যই নয়, আপনার রোগাক্রান্ত শিশুটিরও পূর্ণ বিশ্রাম দরকার। বাইরের অনেক লোকের সংস্পর্শে তার জটিল সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।৪: এ রোগে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়?অ্যান্টিবায়োটিক সব সময় নাও লাগতে পারে। তবে শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায় বলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা দরকার হতে পারে।৫: এ রোগে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়?জলবসন্তের প্রতিষেধক টিকা আছে। টিকা দিলে এই জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে ওঠে। কখনো জীবাণু আক্রমণ করলেও তা তীব্র রূপ ধারণ করে না।  শিশু বিভাগ বারডেম হাসপাতাল।