খোলা চিঠিতে যে সাহায্য চাইলেন সুপার মডেল জিজি
অনেকেরই ছোটবেলার একটা কমন আফসোস যে মা–বাবার বিয়ে খেতে পারেনি। বিশেষ করে মা-বাবার বিয়ের অ্যালবাম ওল্টাতে ওল্টাতে সেখানে কোথাও নিজেকে দেখতে না পেয়ে শৈশবে মুখ ভার করেছে অনেকেই। ধারণা করা হচ্ছে, জিজি আর জায়ানকন্যা খাই তাঁর মা-বাবার ‘বিয়ে খেতে’ পারবে। মা-বাবার বিয়ের ছবিতে উপস্থিত থাকবে সেও। কিন্তু সমস্যা অন্যখানে।
তারকা হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তারকার সন্তান হওয়া। কিছু না করেই তারকা তারা। যাঁরা কাজ দিয়ে তারকা হন, তাঁরা তত দিনে কীভাবে তারকাখ্যাতি, খ্যাতির বিড়ম্বনা সামলাবেন, তা শিখে যান। মাঝখান থেকে তাঁদের সন্তানেরা বঞ্চিত হয় একটা স্বাভাবিক জীবন থেকে। ছোটবেলা থেকেই বাস্তবতা থেকে শত হাত দূরে থেকে তাদের সঠিক বিকাশ হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জিং।
মার্কিন সুপার মডেল জিজি হাদিদ আর ব্রিটিশ সংগীত তারকা জায়ান মালিক চেয়েছিলেন তাঁদের সন্তানকে একটা স্বাভাবিক শৈশব দিতে। যাতে কোনো ছবি গণমাধ্যমে না আসে। সে যেন কারণ ছাড়াই তারকা না হয়ে ওঠে। আর কেউ তাঁদের মেয়েকে না চেনে। এমন অবস্থায় বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করা গেলে সে মোটামুটি একটা স্বাভাবিক শৈশব পাবে। কেননা, কেউ তাকে চিনবে না। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি। অবস্থা বেগতিক দেখে এক খোলা চিঠিতে সাহায্য চেয়েছেন ২৬ বছর বয়সী জিজি।
জিজি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির চারপাশে কয়েক মাইলজুড়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কড়া পাহারায় থাকে পাপারাজ্জি। ১০ মাস হয়ে গেল এখনো খাইয়ের কোনো ছবি আসেনি গণমাধ্যমে। তাই পাগল হয়ে উঠেছে বিশ্ব মিডিয়া। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চেয়ে ইনস্টাগ্রামে খোলা চিঠি লিখেছেন জিজি। লিখেছেন, ‘পাপারাজ্জিরা ছবির জন্য পাগল হয়ে উঠেছে। আমি আমাদের সন্তানের জন্য একটা স্বাভাবিক জীবন চাই। ও কেন আমাদের জন্য আর দশজনের মতো করে বেড়ে উঠবে না?’
জিজি লেখেন, ‘আমাদের বাচ্চা যতই বড় হয়ে উঠছে, ওকে নিয়ে আমরা ততটাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। ও ঘরে থাকতে চায় না। ও এই বিশ্ব দেখতে চায়। ও ঘুরে বেড়াতে চায়। আমি ওকে বিশ্বের প্রতিটি কোনা চেনাতে চাই। নিউইয়র্ক সিটির রাস্তার কতশত মানুষের সঙ্গে পরিচিত করাতে চাই। অথচ আমরা ওকে আমাদের বাড়ির ফার্মেও হাঁটাতে নিয়ে যেতে পারি না।’
পাপারাজ্জি, আলোকচিত্রী, মিডিয়াকর্মীদের উদ্দেশ করে জিজি লেখেন, ‘আমরা জানি, একেক দেশের একেক আইন। এখন ১৮ বছরের নিচের বাচ্চারা যদি না চায় বা তাদের অভিভাবক না চান, তাহলে তাদের ছবি ঝাপসা করে মিডিয়ায় ছাপা হয়। আপনারাও সেটি মানবেন, প্লিজ। আমরা আপনাদের বাস্তবতা বুঝি। আমরা চাই আপনারাও অভিভাবক হিসেবে প্লিজ আমাদের চাওয়াটা বোঝেন। ১০ মাস পেরেছি। কিন্তু এখন ও বড় হয়ে উঠছে। এখন ওকে ঘরে রাখা ক্রমেই মুশকিল হয়ে পড়ছে। ওর একটা স্বাভাবিক শৈশবের জন্য আমরা আপনাদের একান্ত সাহায্য চাই।’
জায়ান যেভাবে বাবার দায়িত্ব পালন করছেন, তাতে বেজায় খুশি জিজি। বাবা দিবসে জায়ানকে উদ্দেশ করে জিজি লিখেছেন, ‘বেস্ট বেবি ড্যাড’।
২০১৫ সাল থেকে প্রেম করছেন জিজি আর জায়ান। ২০১৮ সালে ঘোষণা দিয়ে তাঁরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে সম্পর্ক ভাঙা আর জোড়া লাগার নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়। তবে লকডাউনের আগ দিয়ে ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, সব মিটমাট করে ভাঙা হৃদয় ভালোমতো জোড়া লাগিয়েছেন তাঁরা। থাকবেন এক ছাদের নিচে। আর এখন তাঁদের ছাদের নিচে যোগ হয়েছে আরও একজন। হয়তো মহামারিকাল গেলে মেয়ে কোলে নিয়ে বিয়েটাও সেরে ফেলবেন এই জুটি।