আট পদের অমলেট
আপনার আশপাশে খুঁজলে এমন অনেককেই পাবেন, একটা ডিম ছাড়া যাঁদের দিন যেন ঠিকঠাক শুরুই হলো না। চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হেঁটে এসে খিদে–পেটে নাশতার টেবিলে দেখলেন, গরম গরম ধোঁয়া ওঠা অমলেট। সেই অমলেটে রয়েছে সবুজ শাক, পাতা, টমেটো, বাটার আর চিজ! আপনার অনুভূতিটা কেমন হবে, বুঝতে পারছি। ডিমের অমলেট (সোজা বাংলায় ডিমভাজা) বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রেকফাস্টগুলোর ভেতর অন্যতম। চিনে নেওয়া যাক বিশ্বের নানা প্রান্তের অমলেট।
১. স্প্যানিশ অমলেট স্প্যানিশদের জাতীয় খাবার। মূলত ডিম আর আলু দিয়ে কয়েক পরতে বানানো হয় এটি। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় ‘তরতিলা দে পতাতাস’, ‘তরতিলা দে পাপাস’ বা ‘তরতিলা এসপা ওলা’। খাবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ভেতর আরও থাকে লবণ, গোলমরিচ, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, নানা পদের সসসহ আরও নানা কিছু। এসবের সমাহারে খাবারটিকে বলা হয় সকালের একটা আদর্শ নাশতা।
২. থাই অমলেট অনেকটা দেশি ডিমভাজার মতো। এটি গরম ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়। অনেক সময় এই অমলেটের পেটের ভেতর মসলায় ভাজা ভাত পুর হিসেবে ঢোকানো হয়। আবার অনেক সময় এই ডিমভাজার ভেতরে মাংসের পুরও থাকে। আমাদের মোগলাই পরোটার সঙ্গে মিল আছে এই থাই অমলেটের।
৩. জাপানি অমলেটকে ডাকা হয় ‘তামাগোয়াকি’। এর আকৃতি একটু অন্য রকম। অমলেটটা গোল করে পেঁচিয়ে তারপর কাটা হয়। এ অমলেট বানাতে ডিম, চিনি, পানি, চাল, ভিনেগারসহ লাগে আরও অনেক কিছু। দেখতে একটু ‘কেমন যেন’ হলেও খেতে সেরা।
৪. ভারতীয় অমলেট দেখতে অনেকটা পিৎজার মতো। এতে নানা শাক, সবজি, এমনকি পাস্তাও মেশানো হয়। রান্না করা মাংসের টুকরাও ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে এর মধ্যে। এটি একটু ধীর তাপে ঢেকে বানানো হয়।
৫. আপনি যদি প্রথমবার গ্রিসের অমলেট ট্রাই করেন, মনে হবে, এটা পাস্তা; আর এর সঙ্গে আছে প্যানে ভাজা সবজি। গ্রিসে এটা কেবল সকালের নাশতা নয়, দুপুরে বা রাতেও খাওয়া হয়। এখানে ডিম, সবজি, স্ট্রবেরি, টমেটো, সস—এসবের মিশ্রণ থাকে। ব্রেড দিয়ে খাওয়া হয়।
৬. ফ্রেঞ্চ অমলেট দেখতে অনেকটা আমাদের পাটিসাপটার মতো। এটায় বাটার, পেঁয়াজ, টমেটো, বিভিন্ন ধরনের হার্ব আর বেশি করে চিজ দিয়ে রান্না করা হয়।
৭. পার্সিয়ান অমলেট দেখলেই আপনার মন ভরে যাবে। এটিতে বেশি বেশি টমেটো, রসুন আর রং আনতে হলুদ দেওয়া হয়।
৮. মেক্সিকান অমলেটও দেখলেই মনে হবে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এটিতে তারা স্থানীয় একটা মরিচকে সবজির মতো ব্যবহার করে। আরও থাকে ব্ল্যাক বিনস আর অ্যাভোকাডো।