বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী হতে যে বৈশিষ্ট্যটি থাকতেই হবে
কিছু বন্ধুত্ব টিকে থাকে আজীবন। কিছু হারিয়ে যায় কখনো বোঝাপড়ার অভাবে, কখনো সময়ের সঙ্গে। তবে দীর্ঘস্থায়ী সব বন্ধুত্বেরই কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে। বন্ধুত্ব হলেই তো আর জীবনের প্রতিটি বিষয় নিয়ে একটা মানুষের সঙ্গে যখন-তখন কথা বলা যায় না। বলা যায় না যা খুশি তা–ই। আলাপচারিতার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আমাদের মানতেই হয়। এই অলিখিত নিয়মটি কিন্তু বন্ধুদের জন্যও প্রযোজ্য।
আপনার হয়তো রাতভর মুঠোফোনে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিতে মন চাচ্ছে। কিন্তু আপনার বন্ধু তাঁর শিশুসন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে নিজেও হারিয়ে গেছেন ঘুমের রাজত্বে। এ নিয়ে আপনি যদি অভিমান করেন, তাহলে কিন্তু মুশকিল। বন্ধুর জীবন ও ভাবনা সবকিছুকেই সম্মান করতে হবে। আপনার বন্ধুর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
মোটকথা, বন্ধুত্বেও প্রয়োজন সীমারেখা। শুধু প্রয়োজনই নয়; বরং ভীষণ জরুরি একটি বিষয় হলো সীমারেখা। সীমারেখাই একটি দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের মূলমন্ত্র। বন্ধু হলেই কারও ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিষয়ে মন্তব্য করা যায় না। বন্ধুত্বের দাবিতে নিজের ভাবনা কারও ওপর চাপিয়েও দেওয়া যায় না। বন্ধুদের মধ্যে রাজনৈতিক, ধর্মীয় কিংবা জীবনঘনিষ্ঠ অন্য কোনো বিষয়েও মতের অমিল থাকতেই পারে। সেসব অমিল নিয়েও কিন্তু চলতে পারে আলাপচারিতা। কিন্তু কত দূর পর্যন্ত সেই আলাপ চলবে, সেটাই নির্ধারিত হয় বন্ধুত্বের সীমারেখা দিয়ে।
বন্ধুত্বে কতটা সীমারেখা রাখতে হবে, তা কিন্তু সবার জন্য নির্দিষ্ট নয়। কারণ, ব্যক্তি হিসেবে প্রত্যেকেই যেমন আলাদা, তেমনি বন্ধুর কাছে কে কী চান, তা–ও অনেকটাই আলাদা। মন খারাপের সময় কেউ হয়তো মন খারাপ প্রসঙ্গে কথা বলতে চান না, আবার কেউ হয়তো বন্ধুর সঙ্গে মনের আগল খুলে আলাপ করতে চান।
বন্ধুত্বের ভিত মজবুত করে তোলার জন্য আপনি ও আপনার বন্ধু কে কার কাছ থেকে আদতে কী চান, সেই ব্যাপারে আলাপ করে নেওয়া প্রয়োজন। তাহলে ভুল–বোঝাবুঝির আশঙ্কা অনেকাংশেই কমে যায়; বরং বন্ধুত্ব টিকে থাকে বহু বছর।
সূত্র: ভেরিওয়েল মাইন্ড