ভ্রমণে পরিবেশের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
জীবনযাপন সহজ করতে এবং বাণিজ্যিকীকরণের প্রভাবে আমরা প্রতিনিয়ত পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে যাচ্ছি। ব্যতিক্রম হয় না ভ্রমণের ক্ষেত্রেও। আমাদের ব্যবহৃত সামগ্রী ও আচরণ অনেক সময় পরিবেশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে কার্বন নিঃসরণ ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমাণ। তবে চাইলেই ভ্রমণের সময় সেই ক্ষতি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। কীভাবে?
কাপড় বা পাটের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার
পলিথিন বা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে টেকসই কিছু বেছে নিই। কাপড় বা পাটের তৈরি ব্যাগ যেমন টেকসই হয়, তেমনি বারবার ব্যবহার করা যায়। চাইলে নিজের মতো নকশা করেও ব্যাগে আনা যায় বৈচিত্র্য। আর এ ধরনের ব্যাগ পচনশীল হওয়ায় পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মিশে যায়।
পরিবেশবান্ধব পোশাক পরুন
যেসব পোশাকের তন্তু সরাসরি প্রকৃতি থেকে আসে, বেছে নিন সেসব পোশাক। শণ, কলাগাছের আঁশ ও পাট থেকে তৈরি পোশাক পরিবেশবান্ধব। এখন বেশ কিছু ব্র্যান্ড আছে, যারা এমন পোশাক বানায়, যা তৈরির সময় কম পানি ব্যবহার করা হয়। অনেকে দাবি করেন, পোশাক তৈরির কোনো ধাপেই তাঁরা কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেন না। বেছে নিতে পারেন এমন পরিবেশবান্ধব পোশাক।
তামার পানির বোতল ব্যবহার
পৃথিবীর অনেক স্থানে ভ্রমণের সময় প্লাস্টিকের বোতল বহন করা নিষিদ্ধ। আপনিও ভ্রমণের সঙ্গী হিসেবে প্লাস্টিকের পানির বোতল ব্যবহার না করে তামার তৈরি বোতল বেছে নিতে পারেন। তামায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা পানিকে প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধন করে। আয়ুর্বেদিক মতে, তামার পাত্রে রাখা পানিতে যোগ হয় শরীরের জন্য উপকারী উপাদান। একই সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যগত উপকারের পাশাপাশি প্রকৃতিতেও পড়বে না বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
বাঁশের তৈরি টয়লেট্রিজ ব্যবহার
বদলে ফেলুন প্লাস্টিকের তৈরি টয়লেট্রিজ। তার বদলে ব্যবহার করতে পারেন বাঁশ থেকে তৈরি টয়লেট্রিজ। এখন অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাঁশ থেকে টুথব্রাশ, চিরুনি, কটনবাডসহ নানা টয়লেট্রিজ তৈরি করছে। বাঁশ দ্রুত বেড়ে ওঠে বলে তা থেকে তৈরি সামগ্রী সহজলভ্য। এসব সামগ্রী ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার পর সহজে মিশে যাবে প্রকৃতিতে।
রাসায়নিকমুক্ত কীটনাশক ব্যবহার
ভ্রমণের সময় মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন প্রাকৃতিক সামগ্রী। বিভিন্ন প্রাকৃতিক তেল পোকামাকড় দূরে রাখতে বেশ ভালো কাজ করে।
তথ্যসূত্র: ফেমিনা