শিরিন শিলা আর তাঁর বন্ধুদের উদ্যোগে আবার রঙিলা টিএসসির চায়ের দোকান
টিএসসির চায়ের দোকানগুলো নতুন করে আবার রঙিন হয়ে উঠল। ‘দ্বিতীয় অধ্যায়: চায়ের কাপে বাংলার মুখ’ শিরোনামে গতবারের মতো এবারও দোকানগুলোকে রাঙাতে উদ্যোগ নেন মডেল ও অভিনেত্রী শিরিন আক্তার শিলা ও তাঁর বন্ধুরা। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন রিকশা পেইন্টার। সাত দিন ধরে চলে এই বর্ণিল কর্মযজ্ঞ। উদ্যোগটি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন বিপাশা রায়
আবার কী ভাবনা থেকে এই কাজ শুরু করলেন?
শিরিন শিলা: প্রথমবার দোকানগুলোয় রিকশা পেইন্টিং করার পর ব্যাপক সাড়া পাই। ভাবলাম যে ইচ্ছা থেকে কাজটা শুরু করেছি, তা মনে হয় সফল। টিএসসি আমাদের সংস্কৃতির ধারক–বাহক। চায়ের দোকানগুলোয় জমে ওঠে সব সৃজনশীল আড্ডা। তাই টিএসসির দোকানগুলো রাঙালে সেই রংও ছড়িয়ে পড়বে মানুষের মনে। এই ভাবনা থেকেই শুরু করি কাজ।
কিন্তু গত কয়েক মাসে আমাদের এই ইচ্ছা ব্যর্থ করতে অনেকেই উঠেপড়ে লাগেন। ইচ্ছা করে বিভিন্ন পোস্টার লাগিয়ে দোকানগুলো ঢেকে দেন। এসব দেখে মন খুবই খারাপ হয়ে যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাস এলে বন্ধু সীমান্ত বলল, ‘চল, আবার চায়ের দোকানগুলোয় পেইন্টিং করি।’ প্রথম দিকে মন তেমন চাইছিল না। তবে ওর ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্যোগে আবার কাজ শুরু করি।
কবে থেকে শুরু করলেন?
শিরিন শিলা: ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে কাজ শুরু করি। শেষ হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে।
এবারের বিষয় কী?
শিরিন শিলা: এবারের থিম ছিল বাংলার মুখ। গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন উৎসব, যেমন কবিগানের আসর, পিঠা উৎসব, যাত্রাপালা, নৌকাবাইচ এমন নানা গল্প তুলে ধরেছি। আমি গ্রামের মেয়ে। এই উৎসবগুলো আমার শৈশবকে রঙিন করেছিল। শহুরে মানুষও যেন এই সংস্কৃতির সঙ্গে কিছুটা হলেও পরিচিত হন, তাই এই আয়োজন।
যাঁদের সহযোগিতা ভোলার নয়?
শিরিন শিলা: বন্ধু সীমান্ত সাহা আর জেরিন সিন্তি তো ছিলই। সঙ্গে ছিলেন একঝাঁক রিকশা পেইন্টার। আর এবারও রং দিয়ে সহায়তা করেছে এশিয়ান পেইন্টস। রিকশা আর্টিস্টদেরও বিশেষ আর্থিক সম্মাননা দিয়েছে তারা।