ভালোয়–মন্দয় মিলে বিদায় নিতে যাচ্ছে আরও একটি বছর। বেড়ানো ও স্বাস্থ বিষয়ে মূল প্রবণতা কী ছিল এই বছর? নতুনই–বা কী যুক্ত হলো?
বেড়েছে বেড়ানো
বছরজুড়েই মানুষকে বেড়াতে দেখা গেছে। দু–তিন দিনের ছুটিতেও দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়। ঘোরাঘুরি বেড়ে যাওয়ায় বছরজুড়েই ছিল ভ্রমণের মৌসুম। বন্ধুদের সঙ্গে, পরিবার নিয়ে, আবার এই দুই দলের বাইরে নানা রকম অচেনা মানুষ এক হয়ে, ঘোরার প্রবণতাও বেড়েছে। বেড়েছে একা একা ঘোরা মানুষের সংখ্যাও। দর্শনীয় স্থানের বাইরে বিভিন্ন রিসোর্টে গিয়ে শুয়ে–বসে আরাম করে ছুটির দিনটা কাটিয়ে আসা লোকের সংখ্যাও বেড়েছে। দেশের বাইরে ঘোরার ক্ষেত্রে ভারত ছাড়াও থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, নেপাল, তুরস্ক ছিল বাংলাদেশিদের হটস্পট।
বছরজুড়েই রোগবালাই
এ বছর দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ ছিল। এসব রোগবালাই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। বয়স্ক রোগীদের পাশে থাকা, সেবা করার বিষয়টি আলোচনায় ছিল সারা বছর।
মনের স্বাস্থ্যে সচেতনতা
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে মানুষের আগ্রহ এবারও ছিল ওপরের দিকে। এককভাবে সেবা নেওয়া ছাড়াও জুটি বেঁধে ও সপরিবার কাউন্সেলিং সেবা নিতে মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে গেছেন মানুষ। মেন্টাল ডায়েট আলোচনায় এসেছে এই বছর। মন ভালো রাখতেও যে ডায়েট করা যায়, সেটা কে কবে ভেবেছে! নিজেকে ভালো রাখতে মি টাইম বা মেন্টাল ডায়েট করেছেন মানুষ। শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাউন্সেলদের কাছে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে মা-বাবার।
শরীরচর্চার অভ্যাস
নিজেকে ফিট রাখতে খাদ্যাভাস বদলানোর পাশাপাশি শরীরচর্চায় ঝুঁকেছেন আরও বেশি মানুষ। কার্ডিও এবং নানা রকম শারীরিক কসরতের সেই চেষ্টা চলেছে পুরো বছর। সাধারণ মানুষ ইয়োগার দিকে ঝুঁকেছে আরও বেশি করে। এ ছাড়া ঘরের মধ্যে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেছেন ব্যস্ত মানুষ। কয়েকটি জিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ব্যায়ামের আগ্রহ বেড়েছে।