খাবারের জন্য বিশ্বের সেরা ২০ শহর
লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী ‘টাইম আউট’ সম্প্রতি খাবারের জন্য সেরা বিশ্বের ২০ শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে। সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি মানুষের মতামতের ভিত্তিতে করা তালিকাটি একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
১. নিউ অরলিন্স, যুক্তরাষ্ট্র
তালিকার প্রথমেই আছে যুক্তরাষ্ট্রের শহর নিউ অরলিন্স। শহরটির বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় সুস্বাদু চিংড়ি ক্রিওল, জাম্বালায়া ও রেড বিনস ও রাইস। এ ছাড়া পাওয়া যায় বিনেটস, ক্রিওল টমেটো কিংবা ঝিনুক দিয়ে বানানো পদ। একটি মাত্র খাবার বেছে নিতে হলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন সেদ্ধ ক্রেফিশ (চিংড়ি-জাতীয় মাছ)। তবে এটি কেবল নির্দিষ্ট মৌসুমেই পাওয়া যায়। বছরজুড়ে নিউ অরলিন্সের খাবারের স্বাদ পেতে আপনাকে খেতে হবে সামুদ্রিক খাবার, মুরগি বা সসেজ দিয়ে তৈরি খাবার গাম্বো।
২. ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
এই শহরের নুডলস খুব বিখ্যাত। অন্য কিছু খান বা না খান, ব্যাংককের ঐতিহ্যবাহী খাবার সোম তাম অবশ্যই খাবেন।
৩. মেডেলিন, কলম্বিয়া
এই শহরের পুরোনো বাজার ঘুরে আতাফল, গুলুপা ও উচুভা বেরির মতো তাজা ফলের স্বাদ নিতে পারেন। মধ্যাহ্নভোজের পাতে থাকতে পারে কাজুয়েলা ও বন্দেজা পাইসা।
৪. কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
কেপটাউনে আসবেন আর সামুদ্রিক খাবার খাবেন না, তা হয় না। এখানকার মাছ এবং চিপস পৃথিবী–বিখ্যাত। এখানে এসে কিছু না খেলেও একটি খাবার অবশ্যই চেখে দেখবেন, সেটি হলো গ্যাটসবি। গরম ফ্রেঞ্চফ্রাই, সালাদ ও অন্যান্য উপাদানে তৈরি খাবারটি দেখতে কিছুটা অগোছালো হলেও খেতে অসাধারণ।
৫. মাদ্রিদ, স্পেন
গরু বা ভেড়ার বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে তৈরি অফাল এখানকার বিখ্যাত খাবার। শহরের অন্যতম প্রসিদ্ধ রেস্তোরাঁ পাবুতে পাওয়া সবজি দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার। এটি অবশ্যই চেখে দেখবেন।
৬. মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
তোর্তা দে চিলাকুইলেস (একধরনের স্যান্ডউইচ) থেকে শুরু করে বিশ্বখ্যাত রেস্তোরাঁগুলোর দুর্দান্ত সব খাবার এখানে খেতে পারেন। এখানকার ট্যাকোস আল পাস্তোর খুব বিখ্যাত।
৭. লাগোস, নাইজেরিয়া
উত্তর নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার স্মোকি সুয়া (গ্রিলড মাংস) বা ইগবো জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী খাবার ওফে নসালা দারুণ জনপ্রিয়। এ ছাড়া ফ্রেজন, পার্টি জোলফ রাইস (স্মোকি মসলাযুক্ত রাইস) বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আকরা, এজেগে ব্রেড বা বোলির মতো স্ট্রিট ফুড খেয়ে দেখবেন অবশ্যই।
৮. সাংহাই, চীন
সাংহাইকে চীনের রসনা ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দু বলা যেতে পারে। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তের স্থানীয় খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবেন এখানে। যেমন গুইঝো প্রদেশের আদিবাসী খাবার, ইউনানেরর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রান্না। একটিমাত্র খাবার খেতে চাইলে শেংজিয়ানবাও বা প্যান-ফ্রায়েড স্যুপ ডাম্পলিং চেখে দেখতে পারেন।
৯. প্যারিস, ফ্রান্স
পানাহারের বৈশ্বিক রাজধানী বলা হয় এই শহরকে। এখানকার ছোট–বড় রেস্তোরাঁগুলো ধ্রুপদি ফরাসি খাবারগুলোর নিত্যনতুন ধরন তৈরি করছে। এখানে খাবারের এতই বাহার যে কোনটা রেখে কোনটা খাবেন, সিদ্ধান্ত নেওয়াই মুশকিল। তবে আর কিছু না হোক, সসেজ পিউরি অবশ্যই খাওয়া উচিত। দেড় শতাধিক বছর ধরে এই খাবারটি স্থানীয় বাসিন্দাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।
১০. জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া
এখানে পাবেন মাদুরা দ্বীপের নুডলস, সুমাত্রার গ্রিলড স্যাটে এবং চায়নিজ ক্লেপট রাইসের মতো সুস্বাদু খাবার।
আরও ১০ শহর
অন্যান্য শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে মরক্কোর মারাকেশ, পেরুর লিমা, সৌদি আরবের রিয়াদ, ভারতের মুম্বাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি, মিসরের কায়রো, পর্তুগালের পোর্তো, কানাডার মন্ট্রিল, ইতালির নাপোলি এবং কোস্টারিকার সান হোসে।
সূত্র: টাইম আউট